লাইফস্টাইল পোস্ট || ফ্রেন্ডের জন্য স্যামসাং স্মার্ট টিভি কেনার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ২/৩ মাস আগে আমার এক ফ্রেন্ডের জন্য স্মার্ট টিভি কিনতে স্যামসাং শো-রুমে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক কয়েকদিন ধরে আমার ফ্রেন্ড আমাকে বলছিলো যে একটা স্মার্ট টিভি কিনবে এবং আমি যাতে তার সাথে গিয়ে টিভি কিনে দেই। আমার সেই ফ্রেন্ড ছোটখাটো একটা স্পিনিং মিলস দিয়েছে এবং সেই স্পিনিং মিলের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্যই মূলত টিভি কিনবে। তো আমি কয়েকদিন প্রচন্ড ব্যস্ততার কারণে তার সাথে যেতে পারিনি। তারপর সে আমাদের নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া তে অবস্থিত একটি ইলেকট্রনিক দোকানে গিয়ে স্যামসাং ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি দেখে,আমাকে ফোন দিয়ে বললো যে ২৬,০০০ টাকা দাম চাচ্ছে।
পরবর্তীতে আমি অনলাইন থেকে চেক করে দেখলাম যে, অরিজিনাল টিভির দাম হচ্ছে প্রায় ৩১,০০০ টাকা। তার মানে সেই টিভি অথেনটিক ছিলো না। তারপর তাকে বললাম বাসায় চলে আসার জন্য। পরবর্তীতে ২ দিন পর আমরা তিন ফ্রেন্ড চলে গেলাম গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটে টিভি কিনতে। কারণ সেখানে স্যামসাং এর শো-রুম রয়েছে। শো-রুম থেকে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র কিনলে অথেনটিক পাওয়া যায়। কিন্তু ডিলারদের কাছ থেকে কিনলে অনেক সময় অথেনটিক প্রোডাক্ট পাওয়া যায় না। যাইহোক প্রথমে আমরা স্যামসাং এর শো-রুমে না গিয়ে একটি ইলেকট্রনিক দোকানে গেলাম। সেখানে স্যামসাং ছাড়াও আরও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র রয়েছে। সেই দোকানে স্যামসাং এর ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি অন করে দেখলাম। কিন্তু ইউটিউবে কয়েকটি ভিডিও দেখার পর আমার কাছে ভিডিওয়ের কালার তেমন ভালো লাগছিল না।
যাইহোক তবুও দাম জিজ্ঞেস করার পর সেই লোক বললো ২১,০০০ হাজার টাকা। আমার ফ্রেন্ড চাষাড়া তে যে টিভি দেখেছিল, তার দাম চেয়েছিল ২৬,০০০ টাকা। আমার কাছে দুটি টিভি ফেক মনে হয়েছিল। যাইহোক তারপর আমরা চলে গেলাম স্যামসাং এর শোরুমে। সেখানে গিয়ে দেখলাম স্যামসাং স্মার্ট টিভি ৩২ ইঞ্চির দাম হচ্ছে ৩০,৯৯০ টাকা। তারপর টিভি অন করে ইউটিউবে বেশ কিছু ভিডিও দেখলাম। টিভিটা দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম একেবারে অথেনটিক প্রোডাক্ট। তো আমার ফ্রেন্ডকে বললাম সেই টিভি কেনার জন্য। কারণ অল্প দামে ভুয়া প্রোডাক্ট কিনলে,কিছুদিন পরেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমার ফ্রেন্ড বললো ঠিক আছে তাহলে সেটাই কিনবে। এরপর আমরা ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি বুঝে নিয়ে, সেই টিভি সেট-আপ করতে বললাম।
অর্থাৎ কিছু অ্যাপস তারা ইন্সটল করে দিয়েছে এবং আনুষঙ্গিক কিছু কাজ করে দিলো। সেই কাজ গুলো করতে ২০/২৫ মিনিট সময় লেগেছিল। সেই ফাঁকে আমরা পাশের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে সন্ধ্যার নাস্তা করে নিয়েছিলাম। তারপর আমরা শোরুমে গিয়ে টাকা দিয়ে রিসিপ্ট সহ ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি এর কাগজপত্র নিলাম এবং বললাম যে পরের দিন লোক পাঠিয়ে দিতে টিভি ইন্সটল করার জন্য। এরপর আমরা টিভি নিয়ে বাসায় চলে এসেছিলাম। আসলে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র কিনতে হলে এখন বেশ ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা উচিত। কারণ চারিদিকে ভুয়া ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টের ছড়াছড়ি। আমরা অনেক সময় ডিসকাউন্ট পেয়ে ভুয়া প্রোডাক্ট কিনে ফেলি এবং এতে করে পরবর্তীতে আমাদেরকে পস্তাতে হয়। তো ফ্রেন্ডের জন্য টিভি কিনতে গিয়ে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। আর এই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগলো।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৬.২.২০২৫ |
লোকেশন | গুলিস্তান,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
বন্ধুর স্মার্ট টিভি কেনার অনুভূতিটা অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো বিস্তারিত বিষয়গুলো আপনি তুলে ধরেছেন দেখে। আর এরই মধ্য দিয়ে টিভি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম। যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা জিনিসের মধ্যে দুই নাম্বার রয়েছে। তাই একটু দেখেশুনে বুঝে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।
ঠিক বলেছেন ভাই,আমাদের দেশে দুই নম্বর জিনিসের ছড়াছড়ি। পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি মনে করি টিভি ফ্রিজ মোবাইল কেনার পূর্বে অনলাইনে এই সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নেওয়াটা ভালো। আর নিজের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট মডেল ফিক্সড করে নিতে হবে। এরপর সেটা কেনার উদ্দেশ্যে বাজারে যেতে হবে। আমি মনে করছি আপনি যদি উপস্থিত না থাকতেন তাহলে আপনার বন্ধু অবশ্যই ঠকে যেতেন এবং আসল ব্যান্ডের আসল টিভি না কিনে প্রতারিত হয়ে ফিরতেন। আপনার এই পোস্ট কিন্তু এক প্রকার যেন সচেতন মূলক পোস্ট হয়েছে।
আমার বন্ধু প্রথমে কমদামি টিভি কিনতে চেয়েছিল। পরে আমি নিষেধ করেছিলাম। আমি সাথে না গেলে সে ঠিকই প্রতারিত হতো। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।