ক্রিয়েটিভ রাইটিং || কিছু মা বাবার জেদের কারণে সন্তানের জীবনের শেষ পরিণতি খুব খারাপ হয়(২য় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন সজীব তার মায়ের মাধ্যমে তার বাবাকে অনুরোধ করে, সজীবের গার্লফ্রেন্ডের পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে। তো সজীবের বাবা একেবারেই রাজি হয় না। কারণ তিনি তার বন্ধুর মেয়ের সাথে আগে থেকেই সজীবের বিয়ে ঠিক করে রেখেছে। তিনি উনার বন্ধুকে দেওয়া কথা কোনোভাবেই ফেরাতে পারবে না। এদিকে সজীবও নাছোড়বান্দা। সে তার গার্লফ্রেন্ডকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না।
তো সজীব ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করে না এবং সারাক্ষণ রুমের দরজা দিয়ে মনমরা হয়ে পড়ে থাকে। এতে করে সজীবের মায়ের ভীষণ খারাপ লাগে এবং সজীবের মা সারাক্ষণ কান্নাকাটি করতে থাকে। কারণ একমাত্র ছেলের এমন অবস্থা কোনো মা-ই সহ্য করতে পারে না। তো সজীবের মা প্রায় সারাক্ষণ সজীবের বাবাকে অনুরোধ করে, শুধুমাত্র একবার সজীবের গার্লফ্রেন্ডের বাসায় যেতে। শেষ পর্যন্ত সজীবের বাবা সেখানে যেতে রাজি হয়। তারপর সজীব তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করে সবকিছু খুলে বলে। এরপর সজীবের গার্লফ্রেন্ড তার মা বাবাকে সজীবের কথা খুলে বলে এবং তারা তাদের বাড়িতে আসতে চায়,সেটাও তাদেরকে বলে। সজীবের গার্লফ্রেন্ড যখন তার মা বাবাকে সজীবের কথা বলে,তখন তারা প্রথমে এই ব্যাপারে রাজি না হলেও,পরবর্তীতে তাদের মেয়ের কথায় রাজি হয়ে যায়।
তারপর তারা বলে যে, সজীবের মা বাবাকে তাদের বাসায় যেতে। এটা শুনে সজীব এবং তার গার্লফ্রেন্ড খুব খুশি হয়। তারপর একদিন দুপুর বেলা সজীব তার মা বাবাকে নিয়ে, সজীবের গার্লফ্রেন্ডের বাসায় যায়। সজীবের গার্লফ্রেন্ডের টিনশেড বাসা ছিলো। অর্থাৎ তারা হচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবার। তো সজীবের বাবা তাদের বাড়িঘর দেখে পছন্দ করেন না। তবুও তিনি সজীবের গার্লফ্রেন্ডের বাবার সাথে কিছু কথা বলে,তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসলেন সজীব এবং তার মা'কে নিয়ে। তারপর বাসায় এসে সজীবকে বললো, তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে যাতে আর যোগাযোগ না করে। কারণ এই বিয়ে কিছুতেই সম্ভব নয়। সজীবের বাবার কথা হচ্ছে, তার বন্ধুর পরিবার একেবারে স্বচ্ছল। তাছাড়া যেহেতু উনি আগেই কথা দিয়ে রেখেছেন, তাই সেই মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে।
কিন্তু সজীব বলে, মরে গেলেও অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। তো সজীব তার গার্লফ্রেন্ডকে ফোন দিয়ে সবকিছু খুলে বলে। এতে করে তার গার্লফ্রেন্ড খুবই কষ্ট পায়। তো সজীব তার গার্লফ্রেন্ডকে বলে যে, তারা দু'জন পালিয়ে অনেক দূরে চলে যাবে এবং নিজেরাই বিয়ে করে ফেলবে। কিন্তু সজীবের গার্লফ্রেন্ড পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে রাজি না। কারণ এতে করে তার মা বাবার মান সম্মান নষ্ট হবে। তাছাড়া সজীবের কথা যখন তার গার্লফ্রেন্ড নিজের মা বাবাকে খুলে বলেছে,তখন কিন্তু তারা সজীবকে মেনে নিয়েছে। অর্থাৎ তারা তাদের মেয়ের কথা ভেবেই রাজি হয়েছে। আর সেই মা বাবাকে সজীবের গার্লফ্রেন্ড কষ্ট দিতে পারবে না। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৪.১.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম আর আজ দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। বাবা - মা যখন সন্তানের পছন্দ কে গুরুত্ব না দেয় তখনই সন্তান অন্য পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। তবে সজীবের গার্লফ্রেন্ড পালিয়ে বিয়ে করতে রাজি না হয়ে খুব ভালো লাগলো। পালিয়ে বিয়ে করলেই সবকিছুর সমাধান হয় না। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এটা ঠিক পালিয়ে বিয়ে করলে সবকিছুর সমাধান হয় না। গল্পটা পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাবা-মায়ের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সন্তানের পুরো জীবন ধ্বংস হয়ে যায় তা একেবারে বাস্তব। আমাদের সমাজে এরকম ঘটনার প্রায় ঘটে থাকে। আপনি ঠিক বলেছেন, কিছু মা বাবার জেদের কারণে সন্তানের জীবনের শেষ পরিণতি খুব খারাপ হয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এই ধরনের ঘটনা আসলেই আমাদের সমাজে ঘটতে দেখা যায় ভাই। গল্পটা পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
একেবারে বাস্তবিক একটি কথা আপনি আজকে শেয়ার করেছেন৷ আসলে কিছু কিছু বাবা মার কারণে সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়৷ কারণ বাবা মা চায় যে সন্তানরা অনেক ভালো একটা পদে যাবে এবং ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে৷ তবে সেই সন্তান কি চায় তা তারা কোনভাবে জানতে চায় না৷ হয়তো তার সন্তানের ভেতরে অন্য কোন প্রতিভা লুকানো রয়েছে৷ যা সে প্রকাশ করতে পারছে না৷ শুধুমাত্র তার পিতা মাতার চাপেই সে সবকিছু করছে এবং সে প্রতিনিয়ত এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও তার পিতা-মাতার কারণে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না এবং এভাবেই তার জীবন ধ্বংস হয়ে যায়৷
ভাই আপনি মনে হয় পোস্টটি পড়েননি। এই পোস্টের টপিক সেটা না। আসলে সজীব একটা মেয়েকে ভালোবাসে,কিন্তু তার বাবা সেই মেয়ের সাথে সজীবকে বিয়ে দিতে রাজি হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।