ক্রিয়েটিভ রাইটিং গল্প || একতরফা ভালোবাসায় আরও বেশি কষ্ট পেতে হয় (দ্বিতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,সুমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে শিহাবের নামে বিচার দেয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক শিহাবকে উনার রুমে ডেকে পাঠায় এবং শিহাবকে অনেক বকাবকি করে। তাছাড়া শিহাবকে ওয়ার্নিং দেয় যে,পরবর্তীতে এমনটা করলে,তার বিচার করা হবে সকলের সামনে। শিহাব ক্লাসরুমে প্রবেশ করার পর,আমরা শিহাবকে সবকিছু জিজ্ঞেস করার পর শিহাব সবকিছু খুলে বললো আমাদেরকে। তারপর আমরা শিহাবকে বুঝালাম,সুমির সাথে আর যেনো কথা না বলে।
তো শিহাব কিছু না বলে চুপ করে রইলো। এরপর কিছুদিন সে সুমির সাথে কথা বলে না,এমনকি সুমির দিকে সেভাবে তাকায়ও না। আসলে কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে,তাকে ছাড়া থাকা যায় না। যদিও শিহাব তখন ম্যাচিউরড ছিলো না,তবুও সে অনেক কিছুই বুঝতে পারতো। অর্থাৎ সে সুমিকে মন থেকে ভালোবাসতো। শিহাব কিছুদিন পর আবারও সুমির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলো। তো সুমি একেবারেই পাত্তা দিলো না শিহাবকে। সুমি কথা না বলে ক্লাসরুমে চলে গেলো। শিহাব যেহেতু নাছোরবান্দা, সেহেতু তার প্ল্যান হচ্ছে যেভাবেই হোক সে সুমির সাথে কথা বলবেই। একদিন শিহাব সুমির জন্য গিফট নিয়ে গেলো ছোট একটি পেপার দিয়ে পেঁচিয়ে। তো সুমিকে গিফট দেওয়ার পর, সুমি সেটা নিয়ে আবারও প্রধান শিক্ষকের রুমে গিয়ে শিহাবের নামে বিচার দিলো।
এতে করে প্রধান শিক্ষকের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো এবং তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, পরের দিন পিটি করার সময় শিহাবকে ইচ্ছেমতো পিটাবে। যাতে করে শিহাবকে দেখে, আর কেউ এসব করার সাহস না পায়। পরের দিন স্কুলে পিটি শুরু হওয়ার আগেই, শিহাবকে ডেকে সবার সামনে প্রধান শিক্ষক ইচ্ছেমতো পিটাতে লাগলেন বেত দিয়ে। মানে এমন একটা ঘটনা যে ঘটবে, সেটা আমরা কেউ বুঝতে পারিনি। যাইহোক শিহাব সেদিন খুব লজ্জা পেলো স্কুলের সবার সামনে। এই ঘটনা সুমির বাসায়ও জেনে গেলো। কারণ পিটি করার সময় তো সবাই উপস্থিত ছিলো। আর সুমির বাসা যেহেতু স্কুল থেকে মোটামুটি কাছাকাছি অবস্থিত ছিলো,তাই কারো মাধ্যমে সুমির দুই ভাইয়ের কানে কথাটা পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর তারা চেয়েছিল শিহাবের বাসার গিয়ে তার মা বাবাকে কিছু কথা শোনাবে।
কিন্তু সুমি বললো আর কিছু করতে হবে না। কারণ শিহাব এমনিতেই অনেক শাস্তি পেয়ে গিয়েছে। তো সেদিনের পর থেকে শিহাব আর স্কুলে কথা বলার চেষ্টা করেনি সুমির সাথে। তবে মাঝেমধ্যে দূর থেকে দেখতো আর কি। তো তারপর শিহাব এসএসসি পাশ করে স্কুল থেকে বের হয়ে গেলো এবং সুমি তখন দশম শ্রেণিতে উঠলো। শিহাব কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে লাগলো ঠিকই, কিন্তু সে একেবারেই ভুলতে পারেনি সুমিকে। হঠাৎ করে আবারও একদিন শিহাব চলে গেলো সুমির সাথে কথা বলতে। অর্থাৎ সুমি যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতো, সেই রাস্তায় গিয়ে সুমির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো শিহাব। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৪.২.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.