ক্রিয়েটিভ রাইটিং || কিছু মা বাবার জেদের কারণে সন্তানের জীবনের শেষ পরিণতি খুব খারাপ হয় (১ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। আসলে বিভিন্ন ধরনের গল্প লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে বানিয়ে গল্প লেখার চেয়ে, বাস্তব গল্প গুলো শেয়ার করতে আমার বেশি ভালো লাগে। অর্থাৎ আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ঘটনা গুলোকে গল্প আকারে তুলে ধরতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এতে করে অনেকে বাস্তব জীবন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারে। আজকে আমি যে ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো,সেটা আমাদের পাশের মহল্লায় ঘটেছিল বেশ কয়েক বছর আগে। হঠাৎ করে ঘটনাটি মনে পড়লো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে ঘটনাটি শেয়ার করা যাক।
কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে আমার খুব ভালো লাগে। আসলে কিছু কিছু মা বাবার জেদের কারণে, অনেক ছেলে মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি অনেকের শেষ পরিণতি মৃত্যু পর্যন্ত হয়। যাইহোক যে ছেলেটার সাথে এই ঘটনাটি ঘটেছে, সে আমার পরিচিত ছিলো। সেই ছেলেটার নাম ছিলো সজীব। ছেলেটা আমাদের সমবয়সী ছিলো। সে তার মা বাবার একমাত্র সন্তান ছিলো। তার বাবার প্রচুর ধনসম্পদ রয়েছে এবং তিনি এলাকার প্রভাবশালী একজন লোক। সজীব তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তো। তো সজীব যে ইউনিভার্সিটিতে পড়তো, সেই ইউনিভার্সিটির একটি মেয়ের সাথে সজীবের ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায়। আসলে ভালোবাসা বলে কয়ে আসে না। তাছাড়া সজীব এর আগে কখনো কোনো মেয়ের সাথে রিলেশনশিপে যায়নি।
অর্থাৎ বলতে গেলে সেই মেয়েটা ছিলো তার জীবনের প্রথম ভালোবাসা। সজীব এবং সেই মেয়েটা একে অপরকে অনেক ভালোবাসতো। তারা অল্প সময়ের মধ্যেই একে অপরের অনেক আপন হয়ে যায়। এভাবেই তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে। তবে সেই মেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো ছিলো। মেয়ের বাবা একটা ব্যবসা করতো। তো সজীবের সাথে তার মায়ের খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু সজীবের বাবা প্রচুর রাগী বলে,সজীব তার বাবার সাথে খুব কম কথা বলতো। হঠাৎ করে সেই মেয়ের পরিবার,সেই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে। কারণ সেই মেয়ের পরিবারের কাছে ভালো একটা পরিবারের ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসে। তবে সজীবের গার্লফ্রেন্ড তো সজীবকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না।
তাই সেই মেয়েটা সজীবকে সবকিছু জানায়। এদিকে সজীব এটা শোনার পর তারা মাথা নষ্ট হয়ে যায়। কারণ সজীব তো সেই মেয়েটাকে ভীষণ ভালোবাসে। তাই সজীব তার মা'কে সবকিছু খুলে বলে। তারপর সজীবের মা,সজীবের বাবাকে সবকিছু জানায়। কিন্তু সজীবের বাবা বলে যে, তিনি নাকি তার বন্ধুর মেয়ের সাথে সজীবের বিয়ে আগেই ঠিক করে রেখেছে। তবে এই ব্যাপারে সজীব এবং তার মা কিছুই জানে না। তো সজীবের বাবা কিছুতেই সজীবের গার্লফ্রেন্ডের সাথে সজীবকে বিয়ে দিতে রাজি হয় না। কিন্তু সজীব তার মায়ের মাধ্যমে তার বাবাকে অনুরোধ করে, সজীবের গার্লফ্রেন্ডের বাসায় গিয়ে তাদেরকে একবার দেখে আসতে। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২২.১.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত অনেক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আর আমি সেগুলোই গল্প আকারে লেখার চেষ্টা করি। কারণ বাস্তবের গল্প থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। আপনি আজ খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। যেহেতু সজীব বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল। তারজন্য সজীবের যেমন বাবা-মায়ের পছন্দ মেনে নেওয়া উচিত তেমনি বাবা-মায়ের ও উচিত ছেলের পছন্দ কে গুরুত্ব দেওয়া। কিন্তু যখন কোন পরিবারে সেটা না হয় তখনই অশান্তি শুরু হয়। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
আসলেই আশেপাশের মানুষের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোকে গল্প আকারে তুলে ধরতে বেশ ভালো লাগে। সজীব তো সেই মেয়েটাকে খুব ভালোবাসে। তাছাড়া সজীবের বাবা যে তার বিয়ে ঠিক করে রেখেছে, সেটা তো সজীব জানতো না। সুতরাং সজীবের কোনো দোষ নেই এখানে।
মা বাবার সামান্য ভুলের কারণে ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়। সজীব যেহেতু একটি মেয়েকে ভালোবাসে, তাই বাবা মায়ের উচিত তার ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়ে মেয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলা। সজীবের গার্লফ্রেন্ড এর বিয়ের সম্বন্ধ আসার কারণে এই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আশাকরছি অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবো।
হ্যাঁ ভাই সজীবের মা বাবার উচিত ছিলো সেই মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বলা। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।