রেসিপি পোস্ট || 🍲মজাদার স্পঞ্জ মিষ্টির রেসিপি তৈরি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝেমধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক আজকে আমি আপনাদের সাথে মজাদার স্পঞ্জ মিষ্টির রেসিপি শেয়ার করবো। স্পঞ্জ মিষ্টি বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই দোকান থেকে প্রায়ই স্পঞ্জ মিষ্টি কিনে খাওয়া হয়। গতকালকে বিকেল বেলা হঠাৎ করে স্পঞ্জ মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছিলো। তাই ঘরে থাকা সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে ঝটপট স্পঞ্জ মিষ্টি তৈরি করে ফেলেছিলাম। তবে আমি মাত্র ১ লিটার তরল দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করে স্পঞ্জ মিষ্টি তৈরি করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম যদি মিষ্টি গুলো নষ্ট হয়ে যায়,তাই বেশি দুধ নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেইনি। কারণ বেশ কয়েকবছর পর স্পঞ্জ মিষ্টি তৈরি করলাম। মোটামুটি ৩/৪ বছর আগে সাউথ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় স্পঞ্জ মিষ্টি তৈরি করেছিলাম। স্পঞ্জ মিষ্টি গুলো খেতে দারুণ লেগেছিল। কারণ মিষ্টি গুলো একেবারে সফট হয়েছিল। একেবারে সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে অল্প সময়ে এই রেসিপিটা তৈরি করা সম্ভব। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
মজাদার স্পঞ্জ মিষ্টির রেসিপি তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
তরল দুধ | ১ লিটার |
লেবু | ১ টা |
এলাচি | ৫/৬ টা |
চিনি | ১ কাপ |
পানি | ৩ কাপ |
জাফরান | পরিমাণ মতো |
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরূপ :
🍲প্রথম ধাপ🍲
১ লিটার তরল দুধ বলক আসার আগ পর্যন্ত জ্বাল দিয়ে নিলাম। তারপর একটি লেবুর রস দিয়ে দিবো ছানা তৈরি করার জন্য।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
১ টি লেবুর রস দিয়ে নেড়ে নেওয়ার পর, ছানা গুলো আলাদা হয়ে গিয়েছে।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
তারপর একটি পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে ঢেলে,ঠান্ডা পানি দিয়ে হালকা ধুয়ে, পানিগুলো ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র ছানাগুলো নিয়ে নিলাম। মোটকথা পানি শুকিয়ে একেবারে ঝরঝরে করে নিতে হবে।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
তারপর ছানাগুলো হাত দিয়ে একেবারে মিহি করে,গোল গোল করে মিষ্টির আকৃতি দিয়ে দিলাম। অনেকে ছানার সাথে ময়দা মিক্সড করে, তবে আমি কিছুই মিক্সড করিনি।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
তারপর একটি পাত্রে ৩ কাপ পানি এবং এক কাপ চিনি নিয়ে নিলাম, চিনির শিরা তৈরি করার জন্য। তারপর ৫/৬ টি এলাচি দিয়ে দিলাম। তারপর একটু নেড়ে নিবো।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
তারপর গোল করা ছানাগুলো দিয়ে দিলাম এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো ১০/১৫ মিনিটের জন্য। তাহলে ছানাগুলোর মধ্যে চিনির শিরা খুব ভালোভাবে ঢুকবে এবং স্পঞ্জ মিষ্টি গুলো খেতে সফট লাগবে।
🍲সপ্তম ধাপ🍲
একটু পর ঢাকনা খুলে দেখলাম, চিনির শিরা ভিতরে ঢুকে মিষ্টি গুলো বেশ ভালোই ফুলে উঠেছে। তারপর আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো।
🍲অষ্টম ধাপ🍲
১০/১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে চুলা বন্ধ করে দিলাম এবং পরিমাণ মতো জাফরান দিয়ে দিলাম।
🍲পরিবেশন🍲
তারপর সুন্দর ভাবে পরিবেশন করলাম। স্পঞ্জ মিষ্টি গুলো খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৮.৬.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
বাহ দারুণ তৈরি করেছেন ভাইয়া আপনি ছানার মিষ্টি। আমার খেতে বেশ ভালো লাগে মিষ্টি গুলো। বেশ আগে একবার এই পদ্ধতিতে তৈরি করেছিলাম তবে আমার মিষ্টি গুলো ফেটে গেছিল দুঃখের বিষয়। কিন্তু আপনার তো পারফেক্ট হলো। আমাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করলেন দেখে নিতে পারবো। আমার ফ্রিজে অনেক গুলো ছানা জমা আছে দেখি আপনার রেসিপি দেখে করতে হবে একদিন।
এই রেসিপিটা ফলো করে খুব সহজেই স্পঞ্জ মিষ্টি তৈরি করতে পারবেন আপু। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
X-promotion
খুবই সহজ ভাবে আপনি মিষ্টি তৈরি করেছেন ভাইয়া। ঈদ আসলে এভাবে বাড়িতে আমিও মিষ্টি তৈরি করি। অল্প উপকরণ দিয়ে এভাবে মিষ্টি তৈরি করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে সাথে মিষ্টি গুলো দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে।। জাফরান দেওয়ার কারণে মিষ্টি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে এই রেসিপিটা তৈরি করেছি। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি অনেক কম উপকরণ দিয়ে সহজ ভাবে মিষ্টি বানিয়েছেন। আসলে ভাইয়া এভাবে হাতে তৈরি মিষ্টি খেতে অনেক মজার হয়। আপনি অনেক ভালো করেছেন মিষ্টির ভিতরে ময়দা না দিয়ে। যাই হোক মিষ্টি গুলো খেতে নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মিষ্টি গুলো খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। বানানোর পরপরই সবগুলো খেয়ে ফেলেছি😂। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বেশ ভালো লাগতেছে আপনি মজাদার স্পন্স মিষ্টি রেসিপি তৈরি করেছেন। মিষ্টি তৈরি করতে দেখেছি বেশ পটু। আপনি দারুন দক্ষতায় সম্পন্ন করেছেন। একদম প্রফেশনাল ভাবে সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ ভাই অনেক আগে তৈরি করেছিলাম সাউথ কোরিয়াতে থাকতে। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগালাম আর কি। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বেশ বুদ্ধিমান ভাই তাইতো বেশি দুধের ছানা তৈরি করে রিক্স নেননি। সাউথ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় আপনি স্পন্স মিষ্টি তৈরি করেছিলেন আর এখন আমাদের দেশে এসে চমৎকার এই স্পন্স মিষ্টি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। মিষ্টি জাতীয় যেকোনো ধরনের খাবার আমি ভীষণ পছন্দ করি। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
মিষ্টি জাতীয় খাবার আমি মাঝেমধ্যে খেতে পছন্দ করি। যাইহোক রেসিপিটা দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মিষ্টি বাসায় কখনো তৈরি করা হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হল খুব একটা কঠিন নয় বাসায় এত সুন্দর মিষ্টি তৈরি করা। রেসিপিটা দেখে বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া। আর মিষ্টিগুলো দেখতেও অনেক লোভনীয় লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু খুব সহজে এই রেসিপিটা তৈরি করতে পারবেন। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
স্পঞ্জ মিষ্টির রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করেছে আর বাসায় থাকা উপকরণ দিয়ে মিষ্টি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি তো দেখছি সবদিকেই পারদর্শী। রান্নাবান্নায় আমার খুব একটা পারদর্শিতা নেই। তবে মাঝে মাঝে রান্না করার চেষ্টা করি ভাইয়া। আমিও এভাবে একদিন মিষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করবো।
চেষ্টা করি ভাই সবকিছু পারফেক্ট ভাবে করতে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.