ভ্রমণঃ নাটোরের গ্রীন ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ পর্ব-৩
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। প্রত্যেক সপ্তাহে আমি আপনাদের মাঝে অন্তত একটি করে ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করে থাকি। প্রত্যেক সপ্তাহের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখার জন্য আমি এই সপ্তাহেতে ও আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা বিগত সময়ে আমার যে পোস্ট দেখেছেন সেখানে হয়তোবা আপনারা জানতে পেরেছেন যে আমরা আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে নাটোরের ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। শুধু ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলাম তাই ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গাটা দেখে অনেক বেশি পরিমাণে মজা পেয়েছিল। যেহেতু ছাত্রছাত্রীরা মজা পেয়েছিল তাই বিষয়টা দেখে আমাদেরও খুবই ভালো লেগেছিল কেননা আমরা সেখানে গিয়েছিলাম ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মজা দেবার জন্যই। আর সেই বিষয়টাতেই যখন সফলতা পাওয়া যায় তখন খুবই ভালো লাগে।
পার্কের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু মূর্তি তৈরি করার ছিল আর সেই মূর্তি গুলো দেখে আমরা সকলেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম। বিশেষ করে সেখানে যে প্রজাপতির মূর্তিগুলো ছিল সেগুলো আমার আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল।
এই পার্কটি নামের সাথে মিল রেখে খুবই সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু নাম দেয়া হয়েছে গ্রিন ভ্যালি পার্ক তাই এখানে সবুজের সমরহ সকলেই উপভোগ করতে পারে। পার্কের মধ্যে বিভিন্ন জায়গাতে যে প্রবেশ করার জন্য গেটগুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলো বেশিরভাগই তৈরি করা হয়েছে গাছের সমন্বয়ে। এক কথায় আমরা যদি বলতে চাই পার্কের মধ্যে অবস্থিত গেটগুলো তৈরি করা হয়েছে গাছ দিয়ে। গাছ দিয়ে তৈরি করার কারণে এটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।
এছাড়াও এই পার্কের মধ্যে সবুজের সমরহ দিয়েই একটা সুন্দর পাহাড় ও তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ের চারিপাশে অনেক সুন্দর সুন্দর গাছ এবং ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে যেন এই পাহাড়ের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়ে যায়। দূর থেকেই এই পাহাড়টি দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনারা যদি একটু কাছে যান তাহলে এটা দেখে তো আপনারা রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এখন পর্যন্ত আপনারা যারা নাটোরের গ্রিন ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ করেননি তারা একবার হলেও ভ্রমণ করে দেখতে পারেন। আশা করি এই জায়গাটি দেখে আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না আজকের মত এ পর্যন্তই। পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা বোনের মধ্য দিয়ে।
শ্রেণী | গ্রিন ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | নাটোর |
W3W | https://w3w.co/detestable.shimmy.concussion |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এত সুন্দর ভ্রমনমূলক একটি পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। নাটোরের গ্রিন ভ্যালি পার্কে আমরা সবাই গিয়েছিলাম এবং সেই দিনের স্মৃতি যেন মনে পড়ে গেল এই পোস্ট দেখার মধ্য দিয়ে। বেশ দারুন একটি পার্ক। সেখানে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে।
এই ভ্রমণটি আসলেই আমাদের জন্য অনেক মজাদার ছিল।
দেশের পার্ক গুলো খুব সুন্দরভাবে কৃত্রিম জিনিস দ্বারা এবং ফুলের গাছ ফলের গাছ দ্বারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে। ঠিক তেমনি অসাধারণ একটি পার্ক আপনারা ভ্রমণ করে দেখেছেন যেখানে অনেক কিছু রয়েছে। পার্কের এমন সৌন্দর্য দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। অচেনা একটি পার্ক সম্পর্কে কিছুটা দেখার সুযোগ মিললো।
বিভিন্ন ধরনের গাছ ব্যবহার করার ফলে এই পার্ক দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর হয়ে গিয়েছে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন পার্কের নামের সাথে ভেতরে জায়গা গুলোর অনেক মিল। পার্কের ভেতরে বেশিরভাগ জিনিসই প্রাকৃতিক সবুজ। গাছপালা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করেছে। আপনার আজকের তৃতীয় পর্বে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি দেখলাম বেশ ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আশা করছি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
যখন ছবিগুলো দেখি সেই সময়টার কথা মনে পড়ে যায়।