ভ্রমণ পোস্ট || রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (দশম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের নবম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দশম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা নির্বাণনগর মন্দির এবং আদিবাসী মার্কেটে ঘুরাঘুরি করার পর, যখন বোটে উঠে অন্য স্পটে যাওয়ার জন্য রওনা দিবো, তখন বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব বলতে লাগলো, রাঙ্গামাটিতে অন্য স্পট আর দেখবে না। কারণ বোটের শব্দে সবারই মাথা ব্যথা করছে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে চলে যাবো এবং তারপর রাঙ্গামাটি থেকে রওনা দিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের দিকে চলে যাবো।
তো আমরা মোটামুটি ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে পৌঁছে গিয়েছিলাম। বোটে চড়ে যেতে যেতে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দারুণভাবে উপভোগ করার পাশাপাশি, বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। যাইহোক আমরা ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে পৌঁছে যাওয়ার পর, আমার গাড়ি যেখানে পার্কিং করা ছিলো সেখানে চলে গেলাম। তবে গাড়িতে উঠার আগে সেখানে থাকা একটি দোকানে ঢুকলাম ওয়াইফের জন্য ড্রেস কিনতে। কিন্তু সেখানেও ড্রেস তেমন পছন্দ হয়নি বলে,শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশে থাকা দোকানগুলো থেকেই কেনাকাটা করবো। যাইহোক সাথে সাথে আমরা গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশ্যে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা রাঙ্গামাটির একটি বাজারে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করছে।
তো আমরা কয়েকজন গাড়ি থেকে নেমে বিভিন্ন ধরনের ফল দেখতে লাগলাম। আমি খুব সম্ভবত ১০ কেজি আম এবং ২০টা আনারস কিনলাম সেই বাজার থেকে। কলা কেনার ইচ্ছে থাকলেও, ভালো কলা পাইনি বলে সেখান থেকে কেনা হয়নি। বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধবও বিভিন্ন ধরনের ফল কিনলো। তারপর গাড়িতে উঠে আবারও সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। একটু সামনে গিয়ে দেখলাম রাস্তার দুপাশে কলা সহ বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করছে। আমি গাড়ি থেকে নেমে একটি কলার ছড়ি দামাদামি করে, একটা কলার ছড়ি কিনে নিলাম। কলাগুলো কাঁচা হলেও, দেখে মনে হয়েছিল কয়েকদিন বাসায় রাখলেই পেকে যাবে। পাহাড়ি পাকা কলা খাওয়ার মজাই আলাদা। কারণ পাহাড়ি কলা ও বিভিন্ন ধরনের ফলমূলে কেমিক্যাল দেওয়া হয় না এবং খেতেও প্রচুর মিষ্টি লাগে।
বিশেষ করে পাহাড়ি পাকা পেঁপে,আনারস এবং কলা সবচেয়ে বেশি মিষ্টি লাগে খেতে। যাইহোক কলার ছড়ি কিনে গাড়িতে উঠে আমরা আবারও রওনা দিলাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশ্যে। তখন দুপুর ৩-৩.৩০ টা বাজে। তো চিটাগাং এর দিকে কিছুটা জ্যাম ছিলো,কিন্তু পতেঙ্গার দিকে সেদিন প্রচুর জ্যাম ছিলো। শেষ পর্যন্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের দিকে পৌঁছাতে সন্ধ্যা প্রায় ৬.৩০টা বেজে গিয়েছিল। যদিও সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার আগেই গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করে দিয়েছিলাম। কারণ জ্যামে বসে থাকলে আরও সময় লেগে যেতো। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের সামনে গিয়ে মনটা একেবারে ভরে গেলো। আমি প্রথমবারের মতো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম। তাই অনুভূতিটা দারুণ ছিলো। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৬.১২.২০২৪ |
লোকেশন | রাঙ্গামাটি,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
আপনি দেখছি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। আপনি আপনার জীবনের বেশিরভাগ সময় ভ্রমণ করে কাটিয়ে দেন। যাইহোক আপনি দেখছি রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন এবার। আমার ও ইচ্ছা আছে রাঙ্গামাটি জেলা ভ্রমন করার। আপনি রাঙামাটিতে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।আর আপনার মাধ্যমে রাঙামাটির কিছু টা সৌন্দর্য দেখার সুযোগ হলো।
ঠিক বলেছেন ভাই,আমি ভ্রমণ করতে সবসময়ই খুব পছন্দ করি। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনি আপনার ভ্রমণের আরো একটি পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি আজকের অসাধারণ ভ্রমণের পর্ব এখানে শেয়ার করেছেন তা খুব সুন্দর হয়েছে৷ একই সাথে এখানে পর্বের মধ্য দিয়ে আপনি সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ ফটোগ্রাফি গুলো আপনি বেশ অসাধারণ ভাবে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে৷
চেষ্টা করেছি পোস্টটি যথাযথভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। যাতে করে যারা কখনো রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করতে যায়নি,তারা কিছুটা হলেও ধারণা পেতে পারে। যাইহোক আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
দেখতে দেখতে আপনি রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের দশম পর্ব ও শেয়ার করে নিলেন। এর আগে যদিও সবগুলো পর্ব আমি পড়তে পারিনি তবে বেশ কিছু পর্ব আমি দেখেছিলাম। আপনি রাঙামাটিতে গিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।আর আপনার ভ্রমণ পোস্টের মাধ্যমে রাঙামাটির কিছু টা সৌন্দর্য দেখার সুযোগ হলো।আপনি অনেক দক্ষতার সাথে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আপনি সব মিলিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ভ্রমণ পোস্টটি ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি রাঙ্গামাটির সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।