বই উৎসবের প্রস্তুতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে সারাদিন খুবই ব্যস্ত সময় পার করেছি। আর ব্যস্ত সময় পার করার কারণ হয়তো বা আপনারা উপরের ছবিগুলো দেখেই বুঝতে পেরে গিয়েছেন। যেহেতু ডিসেম্বর মাস প্রায় শেষ হয়ে গেল আর নতুন বছর আসার সাথে সাথেই ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বই দিতে হবে। বাংলাদেশের সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ হবে বই উৎসব সেজন্য প্রত্যেকটি স্কুলকে জানুয়ারি মাস আসার আগেই বই দিয়ে দেয়া হচ্ছে। আজকে তাই আমাদের উপজেলা শহরে গিয়েছিলাম স্কুলের জন্য বই আনতে।
যেহেতু আজকে একই সাথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রাইভেট স্কুল গুলোকে বই দেয়া হচ্ছিল তাই অন্য দিনে তুলনায় ভিড়ের সংখ্যা একটু বেশি ছিল। আর আজকে বই নিতে যে অন্য ধরনের একটা সমস্যা লক্ষ্য করলাম। শিক্ষা অফিস থেকে প্রত্যেকটা বিদ্যালয় কে ইউনিক আইডি তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু লক্ষ্য করলাম অনেক স্কুল এখন পর্যন্ত ইউনিক আইডি তৈরি করেনি। যেহেতু এখনো অনেক স্কুল ইউনিক আইডি তৈরি করেনি তাই তাদেরকে বই দিতে চাচ্ছিল না। এজন্যই সেখানে একটু ঝামেলা পূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল।
যেহেতু আমি নিজেই দায়িত্ব নিয়েছিলাম এই ইউনিক আইডি তৈরি করার জন্য তাই কাজটা আমরা আগে থেকেই শেষ করতে পেরেছিলাম। আর যেহেতু ইউনিক আইডি তৈরি করেছিলাম তাই আমাদেরকে ততটা ঝামেলায় পড়তে হয়নি এই বই নেবার জন্য। যে সকল স্কুল ইউনিক আইডি তৈরি করেছিল তাদেরকে আগে থেকেই বই দিতে শুরু করলো এবং যারা ইউনিক আইডি তৈরি করেনি তাদের সিরিয়াল ছিল শেষের দিকে।
যেহেতু ইউনিক আইডি তৈরি করেছিলাম তাই ভোগান্তির পরিমাণটা অনেক কম হয়েছিল। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল বই নেবার সময় কেননা আমার সাথে শুধুমাত্র আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়েছিল। যেহেতু একই সাথে অনেকগুলো শ্রেণীর বই দেয়া হয় তাই সবগুলো বই নিয়ে আসা একটু কষ্টের ব্যাপার। তারপরে প্রত্যেক শ্রেণীর বই ঠিকভাবে দিছে কিনা সেটাও দেখে নিতে হয়। যাই হোক আজকের সারাদিন প্রায় আমার এই বই নেবার কাজেই চলে গেল। অবশেষে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া নতুন বই হাতে পেয়েছি এর জন্যই ভালো লাগছে। আশা করি আমরা ও সরকারি নিয়ম অনুসারে পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব পালন করতে পারব।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আগে একটা সময় নতুন বই পাব এটা যে কত আনন্দের ছিল, ওই দিনগুলো মিস করতাম না সবার আগে স্কুলে যেতাম। যেন প্রথম দিকের বইগুলো পাই স্মৃতি এখন এগুলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নতুন বই পাবার মধ্যে যেন অন্য রকমের একটা আনন্দ অনুভূতি রয়েছে।
স্কুলে পড়াকালীন এইরকম বছরের প্রথমে নতুন ক্লাসে ভর্তি হয়ে নতুন নতুন বই পাবার যেই মজা সেটা অতুলনীয়। দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পরে গেলো।
আসলে এ ধরনের জিনিস গুলো দেখলে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বই উৎসবের প্রস্তুতি। আসলে নতুন বছরে সরকার বিনামূল্যে প্রত্যেক স্কুলে ছোট্ট ছেলে মেয়েদের বই বিতরণ করেছে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের বয়ে আনার জন্য অন্য একটি স্কুলে যেতে হয়েছে জানতে পারলাম। যেহেতু নতুন একটি ইউনিক আইডিয়া তৈরি করেছিলেন তাই ঝামেলা একটু কম হয়েছিল। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
নতুন বছরের ছাত্রছাত্রীদের বই দেবার জন্যই আগে থেকেই বই আনতে চলে এসেছি।
নতুন বইয়ের ঘ্রাণ অনেক ভালো লাগে।ছোট বেলায় অপেক্ষায় থাকতাম কবে নতুন বছর আসবে কখন নতুন বই পাবো। আপনার পোস্টি পড়ে সেই কথা মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু নতুন বইয়ের গান আসলেই অনেক সুন্দর।
বছরের প্রথম দিন বই উৎসবের বিষয়টি আমার খুবই ভালো লাগে! কেমন একটা আনন্দ বাচ্চাদের মাঝে! নতুন বই এর ঘ্রাণ নেয়ার কী যে আনন্দ! আহা! আপনার পোষ্ট পড়তে পড়তে ছোটবেলার দিনগুলির কথা মনে পড়ে গেলো! তবে আপনি আগে ভাগেই ইউনিক নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন বলে ভালোভাবেই ঝামেলা ছাড়া বই পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
এটা ঠিক ইউনিক আইডি করার ফলে সবকিছু তাড়াতাড়ি করতে পেরেছি।
আবারো চলে আসলো বই কালেকশনের সময়। গত বছর এই সময় আমি আর জাহাঙ্গীর ভাইয়া দুইবার ওখানে বই কালেকশন করার জন্য গিয়েছিলাম। যাইহোক ভালো লাগলো সুন্দর এই মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে দেখে আশা করি সরকারি স্কুলের পাশাপাশি খুব শীঘ্রই তোমাদের বই দিয়ে দিবে।
তাহলে তো আপনি ভালোভাবেই জানেন এখান থেকে বই কালেকশন করার কতটা কঠিন কাজ।