ক্রিয়েটিভ রাইটিং : অপহরণের ভয়
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। দীর্ঘ সময় আগের কথা সম্ভবত তখন আমি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই আমার আমাদের গ্রামের স্কুলে পড়ার সৌভাগ্য তেমন হয়নি। যখন আমি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি তখনই আমাকে সামাদের উপজেলা শহরের একটা স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের গ্রামের মানুষগুলো লেখাপড়া দেখে একটু বেশি সচেতন। তারা সবসময়ই চাই তাদের সন্তানকে ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করতে যেন ভবিষ্যতে তারা ভালো কিছু করতে পারে। তেমনটা চিন্তা করে আমাকেও ছোটবেলায় আমাদের উপজেলা শহরের একটা স্বনামধন্য স্কুল গাংনী প্রি-ক্যাডেট নামক স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল। যেহেতু তখন আমি ছোট ছিলাম আর আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ৪-৫ জন একই সাথে ভর্তি হয়েছিলাম তাই প্রথমের দিকে আমাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আশা করার জন্য ভ্যান ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর থেকে যখন আমরা নিজেরা চলাচল করার মত সক্ষমতা অর্জন করেছিলাম তখন আমরা নিজেরাই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতাম।
দুই বছর ভালোই কাটছিল। যখন আমি পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র তখন আমাদের এলাকাতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করতে পারলাম। সেই সময়টাতে আমাদের এলাকাতে চাঁদাবাজের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছিল। যেকোন মানুষকে এই মোবাইল করে তখন চাঁদা দেবার জন্য হুমকি দেওয়া হতো। আমার এখন পর্যন্ত মনে আছে আমাদের গ্রামের প্রায় সব পরিবারেই চাঁদা চাওয়া হয়ে গিয়েছিল। এমনকি আমার পরিবারেও চাঁদার টাকা চাওয়া হয়েছিল। এই চাঁদা বলতে আমি কিন্তু কোন কাজের জন্য টাকা নেওয়ার কথা বলছি না। এই চাঁদা বলতে আমি আপনাদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করছি হুমকি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করাকে। যেহেতু আমি শহরে লেখাপড়া করতাম তাই আমার পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়েছিল তারা যদি তাদের চাওয়া চাদর টাকা পরিশোধ না করে তাহলে আমাকে তারা অপহরণ করে নিয়ে যাবে। যেহেতু সেই সময় আমি আমার পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলাম আর লেখাপড়ার কাজে প্রতিনিয়ত আমাকে শহরে যেতে হতো তাই পরিবারের লোকজন খুবই চিন্তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। এমনও একটা পর্যায়ে চলে এসেছিল যেই সময়টাতে আমার লেখাপড়া শহরের স্কুলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। যেহেতু সেই সময় মোটামুটি ভালো মানের একটা ছাত্র ছিলাম তাই স্কুলের শিক্ষকেরা চাচ্ছিল যেন আমি স্কুলেই থেকে যায়। তারা আমার পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করল যেন আমি এই স্কুলেই লেখাপড়া করি। আমার পরিবারকে অনেক বোঝানোর পর আমার পরিবার বুঝতে পারল যে যদি আমি এই স্কুলে লেখাপড়া করি তাহলে ভালো কিছু করতে পারবো কিন্তু ভয়ের বিষয়টা তো থেকেই যাচ্ছে। এরপরে এই ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাকে এবং আমার পরিবারকে অনেক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম তা আপনাদের মাঝে পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করব।
আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না।আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
চাঁদা বলতে প্রথমে আমি, কোন কাজের জন্য টাকা তোলার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম এই চাঁদা আসলে,বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া। স্বাভাবিক এরকম চাঁদা চাইলে তো সকলের পরিবারই ভয় পেয়ে যাবে ঠিক যেমন আপনার পরিবার পেয়েছিল। পরবর্তীতে আপনারা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এই সমস্যা সমাধানের জন্য, তা জানার অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
না আপু এই চাঁদা বলতে জোর করে টাকা নেওয়া কে বোঝায়।
আসলে এরকম অনেক ঘটনা রয়েছে যেগুলো এখনো আমাদের মনে পড়ে। বিশেষ করে ছোটবেলার ঘটনাগুলো আমাদের বেশিরভাগ সময় মনে পড়ে যায়। আজকে আপনি ছোটবেলার একটা গল্প শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। অপহরণের ভয় গল্পটির কিছু অংশ আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করছি পরবর্তী অংশটা তাড়াতাড়ি দেখতে পাবো।
ছোটবেলায় এই ঘটনা নিয়ে খুবই ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম।
আপনার গল্পটা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এই ধরনের গল্প গুলো অনেক পছন্দ করি। তবে বাস্তবিক ঘটনাগুলো জানতে পারলে মাঝে মাঝে অন্যরকম লাগে। আসলে এই ধরনের ঘটনা গুলো বেশিরভাগ জায়গায় ঘটতো আগে। অপহরণের কথা বলে টাকা আদায় করে নিত মানুষগুলো।
এই ঘটনাটা আমার জীবনের সত্যিকারের ঘটনা।
ভাই এলাকার সবার থেকে চাদা চাইল, তারপরেও এলাকার লোকজন চুপ করে রইল এটা কেমন কথা।সবাই মিলে প্রতিবাদ করা উচিৎ ছিল।যাই হোক আপনার শেষ পর্যন্ত কোন ক্ষতি হয়নি এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ আপনার ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
তারা তো মোবাইলে হুমকি দিত সামনে আসতো না তাই মানুষজন কিছু করতে পারত না।
শেয়ার লিংক