ছোট গল্প: হটাৎ দেখা- পর্ব -২||@shy-fox🦊10% beneficiary @abb-school 5%
আমার সকল প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি সৃষ্টিকর্তা অসীম রহমতে সবাই সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহ্ রহমতে ভালো আছি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সবসময় এই দোয়া করি।
প্রথম পর্বের পর....
আমি বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে। একটু বিশ্রাম নিলাম। বিকেল বেলা আমি সাইকেল মেরামত করার জন্য বাজারে যায়। কারণ আমাকে তিন কিলমিটার হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি বাজারে গিয়ে সাইকেল মেরামত করে সন্ধ্যার মধ্যেই বাসায় চলে আসলাম। সন্ধ্যার পর পড়ার টেবিলে বসে নীলাকে নিয়ে ভাবলাম। নীলার কন্ঠ অনেক সুন্দর। শুনতে খুব ভালো লাগে। নীলা কথা বলে স্পষ্ট ভাষায়।
আমার কাছে নীলাকে ভালোই লাগে।
আমি পরের দিন সাইকেলে করে কলেজে উদ্দেশ্য রওনা হলাম। আমি মনে মনে ভাবছিলাম আজ কি নীলার সাথে দেখা হবে রাস্তায়। আমি আজ সাইকেলে যাচ্ছি। আবার চিন্তা করলাম নীলা কি আমার জন্য অপেক্ষা করবে। আমি স্বাভাবিক ভাবে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি। আগের দিন নীলা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম। কিন্তু নীলা সেই দিন ছিল না। আমি ভাবলাম নীলা হয়তো আজ কলেজে চলে গেছে। আমি একটু নীলাকে নিয়ে বেশিই ভাবছি। আবার চিন্তা করলাম নীলার সাথে তো আমার হঠাৎ দেখা হয়েছিল। আমি যা ভাবছি নীলা হয়তো তা ভাবছে না।
আমি কলেজের দিকে রওনা হলাম। আমি সাইকেল রেখে ক্লাসে ঢুকছিলাম সেই মুহুর্তেই পেছন থেকে নীলা আমার নাম ধরে ডাকলো। আমি পেছন ফিরে দেখলাম নীলা। নীলা আমাকে বলল তুমি আজ দেরীতে আসলে কেন? আমি তোমার জন্য অনেক অপেক্ষা করছি। আমি বললাম আমি তো দেরি করিনি। কাল আমার সাইকেল নষ্ট ছিলো তাই বাসা থেকে আগেই বেরিয়ে ছিলাম। আজ সাইকেল ছিলো তাই একটু দেরীতে বের হয়। আমি বললাম, কি দরকার আমার জন্য অপেক্ষা করার তুমি কলেজে আসলে আমার সাথে দেখা হবে। নীলা আমার কথা শুনে একটু মন খারাপ করলো। নীলা ভেংচি কেটে বলল ঠিক আছে আমি আর তোমার জন্য অপেক্ষা করবো না। আমি মনে মনে ভাবলাম নীলা আমার সাথে যেভাবে কথা বলছে যেনো অনেক দিনের চেনা।
আমি নীলাকে বললাম, তুমি আমার উপর রাগ করছো। নীলা বলল, তোমার উপর রাগ করবো কেন?
তুমি কি আমার বয়ফ্রেন্ড। নীলা আবার কথা ঘুড়িয়ে নিলো বলল তুমি আমার ভালো বন্ধু। আমি একটু এক ঝলক হাসি দিয়ে বললাম চলো ক্লাস রুমে। আমরা ক্লাসে ঢুকে পড়লাম। আমাদের ক্লাস তখন নয়টায় শুরু হয়। ছুটি হয় দুই টায়। আমি ক্লাস শেষ করে সাইকেল নিয়ে বেরহই নীলা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি নীলাকে বললাম, আমার সাইকেলে উঠবে। নীলা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম না। আবার বললো আমার বাসা পর্যন্ত হেঁটে যায় আমরা তোমার কোন আপত্তি আছে। আমি বললাম আরে না চলো।
আমরা নীলার বাসা পর্যন্ত হেঁটে আসছিলাম। আমরা পড়া লেখা নিয়ে অনেক আলোচনা করলাম। নীলার কথা শুনতে ভালই লাগছিল। আমরা কথা বলতে বলতে নীলার বাসার কাছে চলে আসলাম। আমি নীলাকে বিদায় দিয়ে সাইকেলে চড়ে বাসায় আসলাম।
আমি মনে মনে নীলাকে পছন্দ করতে শুরু করছি।
আবার চিন্তা করছি নীলা তো আমার ক্লাস মেট এটা কিভাবে সম্ভব। আর নীলাকে বললে সে কিভাবে নিবে। আমি ভাবলাম নীলা যদি আমাকে কোন ইঙ্গিত দেয় তাহলে প্রোপোজ করবো। এই ভাবে আমাদের দুজনের মাঝে বন্ধু হিসাবে চলতে থাকে। হঠাৎ একদিন নীলা আমাকে কিছু বলার জন্য আমার বাসা থেকে সকাল সকাল আসার জন্য বলে।
(চলবে)
🌹আমার পরিচয়🌹
আমার নাম মোশারফ হোসেন। আমার বাড়ী থানা ইসলাম পুর জেলা জামালপুর। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বয়স ৩০ বছর। আমি একজন
বিবাহিত। আমার স্ত্রী একজন গৃহিণী। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। একটি মেয়ে একটি ছেলে। আমার সুখী পরিবার। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ
আপনি আপনার পোষ্টে বেনিফিসিয়ারী দেননি। আপনি হয়তো এই বিষয়টি অবগত রয়েছেন বেনিফিসিয়ারী ছাড়া কোন পোস্ট নমিনেশনে যাবে না। অনুগ্রহ করে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া, আমি বেনিফিসিয়ারী দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। পোষ্ট করার পর আমি খেয়াল করেছি। আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ভাইয়া।