লাইফস্টাইল পোস্ট || বন্ধুদের সাথে চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত পরশুদিন অনেক দিন পর দুই বন্ধুর সাথে চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক চায়না প্যালেস আমাদের নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডে অবস্থিত। চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টে আমাদের অনেক আগে থেকেই যাওয়া হয়। আসলে সেদিন গিয়েছিলাম আমাদের শপিংমল প্রজেক্টে। শপিংমল প্রজেক্টের ঠিক বিপরীত পাশেই চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্ট অবস্থিত।
আমরা তিনজন সকাল বেলা শপিংমল প্রজেক্টে চলে গিয়েছিলাম মূলত কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য এবং আমার এক ফ্রেন্ড সেখানে শপ কিনবে বলে,শপিংমল প্রজেক্টে গিয়েছিলাম। তো সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি ফ্লোর ঘুরে ঘুরে কাজের অগ্রগতি দেখলাম। তারপর আমার ফ্রেন্ড এর জন্য লেভেল-৫ এ বেশ কিছু শপ দেখলাম। তো শপ দেখতে দেখতে বেলা প্রায় ৩টা বেজে গিয়েছিল। আমাদের সবারই তখন প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিল। তাই সাথে সাথে আমরা চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টে চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক আমরা রেস্টুরেন্টে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে প্রথমেই খাবার অর্ডার দিলাম। কারণ অর্ডার দেওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
যদিও তখন রেস্টুরেন্টে মানুষের সংখ্যা মোটামুটি কম ছিলো। কারণ তখন লাঞ্চের সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক আমি তিনজনের জন্যই সেট মেন্যু অর্ডার করলাম। সেট মেন্যুর মধ্যে ছিলো ফ্রাইড রাইস,চাইনিজ ভেজিটেবল,চিকেন ফ্রাই,চিকেন কারি এবং কোল্ড ড্রিংকস। তো আমরা খাবার অর্ডার দেওয়ার পর আড্ডা দিতে লাগলাম। আমরা তিনজন সাউথ কোরিয়াতে কাটানো মুহূর্ত গুলোর স্মৃতিচারণ করতে লাগলাম। আসলে আমরা সাউথ কোরিয়াতে একেবারে কাছাকাছি ছিলাম বলে,প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম এবং আড্ডা দিতাম। সেই দিনগুলো বেশ মধুর ছিলো।
আর সেদিন সেই মুহূর্ত গুলোর স্মৃতিচারণ করতে ভীষণ ভালো লাগছিল। যাইহোক ১০/১৫ মিনিট পর টেবিলে খাবার চলে আসলো। খাবার আসার পর আমি কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম এবং আমরা খাওয়া শুরু করলাম। খাবারের মান বরাবরই ভীষণ ভালো ছিলো। আসলে চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টের খাবার সবসময়ই দারুণ হয়। যাইহোক আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে,বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর বাসায় চলে আসলাম। সবমিলিয়ে আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে। আর এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১০.১.২০২৫ |
লোকেশন | চিটাগাং রোড,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে মাঝে মাঝে ভালো ভালো কিছু মুহূর্ত ও অনুভূতি কোন না কোনভাবে স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। আজ যেমন আপনার এই পোষ্টটি ও আপনার একাউন্টের মধ্যে পোস্ট হয়ে স্মৃতি হয়ে থাকবে। বন্ধুদের নিয়ে ভালো রেস্টুরেন্টে মজার কিছু খাবার ও তার সাথে সাথে সুন্দর কিছু সময় ও অনুভূতি দারুন ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তুলে ধরেছেন।
বন্ধুদের সাথে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধুদের সাথে চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখছি বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন, আর ভালো আড্ডা দিয়েছিলেন। এরকম মুহূর্ত গুলো সব সময় ভালো স্মৃতি হয়ে আমাদের মাঝে থেকে যায়। খাওয়া-দাওয়ার অনুভূতিটা অনেক ভালো ছিল এটা তো বুঝতেই পারছি। খাবার দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে খাবারের মান অনেক ভালো ছিল।
এসব মুহূর্ত গুলো আসলেই স্মৃতি হয়ে থাকবে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বন্ধুদের সাথে চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি শেয়ার করেছেন।চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টটি অনেক সাজানো গোছানো দেখে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে ডেকোরেশন ও করেছে দেখছি। খাবার গুলো বেশ লোভনীয়।
চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্ট আসলেই বেশ সাজানো গোছানো। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধুদের সাথে দেখছি ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। এভাবে খাওয়া দাওয়া করতে তো আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। এর ফলে অনেক সুন্দর সময়ও কাটানো যায় সবাই একসাথে। মজার মজার খাবার গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে মজা করে খেয়েছেন। আড্ডাটা নিশ্চয়ই ভালোই জমে ছিল। মুহূর্তটা সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাই আমরা সেদিন জমিয়ে আড্ডা দিয়েছিলাম। সবসময় এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধুদের সাথে কাটানো ঠিক গুলো সত্যি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকে। চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টে গিয়ে বন্ধুদের সাথে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সবাই মিলে জমিয়ে খেয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
সেদিন আমরা সবাই বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়েছিলাম। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শপিংমল প্রজেক্ট দেখতে গিয়েছিলেন আর এরপর বন্ধুরা মিলে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে বাহিরে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর সবার সাথে একসাথে খেতে বেশি ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু, মাঝেমধ্যে বাহিরে খাওয়া দাওয়া করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। প্রতিনিয়ত এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চাকরী থেকে ব্যবসা বানিজ্য হাজার গুনে ভালো। এখন বিভিন্ন জাগায় নতুন শপিংমল হচ্ছে। সেগুলোতে শপ নিতে পারলে ভালো। যায় হোক কাজ শেষ করে ভালোই খাওয়া দাওয়া হলো। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই,চাকরির চেয়ে ব্যবসা করা হাজার গুণে ভালো। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।