ভালোবাসার গল্প: ব্যর্থ ভালোবাসা|| পর্ব ২

আমার সকল প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা অসীম রহমতে সবাই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আপনারা সবসময় ভালো থাকুন এবং সুস্থ এটাই কামনায় করি।

সোর্স

প্রথম পর্বের পর...

আমাদের স্কুল টি অনেক বড় ছিলো এবং ছাত্র ছাত্রীও ছিল অনেক। বিশাল বড় মাঠ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছিল একসাথে। প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসা, হাইচ স্কুল এবং কলেজ সব প্রতিষ্ঠানের মাঠ একটাই ছিলো। সজীবের জন্য নদীকে খোঁজে পাওয়া একটু কষ্ট হবে। সজীব আমাকে ছাড়া যেতে চাইছে না। আমি বললাম, নদীর মুখের ফেস মনে আছে তোর তুই তো একবার দেখেছিস। স্কুল ড্রেসে নদীকে অন্য রকম লাগতে পারে। তার চেয়ে এটাই ভালো হবে স্কুল ছুটি হওয়ার সাথে সাথে ওদের বাড়ীর যাওযার রাস্তায় আমরা দুজন অপেক্ষা করবো। সজীব আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো তুই তো আমার সত্যিই ভালো বন্ধু। আমি মজা করে বললাম কবে মিথ্যা ছিলাম।

যাইহোক, আমাদের সময় মতো স্কুল ছুটি হয়ে গেল। স্কুলের গেট থেকে সবার আগে আমরা দুজন বের হলাম। আমরা দুজন ওর বাড়ীর যাওযার রাস্তায় দাড়িয়ে আছি। কিছুক্ষন পর দেখি নদী ওর এক বান্ধবীর সাথে আসতেছে। আমরা সামনের হাটতেছি নদী আমাদের পিছনে। আমি একটু পিছন দিকে তাকালাম নদী একা আসতেছে। আমি সজীব কে বললাম তুই কি আজ প্রোপোজ করবি। সজীব বলল, না আজকে শুধু ওকে ভালো করে দেখে নিব। আজ শুধু ওর সাথে একটু কথা বলে দেখি। নদী আমাদের কাছাকাছি আসর পর সজীব আমাকে চিমটি কাটল তুই কথা বল। আমি বললাম, নদী কেমন আছো? নদী আমার কথা শুনে দাড়ালো এবং বললো ভাইয়া ভালো আছি। আপনারা কেমন আছেন? আমি বললাম আমরা ভালো আছি। তুমি কোন ক্লাসে পড়। ও বলল, ক্লাস অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে। আমি নদীকে বললাম ঠিক আছে তুমি যাও। সে চলে গেল।

আমি সজীবকে বললাম দেখা হয়েছে। সজীব বলল দেখেছি আজকে ওকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। আমি সত্যিই খুব ভালোবেসে ফেলেছি। কাল আমি ওকে প্রোপোজ করবো। তবে কিভাবে করবো বুঝতে পারছি না। আমি বললাম, সরাসরি বলে দিবি আমি তোমাকে ভালোবাসি। সজীব বলল, আমার অনেক ভয় লাগছে। বললাম, ভয় পাবার কি আছে। তোর তো মেয়ে দেখলে প্রোপোজ করতে ইচ্ছা করে। এখন ভয় পাচ্ছিস কেন? ও বলল, নদীর বিষয় টা একটু আলাদা। বললাম, ঠিক আছে এটা নিয়ে পরে ভাবা যাবে। আমরা বাসায় চলে আসলাম। বিকেল বেলা সজীব আমার কাছে আসল বলল, বন্ধু চল ওদের ওখানে ঘুরতে যাই। বললাম, এটা ঠিক হবে না। তার চেয়ে কাল কিভাবে প্রোপোজ করবি এটা প্ল্যান কর।

সজীব বলল, কাল আমি ওকে প্রোপোজ করব। বললাম, ভয় পাবি না তো আবার। ও বললো, একটু তো পাবোই যেহেতু আমার প্রথম প্রোপোজ। আমরা এই বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা করলাম। সন্ধ্যা নেমে আসলো আমরা যার যার বাসায় চলে আসলাম।
পরের দিন আমরা স্কুলে গেলাম। সজীব অস্থির হয়ে আছে কখন নদীকে প্রোপোজ করবে আর ভাবছে কি ভাবে করবে। টিফিনের সময় সজীব বলল, বন্ধু চল নদীকে একটু দেখে আসি। আমরা দুজন অষ্টম শ্রেনীর ক্লাসে সামনে গেলাম। দেখি নদী ওর বান্ধবীর সাথে ক্লাসের বারান্দায় দাড়িয়ে আছে। আমরা ওর সামনে দিয়ে ওকে দেখে চলে গেলাম। সজীব বললো ওকে একটু দূর থেকে দেখি। বললাম, এত পাগলামি করসি না তাহলে নদীর কাছে খারাপ দেখা যাবে।

স্কুল ছুটি হলো আমি সজীবকে বললাম আজ বলতে পারবি। ও বললো, আমার না খুব ভয় লাগছে কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। বললাম, ঠিক আছে যেদিন তোর ভয় কেটে যাবে সেদিন বলিস। ওর বান্ধবীকে দিয়ে বললে কেমন হবে? বললাম, এটা মনে হয় ঠিক হবে না। নদী কিছু মনে করতে পারে। তাহলে দেখা যাবে তোর প্রেম আর হবে না। ঐ দিন সজীব প্রোপোজ করলো না। এভাবে দেখা দেখির মাধ্যমে কিছু দিন কেটে গেল। এক দিন সেই সময় টা এসেই গেলো। সজীব বললো, নদীকে বলেই দেখি কি হয়। এভাবে আর ভালো লাগছেনা। স্কুল ছুটি পর আমরা আগেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। নদীর সাথে দেখা হলো। সজীব নদীকে দাড়াতে বলে। আমি একটু সাইটে সরে দাড়ালাম। নদী বলল ভাইয়া আমি দাঁড়াতে পারবোনা। আপনি বলেন আমি শুনতেছি। সজীব নদীকে বলল আমি তোমাকে পছন্দ করি। আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।

(চলবে)

🌹আমার পরিচয়🌹

ধন্যবাদ

@mosarofhosen