ভ্রমণ পোস্ট || রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (পঞ্চম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের চতুর্থ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে পঞ্চম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত সপ্তাহে শেয়ার করেছিলাম,আমরা বোট নিয়ে একটি বাজারের ঘাটের দিকে যাচ্ছিলাম সকালের নাস্তা করার জন্য। তো সেখানে যেতে যেতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার পাশাপাশি,ভিডিওগ্রাফিও ক্যাপচার করেছিলাম। তো আমরা মোটামুটি অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ঘাটে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর ৩/৪ জন বন্ধু বান্ধবকে বললাম হোটেলে গিয়ে আমাদের সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসার জন্য। কারণ সবাই গিয়ে যদি হোটেলে নাস্তা করি,তাহলে অনেক সময় নষ্ট হবে।
তার চেয়ে ভালো নাস্তা পার্সেল করে আনার পর, বোটে বসে বসে নাস্তা করা যাবে এবং বোট দিয়ে সামনে আগানো যাবে। আমি বোটে বসে তখন আমাদের কমিউনিটির কাজ করছিলাম। তাই আমি তাদের সাথে হোটেলে যাইনি নাস্তা আনতে। যাইহোক মোটামুটি অনেকক্ষণ পর দেখি যে নাস্তা নিয়ে ওদের আসার কোনো খবর নেই। তখন আমি ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম এতো দেরি হচ্ছে কেনো। ওরা বললো যে হোটেলে নাকি লম্বা সিরিয়াল। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ পর ওরা সবার জন্য নাস্তা পার্সেল নিয়ে আসলো। তাছাড়া এক কেজি বড় সাইজের কালো জাম নিয়ে এসেছিল। নাস্তার আইটেম ছিলো পরোটা, ডিম ভাজি এবং ডালভাজি। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই নাস্তা করে নিলাম এবং তারপর কালো জাম খাওয়া শুরু করলাম।
সত্যি বলতে এতো স্বাদের কালো জাম আমি এর আগে মনে হয় না কখনো খেয়েছি। জামগুলো যেমন মিষ্টি, তেমনি বড় সাইজের। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই জামগুলো শেষ হয়ে গেলো। এতগুলো মানুষের মাঝে, এতো স্বাদের কালো জাম পাঁচ মিনিটও টিকতে পারেনি হা হা হা। যাইহোক বোট চালক আমাদেরকে প্রস্তাব দিলো প্রথমে শুভলং ঝর্ণার দিকে যাবে। কারণ শুভলং ঝর্ণা সবচেয়ে বেশি দূরে। তারপর আসার পথে সবগুলো স্পটে ঘুরাঘুরি করবো। কিন্তু আমি বললাম যে আগে পলওয়েল পার্কে ঘুরাঘুরি করবো। তারপর শুভলং ঝর্ণার দিকে যাবো। কারণ পলওয়েল পার্ক আমরা যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে একেবারে কাছেই অবস্থিত। তো আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই পলওয়েল পার্কে পৌঁছে গেলাম। সেখানে যাওয়ার আগেই পলওয়েল পার্কের অনেক ভিডিও দেখেছিলাম ইউটিউবে।
তো ভিডিও দেখেই পলওয়েল পার্কের প্রতি অন্য রকমের ভালো লাগা কাজ করেছিল। যাইহোক পলওয়েল পার্কের একপাশে আমরা নামলাম বোট থেকে। নামার সাথে সাথে একজন লোক আমাদের সামনে আসলো পার্কের এন্ট্রি টিকেট দেওয়ার জন্য। তারপর আমি ৮ টা টিকেট কিনলাম ৩২০ টাকা দিয়ে। এরপর কাপ্তাই লেকের সাইডে ঘুরাঘুরি করে দেখতে লাগলাম চারপাশের সৌন্দর্য। পলওয়েল পার্কের একপাশ থেকে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। একটু ঘুরাঘুরি করার পর ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করা শুরু করলাম। পার্কে সেদিন মানুষের আনাগোনা মোটামুটি কম ছিলো। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৫.১১.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
ভমণটি ভালো লাগে
আপনার রাঙ্গামাটি ভ্রমণের আরও একটা পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পলঅয়েল পার্কের নাম অনেক শুনেছি তবে কখনোই যাওয়া হয়নি। জায়গাটা ভীষণ সুন্দর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমৃদ্ধ জায়গা গুলোতে সময় কাটাতেও ভালো লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পলওয়েল পার্ক আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
পলঅয়েল পার্ক তো ভীষণ সুন্দর জায়গা ভাই। ছবিতে দেখে খুব ভালো লাগলো। নদী দিয়ে নৌকায় চড়ে বেশ সুন্দর আনন্দ করেছেন। এমন পার্কে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতে ভালই লাগে।
আগামী পর্বে পলওয়েল পার্কের অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো ভাই। তখন দেখতে পাবেন পলওয়েল পার্ক কতোটা সুন্দর। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ছবিগুলি দেখবার জন্য অপেক্ষা করে রইলাম ভাই।
আগামী সপ্তাহে অবশ্যই ছবিগুলো দেখতে পাবেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রাঙামাটি ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ এর এই পর্বের পোস্টটি অনেক ভালো লাগলো।পার্ক টি বেশ সুন্দর।প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটাতে আসলেই অনেক ভালো লাগে,ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু পার্কটি সত্যিই খুব সুন্দর। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার কাছ থেকে আজকে এই ভ্রমণের আরো একটি পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি আজকের এই সুন্দর পর্ব এখানে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ যেভাবে আপনি আজকের এই ভ্রমণের পর্ব শেয়ার করেছেন এবং ফটোগ্রাফি এবং বর্ননার মাধ্যমে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন তা দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। সবসময়ই চেষ্টা করি ভালো মানের পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।
এই পলওয়েল পার্কে আমরাও গিয়েছিলাম। খুবই সুন্দর পরিবেশ। যখন পানি বেশি থাকে তখন বেশি সুন্দর লাগে। পার্ক কর্তৃপক্ষ ধীরে ধীরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভিত্তি করছে। রাঙ্গামাটি যারা যায় সবাই এই পলওয়েল পার্কে একবার হলেও গিয়ে দেখতে যায়। ধন্যবাদ।
পলওয়েল পার্কে না গেলে রাঙ্গামাটি ট্যুর একেবারেই বৃথা। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।