লাইফস্টাইলঃ বাবার কাজে সাহায্য করা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। বর্তমান সময়ে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে কৃষকেরা খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে। কৃষকেরা এই সময় নতুন ফসল ঘরে তোলার জন্য খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে। যেহেতু আবহাওয়ার খবর অনুসারে কিছুদিন পরেই বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে এই জন্য সব কৃষকেরা একই সাথে তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই আমাদেরও কিছু ধান রয়েছে যা ইতিমধ্যেই পেকে গিয়েছে। আর এখন যদি এই পাকা ধানগুলোকে ঘরে তোলা না হয় তাহলে বৃষ্টিতে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শনিবার ছুটির দিন হিসাবে আমরা চিন্তা করেছিলাম এই দিনেই আমাদের ধানগুলো বাড়িতে নিয়ে আসব। সপ্তাহের অন্যান্য দিনে ছুটি না পাওয়ার কারণে শনিবার টাকে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
শনিবার সকালে মাঠে যাবার পরে লক্ষ্য করলাম যে আব্বা এবং আমার ছোট ভাই আমাদের ধানগুলো খুবই সুন্দরভাবে গুছিয়ে রেখে দিয়েছে। যেহেতু আগে থেকেই সবকিছু ভালোভাবে গোছানো ছিল তাই আমাকে তেমন আর কষ্ট করতে হলো না। সেখানে যাবার পরে সকাল সকালেই আমরা মেশিন স্টার্ট করতে শুরু করলাম।
ধান মাড়াই করার জন্য সকল উপকরণ যেহেতু আমাদের নিজেদের এই রয়েছে তাই আমাদের আর অন্য মানুষের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। প্রত্যেক বছর আমরা নিজেরাই আমাদের উৎপাদিত সকল ধান নিজেরাই মাড়াই করে ফেলি। যেহেতু আমি গ্রামের ছেলে তাই এই ধরনের কাজ করতে আমার তেমন কোন কষ্ট হয় না। প্রত্যেক বছরের নিজেদের উৎপাদিত ফসল নিজেরাই ঘরে তুলে আনি তাই এই ধরনের কাজে আমার অনেকদিন আগে থেকেই অভ্যাস রয়েছে।
ধান মাড়াই করার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে সেগুলোকে আমরা ভ্যানে করে বাড়িতে নিয়ে চলে আসলাম। সত্য কথা বলতে গ্রাম অঞ্চলে চাকরি করার এই একটা সুবিধা। যেকোনো সময় অথবা ছুটির দিনে পরিবারের কাজে নিজেকে নিযুক্ত করা যেতে পারে। প্রত্যেক বছরে বাবার কাছে এভাবে সাহায্য করতে পারি বলে নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগে।
আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
ভাইয়া আপনার টাইটেল এ হয়তোবা একটু ভুল আছে অবশ্যই সংশোধন করে নেবেন। যারা গ্রামে বসবাস করে প্রায় সকল ছেলেই মাঠের কাজ একটু না একটু পারেই। মাঠের কাজ মোটামুটি আমি ভালোই পারি, তবে এ সকল কাজ প্রায় সকলেই পারে। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি আপনার বাবার কাজে সাহায্য করেছেন যদিও আপনার ছোট ভাই এবং বাবা অনেকটাই কাজ গুছিয়ে রেখেছিল। ধান মাড়াই করে সেগুলো ভ্যানে করে বাসায় নিয়ে গিয়েছেন ঝড় বৃষ্টি হওয়ার আগেই। ধন্যবাদ বাবার কাজে সাহায্য করার পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই গ্রামে যারা বসবাস করে তারা এই ধরনের কাজ খুব ভালোভাবেই পেরে থাকে।
জি ভাইয়া, ঠিক কথা বলেছেন গ্রাম অঞ্চলে চাকরি করা অনেক সুবিধা। এখানে চাকরি করার পাশাপাশি বাড়ির কাজে অনেক সাহায্য করা যায় এবং আপনি আপনার বাবাকে সাহায্য করেছেন, ভীষণ ভালো লাগলো।ধানগুলো বাসায় নিয়ে এসেছেন।বেশ ভাল লাগলো।আমিও মাঝে মাঝে সাহায্য করে বাবাকে। যাইহোক আপনার এত সুন্দর কাজগুলি লাইফস্টাইলগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ
এলাকাতে চাকরি করার এটাই সবথেকে বড় সুবিধা যেকোনো সময় যে কোন কাজে অংশগ্রহণ করা যায়।
খুব ভালো লাগলো আপনার বাবার কাজে সাহায্য করেছেন জেনে।গ্রামে সবার ঘরে ঘরে ধান চলে এসেছে। সবার ধান কাটা ঘরে তোলার ধুম পড়ে গেছে।ঠিক বলেছেন গ্রামে চাকুরী করার সুবিধা অনেক। যে কোন সময় বাড়ির কাজে সাহায্য করা যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমি সব সময় চেষ্টা করি পরিবারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে।
ধন্যবাদ খুব সুন্দরভাবে গ্রামের ঐতিজ্য গুলো তুলো ধরার জন্য ..... অনেক দিন পর আপনার পোষ্ট দেখলাম....