রেসিপি-তেলেভাজা পুলি পিঠা রেসিপি|[১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। শীত মানে মজার মজার পিঠা তৈরির উৎসব। শীতকাল এলেই মজার মজার পিঠা খেতে ইচ্ছে করে। তাই আজকে তেলে ভাজা পুলি পিঠার মজার রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি।
তেলেভাজা পুলি পিঠা রেসিপি:
পুলি পিঠা খেতে সবাই পছন্দ করে। অনেকে দুধপুলি খেতে পছন্দ করে আবার অনেকে তেলে ভাজা পুলি পিঠা খেতে পছন্দ করে। আমার কাছে দুধ পুলি খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি তেলেভাজা পুলি খেতে ভালো লাগে। এই পিঠা আমার খুবই পছন্দের। পুলি পিঠা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে শীতের সকালে গরম গরম তেলে ভাজা পুলি পিঠা খেতে দারুন লাগে। সকালের হালকা রোদ আর গরম গরম মচমচে পুলি পিঠা ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি দারুন এক অনুভূতি তৈরি হয়। আমি খুব একটা ভালো পিঠা তৈরি করতে পারি না। তবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি তেলে ভাজা পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
চালের গুঁড়া | ৫০০ গ্রাম |
চিনি | ২০০ গ্রাম |
নারিকেল | ৩০০ গ্রাম |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | ৫ চামচ |
তেলেভাজা পুলি পিঠা রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১
তেলেভাজা পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি পাতিলের মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী পানি নিয়েছি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সময় পানি গরম করে নিয়েছি। পানি যখন পুরোপুরি ভাবে গরম হয়েছে এবং ফুটতে শুরু করেছে তখন চালের গুঁড়া গরম পানির মধ্যে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছি।
ধাপ-২
ধীরে ধীরে চালের গুঁড়া গুলো গরম পানির মধ্যে দিয়েছি এবং নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে পিঠা তৈরির জন্য চালের গুঁড়া গুলো প্রস্তুত হয়।
ধাপ-৩
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার জন্য পুলি পিঠা তৈরির উপকরণ অর্থাৎ চালের গুঁড়া ভালোভাবে সিদ্ধ হয়েছে এবং প্রস্তুত হয়েছে।
ধাপ-৪
এবার পুলি পিঠা তৈরির জন্য নারিকেল গুলো প্রস্তুত করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রথম একটি কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়েছি। এরপর নারিকেল গুলো দিয়েছি ভেজে নেওয়ার জন্য।
ধাপ-৫
এবার পরিমাণ অনুযায়ী চিনি দিয়েছি এবং খুবই সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার চিনি এবং নারিকেল ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার জন্য নাড়াচাড়া করেছি। খুব ভালোভাবে নাড়াচাড়া করেছি যাতে করে কড়াইয়ের সাথে লেগে না যায়।
ধাপ-৭
এভাবে আরো কিছুক্ষণ সময় ভাজার পর পুলি পিঠার ভেতরে দেওয়ার জন্য নারিকেল গুলো প্রস্তুত হয়েছে। এবার সিদ্ধ করে রাখা চালের গুঁড়া গুলো ভালোভাবে প্রস্তুত করেছি।
ধাপ-৮
এবার সুন্দর করে বড় সাইজের রুটি করে নিয়েছি। এরপর পুলি পিঠা তৈরির জন্য রুটিগুলো গ্লাস দিয়ে কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে খুব সহজেই তৈরি করা যায়।
ধাপ-৯
গ্লাস দিয়ে কাটার ফলে খুব সুন্দর ভাবে গোল গোল রুটি তৈরি হয়েছে। আর দেখতে ভালো লাগছে।
ধাপ-১০
এবার ছোট ছোট রুটি গুলোর উপর নারিকেল ভাজা গুলো দিয়েছি।
ধাপ-১১
এবার সুন্দর ভাবে পিঠাগুলো তৈরি করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা ছবিগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন কিভাবে আমি পিঠা তৈরি করেছি।
ধাপ-১২
এভাবে ধীরে ধীরে বেশ কিছু পিঠা সুন্দরভাবে তৈরি করে নিয়েছি। এরপর পিঠা গুলো তেলে ভেজে নেওয়ার জন্য কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়েছি।
ধাপ-১৩
তেল গরম হওয়ার পর পুলি পিঠাগুলো গরম তেলের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ধীরে ধীরে পিঠাগুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
শেষ ধাপ
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ সময় পিঠাগুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি এবং নাড়াচাড়া করে ভেজে নিয়েছি।
উপস্থাপনা:
পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি হয়ে গেলে সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য সাজিয়ে নিয়েছি। তেলে ভাজা পুলি পিঠা খেতে দারুন লেগেছিল। গরম গরম পুলি পিঠা ভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই তো আমি এই মজার রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আহা 😋
শীত আসতে না আসতেই চমৎকার স্বাদে পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন। এই পুলি পিঠা অসাধারণ লাগে খেতে। আমার দাদু ভীষণ স্বাদের করে তৈরি করতেন এই পিঠা কিন্তু তিনি আজ বেঁচে নেই তবে দাদুর তৈরি পিঠার স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে মনে হয়।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার পিঠা রেসিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য 🥀
দেখতে দেখতে শীতকাল এসে গেল ভাইয়া। শীতকাল এলেই মজার মজার পিঠা খেতে ইচ্ছা করে। আপনার দাদু এই পিঠা তৈরি করতেন এবং খেতে পছন্দ করতেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে মানুষগুলো হারিয়ে যায় কিন্তু স্মৃতিগুলো থেকে যায়।
নারকেলের পুলি পিঠা সবসময় খুব ভালো লাগে। আর এটি যে কোন ভাবেই খাওয়া যায়। দুধ পুলি অথবা তেলে ভাজা পুলি পিঠা, তাছাড়া আবার ভাপে দেয়া পুলি পিঠা খেতেও অসাধারণ লাগে। আমার কাছে খুব ভালো লাগে দুধপুলি পিঠা।আজকে খুব সুন্দর একটি শীতের পিঠা নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন আপু। খুব ভালো লাগলো।
নারকেলের পুলি পিঠা খেতে সত্যি ভালো লাগে। দুধ পুলি যেমন ভালো লাগে তেমনি পুলি পিঠা তেলে ভেজে খেতেও ভালো লাগে। তবে ভাপা পুলি পিঠা নিজে কখনো তৈরি করিনি। ধন্যবাদ আপু আপনার মতামতের জন্য।
আপনার পুলি পিঠার রেসিপিটি দেখে আর লোভ সামলাতে পারছি না ।পুলি পিঠা রেসিপিটি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে বেশ গোছালোভাবে উপস্থাপন করেছেন যে কেউ অতি সহজে এই পিঠাটি তৈরি করে খেতে পারবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপু আমার বাসায় চলে আসেন আমি অবশ্যই তৈরি করে খাওয়াবো। যাইহোক আপু এই মজার পুলি পিঠা রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমারও খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি শীতের দিনে দারুন একটা পিঠা তৈরি করছেন। নারিকেল দিয়ে যেকোনো পিঠাই দারুন লাগে খেতে। এই তেলে ভাজা পুলি পিঠা খেতে আমার কাছে দারুন মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর হয়েছে তেলে ভাজা পুলি পিঠা। তেলে ভাজা পুলি পিঠা রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
সত্যি ভাইয়া শীতকালে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা হয়। আর শীতের সময় পিঠা খেতে বেশি ভালো লাগে। তাইতো আমিও শীতের আগমনের সাথে সাথে মজার একটি পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার থাম্বনেইল এ ছবিটা দেখেই পোস্ট টা দেখার আগ্রহ বেড়েছে।আর শীতের সকালে এমন পুলি পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে।আর আপনার উপস্থাপনা এক কথায় অসাধারণ। প্রতিটি ধাপ এতটা সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছেন যে,একটু চেষ্টা করলেই যে কেউ এই পিঠা বানিয়ে ফেলতে পারবে।
রেসিপি পোস্টগুলোর ক্ষেত্রে লোভনীয় সব খাবারের ছবি দেখেই আগ্রহ বেড়ে যায়। শীতের সকালে পুলি পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার রেসিপি তৈরির উপস্থাপনা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনিও চাইলে পুলি পিঠা বানিয়ে ফেলতে পারেন।
আমারও পুলি পিঠা অনেক প্রিয় আপু।শীতকালে গরম গরম পিঠা নিয়ে রোদের মধ্যে বসে খেলে অনেক ভালো লাগে।আপু আমার কাছে ভাজা পুলি এবং দুধ পুলি সবগুলাই ভালো লাগে।আমার কাছে পিঠা বলতে সব পিঠা ভাল লাগে।আপনার পুলি পিঠা বানানোর ধাপ গুলা অনেক ভালো লাগছে।অনেক কষ্ট করে সময় দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পুলি পিঠা আপনার প্রিয় জেনে ভালো লাগলো আপু। শীতের সকালে রোদের মধ্যে বসে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ভাজা পুলি এবং দুধ পুলি দুটোই ভালো লাগে খেতে। আপু আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
মনে হচ্ছে আপু আপনি দুপুর বেলায় পুলি পিঠার ছবি দিয়েছিলেন। তখন তো পুলিশ পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছা করছিলো। আর এখন তো পুলি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। পিঠা আমার ভীষণ প্রিয় খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
জি ভাইয়া দুপুরবেলায় পিঠা তৈরি শেষে আপনাদেরকে ছবি পাঠিয়েছিলাম। তাই ঝটপট পিঠা তৈরির রেসিপিও শেয়ার করে ফেললাম। এই পিঠা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
পুলি পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে কয়দিন পরে আমাদের বাসায় নতুন চালের বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করার ধুম পড়বে। আপনি খুব সুন্দর করে পুলি পিঠা তৈরি করেছেন। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । আপনার উপস্থাপ খুবই দুর্দান্ত ছিলো। আমাদের মাঝে এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
পিঠা খেতে আপনার ইচ্ছে করছে তাহলে আপনার আমার বাসায় দাওয়াত নেন। এই পিঠা তৈরি করে খাওয়াবো। যাইহোক ভাইয়া সুন্দরভাবে মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তেলেভাজা মজাদার পুলি পিঠার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এই পুলি পিঠা আমার খুবই প্রিয়। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপি পরিবেশন করলেন। দেখে ভালো লাগলো।
জ্বী ভাইয়া তেলে ভাজা পুলি পিঠা দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। আপনারও এই পিঠা পছন্দের জেনে ভালো লাগলো। আসলে এই পিঠাগুলো খেতে সবাই পছন্দ করে।