"Foodbees এ একদিন: স্বাদের জগতে দুই ভাইয়ের দারুণ অভিজ্ঞতা"
মিনা বাজার, যা ঢাকা শহরের পরিচিত একটি বাজার, তার পিছনে রয়েছে অনেক ফুড কার্ড। এখানে নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের স্টল রয়েছে, যা আপনাকে প্রতিদিনের ক্লান্তি ও তাড়াহুড়ো থেকে মুক্তি দিতে পারে। বিশেষ করে সন্ধ্যা ও রাতের বেলায় এখানে মানুষের ভিড় থাকে, যেখানে খাবারের পাশাপাশি আড্ডা দেওয়া যায়। এটি এমন একটি স্থান যেখানে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং কখনো কখনো অচেনা মানুষের সঙ্গেও ভালো সময় কাটানো সম্ভব।
যখন মিনা বাজারে পৌঁছালাম, তখন বেশ কিছু জনপ্রিয় ফুড কার্ডে খাবারের জন্য লাইন ছিল। কিন্তু আমরা খুঁজে খুঁজে একটিমাত্র ফুড কার্ডে কিছুটা বসার জায়গা পেলাম, যার নাম ছিল "Foodbees" । এটি আমাদের আগেও পছন্দ ছিল, কারণ এখানে বেশ সুস্বাদু এবং সাশ্রয়ী দামের খাবার পাওয়া যায়। মেনু কার্ড দেখে আমরা তিনটি খাবার অর্ডার করলাম: চিকেন নাচস, স্পেশাল নাগা চিকেন এবং স্পেশাল চিকেন রাইস বল।
প্রথমে আসলো চিকেন নাচস, যার দাম ছিল ১৮০ টাকা। এটি ছিল অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুরোপুরি সিজনিং করা। চিকেনের টুকরোগুলো সোনালি রঙ ধারণ করেছিল এবং খেতে ছিল দারুণ মজা। চিকেনের স্বাদ এতটা ভালো ছিল যে, মনে হচ্ছিল এর দাম আরো বেশি হওয়া উচিত। নাচসের সঙ্গে বেশ কিছু স্ন্যাকস ছিল, যা খাবারের স্বাদ আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। দুজনেই এটি খেতে খেতে পুরোপুরি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
এরপর আসলো স্পেশাল নাগা চিকেন, যার দাম ছিল ২২০ টাকা। এটি ছিল একেবারে ভিন্ন ধরনের। প্রথমে স্বাদ ভালো লাগছিল, তবে কিছুক্ষণ পরেই আসল ঝালটা অনুভূত হলো। নাগা চিকেন এতটা ঝাল ছিল যে আমাদের চোখে পানি চলে আসলো। তবে ঝালের মধ্যে এক ধরনের বিশেষ মশলা ছিল, যা আমাদের অভিজ্ঞতাকে আরো স্মরণীয় করে তুলেছিল। ঝালের তীব্রতা সামলে খাবারটি উপভোগ করতে থাকা একটি নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। তারপরে, সিয়াম এবং আমি একে অপরকে হাসতে হাসতে বললাম, "এটা তো খুব ঝাল ছিল, কিন্তু কি দারুণ স্বাদ!" এমনকি ঝালের কারণে কোনো কারণে চাহিদা না থাকলেও খাবারের প্রতি আরো আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সবশেষে, স্পেশাল চিকেন রাইস বল এল, যার দাম ছিল ১৭০ টাকা। এটি ছিল আরেকটি অসাধারণ স্বাদের খাবার, যা ছিল ঝালমুক্ত এবং স্নিগ্ধ। রাইস বলের মধ্যে চিকেনের টুকরোগুলো অত্যন্ত মজাদার ছিল এবং খেতে খুবই আরামদায়ক। চিকেনের সঙ্গে মিষ্টি-মশলাযুক্ত রাইস বলটি সত্যিই খুব ভালো ছিল। সিয়াম এবং আমি খাবারের পাশাপাশি একে অপরকে গল্প করছিলাম এবং আশেপাশের দৃশ্যগুলো উপভোগ করছিলাম।
এ সময়, খাবারের দাম মোটেই বেশি ছিল না, বরং খুব সাশ্রয়ী ছিল। এই ধরনের সুস্বাদু খাবারের জন্য এমন দাম সত্যিই ন্যায্য ছিল। খাবার খাওয়ার সময় আমরা একে অপরকে মজা করছিলাম, আর সেসময় মিনা বাজারে দূর থেকে আসা মানুষের হাসাহাসি এবং রাস্তায় চলতে থাকা গাড়ির শব্দ আমাদের সময়কে আরো সুন্দর করে তুলেছিল। এমন একটি পরিবেশ, যেখানে খাবারের সাথে সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্তগুলো উপভোগ করা যায়, তা সত্যিই অভূতপূর্ব।
এভাবে সাধারণ সময় কাটানোর মধ্যে অসাধারণ আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ, পরিবেশ সব মিলিয়ে আমাদের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। এমন সময়গুলো, যখন আপনি সঠিক মানুষের সঙ্গে উপভোগ করছেন, জীবন যেন আরও সুন্দর মনে হয়। বিশেষত, যখন খাবারের সাথে ভালো পরিবেশ ও সুন্দর মুহূর্ত মিলে যায়, তখন তা এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়।
এভাবে সাধারণ কিছু সময় কাটানো, যেখানে খাবার এবং পরিবেশ একসঙ্গে মিশে যায়, তা সত্যিই এক দারুণ অভিজ্ঞতা। খাবারের মধ্যে যদি মজা এবং ভালো পরিবেশ থাকে, তাহলে সেগুলো আমাদের জীবনে এমন এক স্মৃতি তৈরি করে, যা আমাদের হৃদয়ে চিরকাল থেকে যাবে।তো ওই দিন রাতে আমি আর আমার ছোট ভাই সিয়াম অনেক ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছি।আমাদের দুই ভাইয়ের সুন্দর এই মুহূর্ত আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।আশা করছি আজকের ব্লগটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে।
প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ
Location
Device:Samsung A33 (5G)
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
মোবাইল | Samsung A33 (5G) |
---|---|
ধরণ | "Foodbees এ একদিন: স্বাদের জগতে দারুণ অভিজ্ঞতা" |
ক্যমেরা মডেল | A33 (48+8+5+2) |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।
https://x.com/mohamad786FA/status/1855906889244229804?t=upkfzcC5YAx3OwdZtyuJqA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডিস গুলো দেখেই তো জিহবাতে পানি চলে আসলো, ভাই। বেশ স্পাইসি এবং সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনার খাবারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুন খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে মাঝে মাঝে এরকম সুন্দর সময় কাটাতেও ভালো লাগে। আর বাহিরে খেতে যেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।
মাঝে মাঝে রিপ্লেসমেন্ট এর জন্য বাইরে গিয়ে সুন্দর পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করা উচিত।তাহলে মন ভাল থাকে আর মন ভালো থাকলে সবকিছু ভালো থাকে।
বেশি দারুন অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এমন সুন্দর সুন্দর সুস্বাদু রেসিপি গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে তবে সব সময় এগুলো সব জায়গায় পাওয়া যায় না। বিশেষ করে আমাদের এদিকে বিশেষ কোন দিন উপলক্ষে খেয়াল করে থাকে। যাই হোক খুব ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতে এবং রেসিপির মূল্য নাম সবকিছু সুন্দরভাবে লিখে শেয়ার করেছেন দেখে অনেকটা ভালো লাগলো।
এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
খাবারের দাম সাশ্রয়ী ছিল জেনে ভালো লাগলো।আসলে লোভনীয় খাবার দেখে ঠিক থাকা মুশকিল।স্বাদের জগতে আপনারা জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন আশা করি।ফটোগ্রাফিগুলি সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বী আপু একদম জমিয়ে খাওয়া দাওয়া হয়েছিল সেদিন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই মন্তব্যের জন্য।
ঢাকা শহরের মধ্যে মিনা বাজার খুবই বিখ্যাত। সেখানে আপনারা দুইজন Foodbees খাওয়া দাওয়া করে দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ব্লগটি পড়ে ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ।