ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (দশম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের নবম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দশম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা দার্জিলিং টিলার উপরে মোটামুটি বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম। কারণ জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। দার্জিলিং টিলার উপরে দেখলাম যে অনেকে অনেক কিছু বিক্রি করছে। যেমন ঝালমুড়ি,ফলের জুস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করছে। যেহেতু প্রচুর রোদ ছিলো তখন, তাই বেশ ভালোই গরম লাগছিলো। তাই আমরা সবাই ঠান্ডা ঠান্ডা ফলের জুস খেলাম। তারপর দার্জিলিং টিলার উপরে হাঁটতে হাঁটতে অন্য পাশে চলে গেলাম।
কিন্তু প্রচুর ভিড় ছিলো বলে সেখানে অল্প কিছুক্ষণ থেকে,আমরা দার্জিলিং টিলার উপর থেকে নিচে নামার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ আমাদের তখনও দুটি স্পট দেখা বাকি ছিলো। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সেখান থেকে বধ্যভূমি ৭১ পার্ক দেখতে যাবো। কারণ শ্রীমঙ্গলের বধ্যভূমি ৭১ পার্কটি বেশ জনপ্রিয়। যাইহোক আমরা গাড়িতে উঠে বধ্যভূমি ৭১ পার্কের দিকে রওনা দিলাম। দার্জিলিং টিলা থেকে বধ্যভূমি ৭১ পার্কের দূরত্ব ছিলো ৮/৯ কিলোমিটার। কিন্তু দার্জিলিং টিলার রাস্তাটি সরু বলে,যাওয়ার সময়ও কিছুটা জ্যাম লেগেছিল। তাই সেখানে অল্প কিছুক্ষণ বসে থাকতে হলো। সেখান থেকে বধ্যভূমি ৭১ পার্কের সামনে পৌঁছাতে আমাদের ৩০/৩৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। সেখানে গাড়ি পার্কিং করে আমরা বধ্যভূমি ৭১ পার্কের গেইটের সামনে চলে গেলাম।
সেখানে সেদিন প্রচুর মানুষ ছিলো। কারণ ঈদের ছুটিতে অনেকেই ঘুরতে এসেছিল সেখানে। আমি প্রচন্ড ভিড় উপেক্ষা করে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এই পার্কে প্রবেশ করতে কোনো টিকেট লাগে না। যাইহোক ভিতরে প্রবেশ করে তো পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ ভিতরে এতো মানুষ ছিলো যে, ভিড়ের কারণে হাঁটতে বেশ ঝামেলা হচ্ছিলো। আসলে বধ্যভূমি ৭১ পার্ক হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের মধ্যে অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্র। যাইহোক পার্কে ঢুকে সামনের অংশে দেখতে পেলাম একটি কৃত্রিম ঝর্ণা। আমরা সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় দাঁড়ালাম। কারণ ঝর্ণা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। সেটা কৃত্রিম হোক কিংবা প্রাকৃতিক।
আমি সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফিও ক্যাপচার করেছিলাম। তাছাড়া পাশেই ছোট্ট একটি খালের মতো ছিলো। সেখানে আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারণ পুরো পার্কের মধ্যে শুধুমাত্র সেই জায়গায় তেমন মানুষ ছিলো না। অর্থাৎ নিরিবিলি সময় কাটানোর সুযোগ ছিলো সেখানে। তাই আমি আমার ওয়াইফকে বললাম সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে। কারণ অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে প্রবেশ না করাটাই উত্তম। তারপর আমি একটু সামনে গিয়ে দেখলাম স্মৃতিস্তম্ভ। সেখানে তো দাঁড়ানোর সুযোগও পাচ্ছিলাম না ভিড়ের কারণে। তবুও কিছু সেলফি তোলার চেষ্টা করলাম। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২.৩.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
শ্রীমঙ্গলে দার্জিলিং এর নামে একটি টিলা আছে শুনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। তবে এই শ্রীমঙ্গল জায়গাটি যে ভীষণ সুন্দর তা আপনাদের পোস্ট দেখলে বুঝতে পারি। তাই এখানে ভ্রমণ করে আপনি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন কিছুক্ষণ। পরপর ধারাবাহিকভাবে এই ভ্রমণের পর্ব গুলি পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।
শ্রীমঙ্গলের দার্জিলিং টিলা খুবই সুন্দর জায়গা। পোস্টটি দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
শ্রীমঙ্গলেও দার্জিলিং টিলা রয়েছে? জানা ছিল না আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে জেনে নিলাম। আর বধ্যভূমি ৭১ পার্ক জায়গাটির সাথে পার্ক শব্দটি শুনে ঠিক ভালো লাগলো না। শোকের জায়গার নাম এর সাথে পার্ক ঠিক যায় না বলে আমার মনে হয়। এটা সম্পূর্ণ আমার অভিমত।তবে শ্রীমঙ্গল জায়গাটি খুব সুন্দর । সুন্দর মুহূর্গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু শ্রীমঙ্গলে দার্জিলিং টিলা রয়েছে। বধ্যভূমি ৭১ এর সাথে পার্ক শব্দটি আসলেই যায় না। কিন্তু এটা এখন পার্ক বলেই পরিচিত। যাইহোক গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দার্জিলিং টিলা থেকে বধ্যভূমি ৭১ পার্কের দূরত্ব ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার হওয়ার সত্ত্বেও যেহেতু 30 থেকে 35 মিনিট সময় লেগেছিলো তার মানে বোঝা যাচ্ছে কতটা জ্যাম ছিলো রাস্তার মধ্যে, আর কতটা চিকন ছিলো ঐ রাস্তা। যাই হোক তারপরেও বধ্যভূমি ৭১ পার্কের ভেতরের বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো। অপেক্ষায় রইলাম সেখানকার ধারণ করা ভিডিওগ্রাফি গুলি দেখার জন্য।
সেখান থেকে ধারণকৃত ভিডিওগ্রাফি গুলো আগেই শেয়ার করেছি ভাই। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝেমধ্যে এভাবে পরিবারকে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে গেলে কিন্তু খুব ভালো লাগে। আপনি পরিবারকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে গিয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনার কাটানো পুরো সময়টা ছিল অনেক বেশী সুন্দর, যেটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন, যেগুলো দেখে আরো ভালো লাগলো।