ছোট গল্প: হটাৎ দেখা- পর্ব -৪(শেষ পর্ব) ||@shy-fox🦊10% beneficiary @abb-school 5%

আমার সকল প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা অসীম রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আমি সবসময় চাইবো আপনারা ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন।

সোর্স

তৃতীয় পর্বের পর....

আমি নীলাকে দেখে একটু অবাক কি হলাম। কারণ নীল কলেজ জীবনে যে ছেলের সাথে সম্পর্ক করে ছিল। তার সঙ্গে বিবাহ হয়নি। যাইহোক আমি জামালপুর থেকে ঢাকায় আসতে ছিলাম ট্রেনে। আমরা চার বন্ধু এক সাথে। আমি যে ছিটে বসে ছিলাম তার পাশেই নীলা ছিট ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি প্রথমে চিনতে পারিনি। নীলাও আমাকে চিনতে পারিনি। কারণ নীলা আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমিও অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছি। আমি নীলার দিকে বার বার তাকাচ্ছি। নীলাও আমার দিকে তাকাচ্ছে।

আমি বার বার জিজ্ঞাসা করতে চেয়েও করতে পারছি না। আবার মনে মনে ভাবছিলাম কথা বলেই দেখি। মানুষের মতো মানুষ থাকতেই পারে। আর কিছু না ভেবে বলেই ফেললাম, আপনি কি নীলা? নীলা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি আবার জানতে চাইলাম আপনি কি নীলা? আমার পরিচয়ও দিলাম নীলা তখনই বলল হা আমি নীলা। আমাকে দেখে কেঁদেই দিল। বলল কেমন আছো? নীলা আবেগ প্রবন হয়ে পরেছে। চোখের জল টলোমলো করছে। আমারও চোঁখের জল টলোমলো করছে। হাজার হোক আমার প্রিয় বান্ধবী। আমিও একটু আবেগ প্রবন হয়ে পড়েছি।

নীলা চোখের জল ফেলেই দিল। আমি বললাম, পাগলী, কান্না করছো কেন? আমি ছিট থেকে উঠে দাঁড়ালাম নীলাকে বললাম তুমি সিটে বসো। নীলা সিটে বসে পড়লাম আর বার বার চোখ মুছতেছে। নীলা বললো তোমাকে অনেক দিন পরে দেখলাম আমি নীলাকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার স্বামী কোথায়। নীলা বলল তোমার পাশেই দাড়িয়ে আছে। আমি পেছন ফিরে তাকালাম নীলার স্বামী ছোট বাবু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি নীলার স্বামীর সাথে পরিচয় হলাম। আমি নীলার স্বামীকে বললাম কিছু মনে করিয়েন না। নীলা আমার ভালো বন্ধু অনেক দিন পরে দেখা তাই দুজনেই কেঁদে ফেললাম। নীলার স্বামী বলল আমি বুঝতে পেরেছি। আপনার সম্পর্কে নীলার কাছ থেকে অনেক কথা শুনেছি। আমি আমার বন্ধুকে বললাম দুলাভাইকে বসতে দাও।

নীলা আমাকে জিজ্ঞাসা করল তোমার খবর বল? আমি বললাম, আমার দুটি সন্তান রয়েছে আমি বর্তমানে ঢাকায় থাকি। ঢাকায় ব্যাবসা নিয়ে আছি। নীলা বলল, পরিবারে সবাই ভালো আছে। আমি বললাম, হুম আল্লাহ্ রহমতে সবাই ভাল আছে। আমি নীলাকে বললাম তোমার ছেলে মেয়ে কয় জন। নীলা বলল, আমার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বললাম যাক ভালো হেসে বললাম তুমি দুটি জান্নাতির মা। নীলা হেসে উত্তর দিল ঠিক বলেছ। নীলার মুখে হাসি দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক নীলার অনেক কলেজ জীবনের সৃতি চারণ করলাম। নীলা এবং নীলার স্বামীর সাথে অনকে গল্প করলাম। খুব ভালো লাগছিল আমাদের।

আমরা ট্রেনের মধ্যেই অনেক আলোচনা করেছি। কিন্তু একটা বিষয়ে নীলাকে বলতেই পারিনি ওর স্বামী সঙ্গে থাকার কারণে। সেটি হলো নীলা যার সাথে সম্পর্ক করেছিল তাকে কেন বিয়ে করেনি। আমার জনার খুব ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু নীলাকে বলতে পারিনি।
আমার প্রিয় বান্ধবীর জন্য দোয়া করি। যেখানেই থাকো খুব ভালো থাকো। এই দোয়ায় করি।

আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে আমার এই গল্পের কাহিনী। কোন ভুলত্রুটি হলে অবশ্যই আপনার ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

(শেষ)

সবাইকে ধন্যবাদ

🌹আমার পরিচয়🌹

ধন্যবাদ

@mosarofhosen