নাটক রিভিউ-কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। নাটক দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই সময় পেলে নাটক দেখি। বিশেষ করে নতুন নতুন নাটক গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে আমি একটি নাটকের রিভিউ সবার মাঝে উপস্থাপন করবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
নাম | কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি |
---|---|
পরিচালনা | মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ |
সহকারী পরিচালক | আর বি রোকন |
অভিনয়ে | ইয়াশ রোহান, তানজিম সায়েরা তটিনী ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৫৪ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- ইয়াশ রোহান
- তানজিম সায়েরা তটিনী
নাটকের শুরুতেই দেখতে পাই অয়নের সাথে তমার রাস্তায় দেখা হয়েছে। প্রথম দেখাতেই অয়ন তমাকে পছন্দ করেছে। এরপর তমার সাথে কথা বলে এবং অয়নের ফোন নাম্বার দেয়। বলে তার বুকে খুবই ব্যথা করছে সে যদি তার বুকের ব্যথা সারাতে চায় তাহলে যেন ফোন করে। এরপর দুজন দুদিকে চলে যায়। এরপর তমাদের বাড়ির সিন দেখানো হয়। তমার সৎ মা তমার বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটির বউ মারা গেছে। আর একটি বাচ্চা আছে। তমার বাবাও মোটামুটি রাজি হয়েছে। এটা শুনে তমার খুবই খারাপ লাগে। তখনই সে অয়নকে ফোন করে আর দেখা করতে বলে। প্রথমে অয়ন অবাক হয়ে যায়। এরপর দ্রুতই তমার সাথে দেখা করতে বেরিয়ে পড়ে।
অয়ন যখন তমার সাথে দেখা করতে যায় তখন জানতে পারে তমার একেবারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে। অয়ন বুঝতে পারছিল না কি করবে। কারণ তাদের পরিচয় মাত্র একদিনের। এবার অয়ন তমার কাছ থেকে তমার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে সেখানে যায়। কিন্তু অয়নকে দেখে তমার বাবা আরো বেশি রেগে যায়। কারণ তিনি অয়নকে খারাপ ছেলে ভেবেছিলেন। এরপর অয়ন তমাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে। সেখানে আসার পর তার ভাবির কাছে অনেক বেশি অপমানিত হয়। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। কোথায় যাবে তমাকে নিয়ে বুঝতে পারছিল না। এরপর তার বন্ধুর বাসায় যায়। বাসায় একজন মেয়েকে নিয়ে আসা অয়নের উচিত হয়নি এই নিয়ে দুই বন্ধুর মাঝে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু কি আর করার বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কথা। তাই তমাকে সেখানে থাকতে দেয়।
অয়ন এবং তার বন্ধু ভয় পাচ্ছিল বাড়িওয়ালা যদি টের পায় তাহলে খবর আছে। এরপর তারা দুজন যখন বাইরে যায় তখন বাড়িওয়ালা তার বাসায় আসে এবং তমাকে সে আগে থেকেই চিনতো। কারণ তমা ছিল বাড়িওয়ালার বন্ধুর মেয়ে। তমার বলে সে অয়নকে বিয়ে করেছে। আর অয়নের যেহেতু চাকরি নেই তাই বন্ধুর বাসায় উঠেছে। এই কথা শুনে বাড়িওয়ালা সেখান থেকে চলে যায়। আর রাস্তায় গিয়ে তমার বাবাকে ফোন করে সব কিছু বলে। বলে অয়ন খুবই ভালো ছেলে। এই কথা শুনে তমার বাবা নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং তিনি তমার সাথে দেখা করতে আসে। এবার বাড়িওয়ালা তাদের জন্য আরো অন্য একটি বাসার ব্যবস্থা করে এবং চাকরির ব্যবস্থা করে। অয়নের একটি ভালো চাকরি হয়ে যায়। অন্যদিকে অয়নের বাবা-মা তার ভাইয়ের সংসারে খুবই অপমান অপদস্ত হচ্ছিল। তার ভাবি প্রতিনিয়তই তাদেরকে অপমান করে চলেছিল।
ছেলের বউয়ের কাছে অপমানিত হয়ে অয়নের বাবা-মা বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এরপর অয়নের বাবা মায়ের সাথে দেখা হয় তমার। তমা তাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। অয়ন বাবা মাকে নিজের বাসায় দেখে অবাক হয়ে যায় এবং অনেক খুশি হয়ে যায়। এরপর থেকে তারা সবাই একসাথে থাকতে শুরু করে। অন্যদিকে অয়ন অফিসে তার বড় ভাইয়ের বস হিসেবে চাকরিতে জয়েন করে। এটা তার ভাই কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। অয়নের ভাই তখনও তার বাবা-মাকে দোষারোপ করছিল। এভাবে দেখতে দেখতে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। সবকিছুই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায়। অয়নের বাবা-মা তমাকে অনেক আপন করে নিয়েছে। আর তমা যেহেতু ছোটবেলায় তার মাকে হারিয়েছে তাই সে অয়নের মাকে নিজের মা করে নিয়েছে।
অয়নের ভাই ভাবি আলাদা বাসায় থাকতে শুরু করে এবং অয়ন তার বাবা মাকে নিয়ে নতুন বাসায় থাকতে শুরু করে। এরপর তাদের বিয়ের ছোট্ট একটি অনুষ্ঠান হয়। আর সুন্দর কিছু মুহূর্ত দেখানো হয়। গল্পের শেষ পর্যায়ে একটি সুখী ফ্যামিলির চিত্র তুলে ধরা হয়। অয়ন যেভাবে তমাকে বলেছিল তার বুকে ব্যাথা করছে আর ফোন নাম্বার দিয়েছিল সেভাবেই তমা অয়ন কেউ এই কথাগুলো বলে আর ফোন নাম্বার দেয়। এই মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক দারুন ছিল। তারা দুজনেই এক হয়ে যায় আর সুন্দর একটি সমাপ্তি ঘটে।
নাটকের গল্পটি ভালোই লেগেছে। অনেকে আছে বাবা-মাকে অবহেলা করে আর ছোট ভাইকে সবসময় অবহেলার চোখে দেখে। আসলে চাকরি কিংবা অর্থ দিয়ে কখনো ভালোবাসা অর্জন করা যায় না। ভালোবাসা হৃদয় থেকে তৈরি হয়। অয়ন যখন বেকার ছিল তখন তার ভাই ভাবির সংসারে অনেকটা বোঝার মত ছিল। এরপর সে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় এবং নিজের ফ্যামিলিকে একটি সুন্দর জীবন পেতে সাহায্য করে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
https://x.com/Monira93732137/status/1868597653409509505?t=NBrk6n63-01jgZsVyKGxAg&s=19
এই নাটকটা আমার কয়েকদিন আগে দেখা হয়েছে। নাটকটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এবং শেষের সিনটা। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর নাটকটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পড়লাম আজকে। আমি সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি। তবে ব্যস্ততার জন্য খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আমার কাছে এরকম সুন্দর এবং শিক্ষনীয় নাটক দেখতে অসম্ভব ভালো লাগে। তবে আমি নাটকের থেকে মুভি একটু বেশি দেখি। যার কারণে নাটক এখন একেবারেই কম দেখা হয়। অনেক সময় শর্ট ভিডিওর মধ্যেও নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী দেখি। আজ আপনি কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি নাটকের রিভিউ টা নিয়ে আমাদের সবার মাঝে উপস্থিত হয়েছেন, এটা সত্যি খুব সুন্দর ছিল। কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি নাটকের কাহিনী ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জীবনের বাস্তবতা থেকে গল্পের কাহিনী তৈরি হয়। নাটক কিংবা সিনেমায় সেই মুহূর্তগুলোই তুলে ধরা হয়। এই নাটকটিতেও তেমনটা হয়েছে ভাইয়া। বাস্তবের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
নাটকটা এখন ও আমার দেখা হয়নি আপু।তবে আপনার এত সুন্দরভাবে নাটক রিভিউ দেখে দেখার ইচ্ছা বেড়ে গেছে। অবশ্যই দেখবো নাটকটি।এত সুন্দরভাবে নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি সময় পেলে নাটকটি দেখবেন। নাটকটি সত্যি দারুন ছিল। অনেক ভালো লেগেছিল আমার।
ওয়াও আপনি দারুন একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন আপু। কালকে রাতে আমি এই নাটকটি দেখেছি।ভাবলাম কালকে নাটকের রিভিউ করব তার আগেই আপনার পোস্টে নাটকের রিভিউ দেখতে পেলাম।আমার কাছে এই নাটকটি ভীষণ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে পুরো নাটকের কাহিনি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি এই নাটকটি দেখেছেন এবং রিভিউ শেয়ার করতে চেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা নাটক রিভিউ দেখার অপেক্ষায় রইলাম।।
ইয়াস রোহান আমার খুব পছন্দের একজন অভিনেতা। নাটকটির গল্প আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আরো ভালো লেগেছে যে তারা শেষে এক হতে পেরেছে। ভালোবাসা সত্যি সুন্দর। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ইয়াস রোহান আমারও খুবই পছন্দের অভিনয়শিল্পী। আর এই নাটকটিও দারুন ছিল। অভিনয় খুবই ভালো হয়েছিল আপু।
নাটকের নামের সাথে জীবনের অনেক মিল আছে আপু। জীবনটা এমনই কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি। খুব সুন্দর একটি নাটক দেখলেন। এত সুন্দর নাটক দেখলে অনেক কিছু বিষয় শেখা যায় অভিজ্ঞতা বাড়ে। নাটক রিভিউটি শেয়ার করে দেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি আপু নাটকের গল্পটি জীবনের সাথে মিলে যায়। এরকম অভিজ্ঞতা অনেকেই অর্জন করেছে। নাটকের গল্পটি দারুন ছিল।
অনেক ভালোলাগার একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপু। আপনার রিভিউ করা নাটকটা আমার কাছে অনেক ভালো। খুব সুন্দর ভাবে আপনি নাটক রিভিউ করেছেন। নাটক রিভিউ করে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
নাটক দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি রিভিউ শেয়ার করতে ভালো লাগে। এই নাটকটি খুবই ভালো লেগেছিল। তাই রিভিউ শেয়ার করেছি আপু।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন আপু। নাটক রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি তবে নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমি সময় করে অবশ্যই নাটকটি দেখব। এত সুন্দর নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নাটক দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে নাটক দেখি। আপনিও সময় পেলে এই নাটকটি দেখতে পারেন আপু। আশা করছি ভালো লাগবে।