ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (পঞ্চম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের চতুর্থ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে পঞ্চম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা হাঁটতে হাঁটতে খাসিয়া পল্লীর দিকে যেতে লাগলাম। কিন্তু খাসিয়া পল্লী হচ্ছে একেবারে শেষের দিকে। তাই হাঁটতে হাঁটতে সবার পা ব্যথা হয়ে যাচ্ছিলো। এরমধ্যে ২/১ জন বলতে লাগলো একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবারও হাঁটা শুরু করা যাক। তো সেখানে গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে নিলাম। আমি সেই ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। বিশাল বড় বড় গাছ রয়েছে সেখানে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে গাছ গুলোর বয়স অনেক।
কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে
উল্টো রাস্তা দিয়ে কয়েকটি ছেলে আসার সময় তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম খাসিয়া পল্লী সেখান থেকে কতদূর। ওরা বললো আর অল্প একটু হাঁটলেই খাসিয়া পল্লী তে যাওয়া যাবে। তো আমরা আবারও হাঁটা শুরু করলাম। অল্প একটু সামনে যেতেই দেখলাম যে অনেক অনেক পান গাছ রয়েছে। দুইজন লোক গাছে উঠে পান গাছ থেকে পান সংগ্রহ করে ঝুড়িতে রাখছে। তো আমি তাদেরকে বললাম পান বিক্রি করবে নাকি আমাদের কাছে। তখন সেই লোক দুটি বললো, তারা নাকি তাদের সর্দারের অর্ডার অনুযায়ী পান সংগ্রহ করছে। সুতরাং তারা পান বিক্রি করতে পারবে না। এমন ফ্রেশ পান আমি কখনোই দেখিনি। তাই ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। যাইহোক আমরা অল্প একটু সামনে গিয়েই দেখতে পেলাম অনেক গুলো বাড়িঘর। তখন বুঝতে পারলাম যে সেটাই হচ্ছে খাসিয়া পল্লী।
তো আমরা খাসিয়া পল্লীর ভিতরে ঢুকেই কয়েকজন আদিবাসীকে দেখতে পেলাম। তাদেরকে দেখলাম পানগুলো পরিষ্কার করে বেঁধে রাখছে। একসাথে এতগুলো ফ্রেশ পান দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, তাদের সর্দার নাকি বিভিন্ন জায়গায় এই পানগুলো বিক্রি করে থাকে। খাসিয়া পল্লীর ভিতরে দেখলাম যে একটা দোকানও রয়েছে। তাছাড়া সেখানে মাটির ঘরও দেখতে পেলাম। সবমিলিয়ে জায়গাটা বেশ ভালোই লগালো আমার কাছে। আমি বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম সেখানে। সাথে আমার গাড়ির ড্রাইভারও ছিলো। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্যরা হাঁটতে হাঁটতে এতটাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে যে,তারা লম্বা সিঁড়ি দিয়ে খাসিয়া পল্লীতে প্রবেশ করতেই পারেনি। তাই তারা নিচে দাঁড়িয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
যাইহোক খাসিয়া পল্লীতে ফুলের বাগানও দেখতে পেলাম। তাছাড়া তারা টাটা স্কাই এর মাধ্যমে টিভি চ্যানেল দেখতে পারে। এমনকি তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, তাদের ওখানে নাকি ওয়াইফাই কানেকশনও রয়েছে। এটা জেনে বেশ অবাক হয়েছিলাম আমি। সবমিলিয়ে তারা মোটামুটি ভালোই জীবনযাপন করছে। যাইহোক আমাদের যেহেতু আরও বেশ কয়েকটি স্পটে ঘুরতে যেতে হবে,তাই ভাবলাম সেখান থেকে অন্য স্পটে যাওয়া দরকার। তাই আমি আর ড্রাইভার খাসিয়া পল্লী থেকে বের হয়ে,আমরা সবাই হাঁটা শুরু করলাম। আমাদের প্ল্যান ছিলো তখন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বের হয়ে যাবো। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৬.১.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
এমনিতে মহিলা মানুষ তার উপর আবার অনেকটা পথ হেঁটেছে তাই হয়তো শরীর ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে খাসিয়া পল্লীর ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি সিঁড়ি বেয়ে। যাই হোক আপনারা বাকিরা ভেতরে যাওয়াতে উপকারই হলো কেননা খাসিয়া পল্লীর ভেতরের দৃশ্যগুলো দেখতে পারলাম আপনি ভিতরে যাওয়াতে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। দারুন দারুন ফটোগ্রাফির সাথে বর্ণনাও দিয়েছেন চমৎকার। সেখানে মাটির ঘর এবং ওয়াইফাই আছে শুনে একটু বিস্মিত হয়ে গেলাম। যাই হোক আজকের পুরো পর্বটি খুবই ভালো লেগেছে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই,বেশিরভাগ মহিলা মানুষ এতো হাঁটাহাঁটি করতে পারে না। সবসময় এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের চমৎকার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সেখানে আপনারা অনেক কিছুই দেখেছেন। আদিবাসীদের সাথে দেখা হয়েছে এবং সেখানে মাটির ঘর গুলোতে ঘোরাঘুরি করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলেই সেখানে গিয়ে নতুন নতুন অনেক কিছুই দেখার সুযোগ হয়েছে আমাদের। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গলে দারুন সময় কাটিয়েছেন। এইসব জায়গা আমার খুব ইচ্ছা যাওয়ার । অনেক ভালো লাগলো এই পর্বে অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্তের দৃশ্য দেখতে পেলাম। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই যাবেন ভাই। পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করার মজাটাই অন্যরকম। আপনি পরিবারের সাথে দারুন মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আর এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন দেখতে পেয়ে ভাল লাগল।
এটা ঠিক সেখানে গিয়ে আমরা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের মানুষদের সাথে সুন্দর জায়গা গুলোতে ঘুরতে গেলে প্রতিটা আনন্দের মুহূর্তগুলো অন্যরকম লাগে। আপনারা দেখছি শ্রীমঙ্গলে ভালোই ভ্রমণ করেছেন। আপনার ভ্রমণ পোস্টের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলের অপূর্ব কিছু প্রকৃতি দেখতে পেলাম। যা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ভালো লেগেছে আদিবাসীদের মাটির ঘর গুলো দেখে। কি সুন্দর প্রকৃতি দেখে যেতে ইচ্ছে করছে।
শ্রীমঙ্গলের খাসিয়া পল্লীতে বেশ সুন্দর সময় ঘোরাঘুরি করে কাটিয়েছেন। পড়ে ভালো লাগছে। জায়গাটি সত্যি খুব সুন্দর একটা ছবিতেই বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গলের পোস্ট আগেও অনেকের ব্লগে পড়েছিলাম। এখন আপনার ব্লগে পড়ে জায়গাটি সম্বন্ধে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম।
খাসিয়া পল্লী আসলেই খুব সুন্দর। বেশ ভালো লেগেছিল সেখানে ঘুরাঘুরি করতে। এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার ভ্রমণ পর্বের এই পোস্ট পড়ে। যেখানে জানতে পারলাম খাসিয়া পল্লীতে ওয়াইফাই লাইন রয়েছে টাকা স্কাই এর মাধ্যমে টিভি দেখতে পারে। আসলে যেখানে বসতি গড়ে উঠেছে সেখানে আস্তে আস্তে আধুনিকতার ছোঁয়া চলে গেছে। এই জন্য ভ্রমণ করতে গিয়ে অনেক মানুষ সুবিধা তৈরি করে নিতে পারে সে সমস্ত মানুষদের মাধ্যমে। অনেক ভালো লাগলো সুন্দর একটি পর্ব দেখে পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম। তবে মনে মনে ভাবছি আপনার এত ফটোগ্রাফি ধারণ করার মুহূর্তে না জানি ভাবি কতটা বিরক্ত বোধ করেছে। হা হা। অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
টাটা বানানটা ভুল হয়েছে ভাই। প্রথম প্রথম কোথাও ঘুরতে গিয়ে ফটোগ্রাফি করলে, আপনার ভাবী কিছুটা বিরক্ত হতো। কিন্তু এখন বিরক্ত বোধ করে না। ধন্যবাদ আপনাকে।