সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একাংশ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২২/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আপনারা অনেকেই জানেন আমি বেশিগতভাবে একজন শিক্ষক আর আমি সর্বদা চেষ্টা করে আমাদের স্কুলের বিভিন্ন কার্যক্রম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আজকে বৃহস্পতিবার আর বৃহস্পতিবার মানেই আমাদের স্কুলে সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এই সপ্তাহেতেও আমরা একটু ভিন্নভাবে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। সেই বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে এখন আমি শেয়ার করতে চলেছি।
অনুষ্ঠানের প্রথমে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। এ সপ্তাহে অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রথমে কোরআন তেলাওয়াত করেছিল আমাদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ ফাবিহা মনি।
বর্তমান সময়ে আইন করে দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীতের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাই আমরা কোরআন তেলাওয়াতের পরেই জাতীয় সংগীতের ব্যবস্থা করেছিলাম আর সেই জাতীয় সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করলো।
এরপরে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল আলম স্যার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন।
ভিডিও লিংক
অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে করতে আমাদের সকলের প্রিয় @sumon09 ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শেখানোর জন্য নিজেই শপথ বাক্য পাঠ করে শোনালেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি সুমন স্যারের শপথ বাক্য পাঠের ভিডিও শেয়ার করে দিচ্ছি আপনারা চাইলে সেটা দেখে নিতে পারবেন।
ভিডিও লিংক
এরপরে আয়োজন করা হয়েছিল আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহের সবথেকে বড় বিষয়টি। সেটি হচ্ছে সাপ্তাহিক সাধারণ জ্ঞান অথবা কুইজ প্রতিযোগিতা। প্রত্যেকদিন অ্যাসেম্বলিতে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে একটি করে ওয়ার্ড শেখায় এবার কুইজ করা হয়েছিল সেই সকল ওয়ার্ডের। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম প্রত্যেক দিনে শেখানো বিষয়গুলো আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কতটা ধারণা রাখতে পেরেছে। তাদের শেখার ইচ্ছা এবং মনে রাখার ব্যাপারটি দেখে সত্যিই আমাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
ভিডিও লিংক
কুইজ প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে যাবার পরে আমাদের সকলের দৃষ্টি ছিল অতিথিদের দিকে। প্রথমেই অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক জনাব মোঃ হান্নান আমাদেরকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ প্রদান করেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি ভিডিওটি শেয়ার করে দিচ্ছি।
ভিডিও লিংক
এরপরে আমাদের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ জালাল উদ্দিন শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্য প্রদানের এক পর্যায়ে তিনি কান্নায় আপ্লুত হয়ে যান। তিনি বলেন কর্মজীবনে তিনি এই ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেই বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করেছে কিন্তু এখন চাইলেও আর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সময় অতিবাহিত করতে পারেন না। অনেকদিন পর ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নিজেকে পেয়ে আর আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না।
এরপরে চলে আসে পুরস্কার বিতরণের পালা। আমি নিজে পর্যায়ক্রমে কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ী দেরকে নাম ধরে ডাকছিলাম আর তারা এসে আমাদের অনুষ্ঠানের অতিথিদের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছিল।
ভিডিও লিংক
আমাদের এই সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্বগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের এই সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রত্যেকটি পর্বের ভিডিও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিয়েছি আপনারা চাইলে সে ভিডিওগুলো দেখে নিতে পারবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে দেখা হবে আবারও নতুন কোনো একটি পোস্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ওভারঅল অনুষ্ঠান ভালোই হয়েছে।আর জাতীয় সঙ্গীত খুবই প্রয়োজন তাতে করে দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা জন্মায় ছোট থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে।প্রত্যেকের অ্যাক্টিভিটি ভালো হওয়ায় প্রোগ্রাম ভালো করে সম্পূর্ণ হয়েছে।
আমিও মনে করি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে কোন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতটা অত্যন্ত জরুরী
প্রতি বৃহস্পতিবার আপনার স্কুলে সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় জেনে ভালো লাগলো। আসলে এই উদ্যোগটি একেবারে দারুণ হয়েছে। যদি সপ্তাহে একদিন সবার বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে বাচ্চারা যেমন পড়াশোনায় উৎসাহ পাবে তেমনি মন ভালো থাকবে।
বাচ্চাদের লেখাপড়ার উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই আমরা এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করি
অসম্ভব সুন্দর একটি ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছেন আপনাদের স্কুলের কমিটি। আপনাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যে সাধারণ জ্ঞানের উপর কুইজ প্রতিযোগিতা করে থাকে এতে করে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে যাচ্ছে। আসলে ছাত্র-ছাত্রী বুঝতেই পারছে না তারা আনন্দের সাথে কতটা জ্ঞান অর্জন করছে তা আমি দূর থেকে অনুভব করতে পারছি। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অতিথি কান্না জড়িতভাবে কথা বলাটা আমার সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে আসলে মানুষের অতীত মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়ে থাকে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত জাতীয় সংগীত এবং শপথ একটি অনুষ্ঠানকে অনেক সুন্দর করে তুলে💚💚💚💚
আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্যই আমরা সাধারন জ্ঞান এর কুইজের আয়োজন করে থাকি
এভাবেই উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে যাবে আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্র-ছাত্রীর মেধা উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে প্রতিনিয়ত, জেনো সার্বিক দিক থেকে তাদের কল্যাণ হয়।
এভাবে যদি কার্যক্রম চালালে থাকি তাহলে একদিন অবশ্যই আমরা ভালো কিছু করতে সক্ষম হব