আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে যুগল। এই নাটকটি গত মাসে রিলিজ হয়েছে। অল্প কয়েকদিনে এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে রেহান এবং নাজনীন নিহা। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক রেহান একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে এবং নায়িকা নিহা স্টুডেন্ট, কিন্তু সারাক্ষণ ফেসবুকে নিজের ভিডিও আপলোড করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। রেহান অফিসে থাকা অবস্থায়, বাসায়,বাহিরে কিংবা যেখানেই থাকুক না কেনো,সময় পেলেই নিহার ভিডিও দেখতে থাকে। অর্থাৎ নিহার ভিডিও দেখেই রেহান ক্রাশ খায় নিহার উপর। রেহানের অফিসের সবাই এই ব্যাপারটা জানে এবং রেহান অফিসে বসে কাজ না করে নিহার ভিডিও দেখে বলে,রেহানের বস তাকে বেশ কয়েকবার বকাঝকাও করে। যাইহোক হঠাৎ করে রেহান একদিন দেখে যে নিহার ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করা। তখন তো রেহানের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক রেহানের অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো মডেলিং করার।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

রেহানের পরিচিত এক বড় ভাই হঠাৎ করে রেহানকে একটি বিজ্ঞাপন করার অফার দেয়। রেহান এটা শুনে তো আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। রেহান অনেক জনপ্রিয় একজন নারী মডেলের সাথে বিজ্ঞাপন করার সুযোগ পায়। কিন্তু রেহান মেকআপ করার পর শুটিং স্পটে বসে সেই জনপ্রিয় নারী মডেলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে,কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই নারী মডেল সেটে যায় না। সে বলে যে নতুন কোনো মডেলের সাথে কাজ করবে না। তো রেহানের সেই বড় ভাইয়ের সহকারী তার কাজিন অর্থাৎ নিহার ছবি দেখালো। নিহা যখন সেটে আসলো অর্থাৎ শুটিং স্পটে, তখন রেহান নিহাকে দেখে ভীষণ খুশি হলো। সে কখনো ভাবেনি নিহার সাথে সামনাসামনি এভাবে দেখা হবে। তো সেই বিজ্ঞাপনের শুটিং করার পর,রেহান এবং নিহার সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এককথায় তারা একেবারে হিট হয়ে যায়। তারপর থেকে রেহান এবং নিহা প্রায়ই দেখা করতো ও ফোনে কথা বলতো। তো এভাবেই একে অপরকে ভালোবাসতে শুরু করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল, কিন্তু রেহানের এক্স গার্লফ্রেন্ড এর বাবা যখন মারা গেলো,তখন রেহান তার এক্স গার্লফ্রেন্ডকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, তার সাথে দেখা করলো বেশ কয়েকবার। কিন্তু নিহা এসব ব্যাপারে কিছুই জানে না। এমনকি রেহানের যে এক্স গার্লফ্রেন্ড ছিলো, সেটাও নিহা জানতো না। তো নিহার সন্দেহ হলো, রেহান তার এক্স গার্লফ্রেন্ড এবং নিহার সাথে সম্পর্ক কন্টিনিউ করছে। এরপর তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে ভালোবাসা কিভাবে হয়ে যায়, সেটা বলা যায় না। তবে ভালোবাসলে মুখ ফুটে অবশ্যই বলতে হয়। রেহান এবং নিহা একে অপরকে মনে মনে ভালোবাসতো। কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারছিলো না। তবে শেষ পর্যন্ত রেহান প্রপোজ করে নিহাকে। কিন্তু নিহা তার প্রপোজাল একসেপ্ট করেনি প্রথমে। কারণ ২ দিন পর রেহানের জন্মদিন ছিলো এবং নিহা সেদিন রেহানকে প্রপোজ করতে চেয়েছিল। নিহার কথা হচ্ছে ছেলেরাই সবসময় কেনো প্রপোজ করবে। যাইহোক ভালোবাসার সম্পর্ক ভালোভাবেই চলছিলো। কিন্তু রেহান তার এক্স গার্লফ্রেন্ড এর কথা নিহাকে বলেনি। এটা নিয়েই তাদের মধ্যে পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তাছাড়া রেহান যে তার এক্স গার্লফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করেছিল,সেটাও রেহান বলেনি নিহাকে। এটা তার এক ধরনের অপরাধ ছিলো। কারণ ভালোবাসার মধ্যে এসবকিছু লুকানো উচিত নয়। এতে করে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। যাইহোক মিজানুর রহমান আরিয়ানের নাটক আমার সবসময়ই খুব ভালো লাগে। এই নাটকটি সবমিলিয়ে দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া রেহান নতুন অভিনেতা হলেও বেশ ভালো অভিনয় করেছে এই নাটকে।

আমার রেটিং