লাইফস্টাইল পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে খানা'স রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত মাসের ৪ তারিখ অর্থাৎ এক মাস আগে ওয়াইফকে নিয়ে খানা'স রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। মূলত সেদিন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শাখায় গিয়েছিলাম ওয়াইফকে ডক্টর দেখাতে। বাসা থেকে দুপুর ১টার পর বের হয়েছিলাম বলে,লাঞ্চ করে বাসা থেকে বের হতে পারিনি। তখনই ভেবে রেখেছিলাম খানা'স রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করবো। হসপিটালে গিয়ে ডক্টর দেখানোর পর, ডক্টর এনটি স্ক্যান টেস্ট দিলো। টেস্ট করাতে গিয়ে দেখি যে আমাদের সিরিয়াল আসতে আসতে ১ ঘন্টার বেশি সময় লাগবে। তাই আমরা তাদেরকে বললাম যে, আমরা লাঞ্চ করে টেস্ট করাবো।
কারণ তখন প্রায় ৩টা বেজে গিয়েছিল এবং বেশ ভালোই ক্ষুধা পেয়েছিল আমাদের। তারপর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের হয়ে, ৩/৪ মিনিট হেঁটে খানা'স রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। খানা'স রেস্টুরেন্টে আমি এর আগেও গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার ওয়াইফ খানা'স রেস্টুরেন্টে এর আগে যায়নি। খানা'স রেস্টুরেন্টের পাশেই কেএফসি রয়েছে। তাই প্রায়ই আমার সেখানে যাওয়া হয়। কারণ কেএফসি এর চিকেন ফ্রাই আমার খুব পছন্দ। যাইহোক খানা'স রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেই মনটা খুব ভালো হয়ে গেলো। কারণ ভিতরের পরিবেশটা খুব সুন্দর এবং পরিপাটি। যেহেতু বেলা ৩টা বেজে গিয়েছিল,তাই আমি প্রথমেই তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম রাইস বোল এভেলএভেল আছে কিনা। কারণ খানা'স রেস্টুরেন্টের রাইস বোল খুবই জনপ্রিয় বলে,দুপুর বেলা অনেক সময় তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।
তো তারা বললো যে রাইস বোল দেওয়া যাবে। তবে আর ২০/৩০ মিনিট পর আসলে হয়তোবা রাইস বোল পেতাম না। যাইহোক আমি রক জ্যাক রাইস এবং থাই চিলি বাসিল রাইস বোল অর্ডার করলাম। খানা'স রেস্টুরেন্টে আগেই বিল পে করতে হয়। তো বিল পে করে আমরা দু'জন একটু গল্প করতে লাগলাম এবং রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন দেখতে লাগলাম। ইন্টেরিয়র ডিজাইনটা সিম্পল হলেও দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো। তাছাড়া চারপাশটা একেবারে পরিপাটি বলে,আরও বেশি সুন্দর লাগছিলো। তবে তখন মানুষ কম ছিলো। লাঞ্চের এবং ডিনারের সময় সেখানে মানুষ বেশি থাকে। আমরা দেরী করে লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম বলে,মানুষজন খুব কম দেখতে পেয়েছিলাম। যাইহোক আমি কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। একটু পর দেখলাম যে আমাদের টেবিলে খাবার দিয়ে গেলো। তারপর আমরা খাবার খাওয়া শুরু করলাম।
রাইস বোলের মধ্যে চিকেনের পরিমাণ বেশ ভালোই ছিলো। আমরা দু'জন দুইটা রাইস বোল থেকেই খাবার খেয়ে দেখলাম। খাবারের মান বেশ ভালো ছিলো। তাছাড়া চিকেনের পরিমাণ বেশি হওয়াতে, খাবারের স্বাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যাইহোক আমরা রাইস বোল খেতে খেতে দুটি বেনভ্যান শেক এবং পানি অর্ডার করলাম। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বেনভ্যান চলে এলো আমাদের টেবিলে। দুই গ্লাসের মধ্যেই ওয়াফেল ছিলো। যদিও শীতকাল ছিলো তখন, তবুও বেনভ্যান শেক খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা খানা'স রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে ৮০০+ টাকা বিল হয়েছিল। ওয়াইফকে নিয়ে খানা'স রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিলো। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৩.১.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাবিকে নিয়ে খানাস রেস্টুরেন্টে গিয়ে তাহলে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। তবে প্রাইস শুনে তো অবাক হয়ে গেলাম এত কম প্রাইজে এতগুলো খাবার খেতে পেরেছেন এটাই তো বড় বিষয়। যাই হোক এই অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খানা'স রেস্টুরেন্টে খাবারের দাম মোটামুটি কম-ই রাখে। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হসপিটালে সিরিয়াল পেতে দেরি হচ্ছিল তাই আপনারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন। রেস্টুরেন্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো বেশ সাজানো গোছানো। আর খাবারগুলো খুবই লোভনীয়। ধন্যবাদ ভাইয়া ভাবিকে নিয়ে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত এবং খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
এমন সাজানো গোছানো রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বেশ ভালই করেছেন ভাইয়া সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে না থেকে রেস্টুরেন্টে গিয়ে একটু খাওয়া দাওয়া করে ফেলেছেন। অনেক রেস্টুরেন্ট আছে খাবারের মান ভালো দেয় না কিন্তু পরিবেশন দারুন করে। তবে আপনার পোস্ট করে জানলাম এরা পরিবেশন এর পাশাপাশি খাবারের মান বেশ ভালো দিয়েছে। ওয়াইফের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার দারুন মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাদের পরিবেশন যেমন সুন্দর, তেমনি খাবারের স্বাদও দারুণ। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে বেশ ভালই লাগে। আপুকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন দেখছি পরিবেশ যেমন সুন্দর তেমনি খাবারের মান ভালো। আপনার পোস্ট করে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা আপু। খাওয়া দাওয়া করে সবমিলিয়ে সেখানে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অবশেষে ভাবীকে নিয়ে বাইরে গেলে এবং আশা করি ভাবীর মনো বেশ ভাল হল। রাইস বোল দুটো যে মজাদার খেতে তা বোলের ছবি দেখেই মনে হচ্ছে। এই ধরনের রাইস গুলোতে চিকেনের পরিমাণ একটু বেশি থাকলে খেতে ভালো লাগে তো সেই হিসেবে দেখতে গেলে চিকেন অনেকটাই করেই রয়েছে। এখন বুঝতে পারছি এ রেস্টুরেন্টে কেন আপনি বারবার আসছেন। ভোজন রসিক লোকেরা তো ভালো রেস্টুরেন্ট দেখেই যাবে তাই না?
আসলেই ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতেও খুব ভালো লাগে। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।