"ঘাসফুলের রাজ্যে প্রকৃতির সরল সৌন্দর্যের খোঁজে"
আমার বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ঘাসফুলের ফটোগ্রাফি করার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। ছোটবেলায় ঘাসফুল দেখে তেমন গুরুত্ব দেইনি, কিন্তু আজ যখন বাড়ির আঙ্গিনায় ফুটে থাকা অসংখ্য ঘাসফুল দেখলাম, মনে হলো প্রকৃতি কতটা সুন্দর। ঘাসফুল দেখতে এত দারুণ হতে পারে, তা যেন নতুন করে আবিষ্কার করলাম। বিশেষ করে, যখন ঘাসফুলের রাজ্যে মিশে যায় সূর্যের আলো, তখন এই সৌন্দর্য এক অন্য মাত্রা পায়।আমার করা ঘাসফুলের সেই ফটোগ্রাফি গুলো এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম।আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।চলুন তাহলে শুরু করি...
একদিন বিকেলে আকাশে নরম মেঘ ছিল। হঠাৎ চোখে পড়ল বাড়ির পাশে ছোট ছোট ঘাসফুলের ঝাঁক। এগুলো এত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে যে মনে হলো প্রকৃতি নিজে যেন শিল্পী হয়ে এই চিত্রকর্ম তৈরি করেছে। আমি আর দেরি না করে ফোনটা হাতে নিয়ে ছবি তোলা শুরু করলাম। ঘাসফুলের প্রতিটি দিক, তাদের নকশা, আর সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করা পাপড়িগুলো ফ্রেমবন্দি করতে চেষ্টা করলাম।
ঘাসফুলের প্রজাতি সম্পর্কে বলতে গেলে, এগুলো সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর দেখা যায়। এসব ফুল খুবই ক্ষুদ্র হলেও তাদের রঙ আর গঠন চমৎকার। কিছু ঘাসফুল গোলাপি,কিছু হলুদ, আবার কিছু ফুলের মাঝে মিশ্র রঙ থাকে। বিশেষ করে বৃষ্টির পরে যখন ঘাসের মধ্যে এই ফুলগুলো মাথা তোলে, তখন পুরো এলাকাটা যেন রূপকথার রাজ্যে পরিণত হয়।
এই ঘাসফুল শুধু যে দেখতে সুন্দর তা নয়, প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রেও এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পোকামাকড়, বিশেষ করে মৌমাছি ও প্রজাপতিরা এই ফুলে মধু সংগ্রহ করতে আসে। ফলে, এগুলো পরাগায়নে সাহায্য করে। এছাড়া, এই ফুলগুলো মাটির ক্ষয় রোধেও সহায়ক।
ফটোগ্রাফির সময় লক্ষ্য করলাম, ঘাসফুলের প্রতি সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালে তাদের ভিতরেও এক ধরনের জীবনের স্পন্দন দেখা যায়। একটি ঘাসফুলের ছবি তুলতে গিয়ে দেখলাম, তার ওপরে একটি প্রজাপতি বসে আছে। মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরতে পেরে খুব ভালো লাগল। এমন সময় বৃষ্টি নামল। বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে ঘাসফুলের ছবি তোলা ছিল আরেক অভিজ্ঞতা। ফোটোগ্রাফির প্রতিটি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্য আমাকে দেখাতে চায়।
ঘাসফুল সম্পর্কে আরেকটি মজার তথ্য জানার মতো, এই ফুলগুলো গ্রামীণ কবিতা ও গানে অনেকবার উল্লেখিত হয়েছে। কবিরা এই ছোট্ট ফুলের মধ্যে প্রকৃতির বিশালতা খুঁজে পান। এর সরল সৌন্দর্য অনেকের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়।ফটোগ্রাফি শেষ করার পর যখন ছবিগুলো দেখলাম, তখন মনে হলো, ঘাসফুলের এমন ছবি তুলে আমি প্রকৃতির কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। ছবি তোলার সময় যত্ন নিয়ে কাজ করায় প্রতিটি ছবিতে ঘাসফুলের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ধরা পড়েছে।
পরবর্তী সময়ে এই ফটোগ্রাফিগুলো আমার বন্ধুদের দেখালাম। সবাই ছবি দেখে খুব প্রশংসা করল। কেউ কেউ বলল, ঘাসফুলের এমন সৌন্দর্য তাদের চোখে আগে ধরা পড়েনি। এর মধ্য দিয়ে আমি বুঝলাম, ফটোগ্রাফি শুধু যে স্মৃতি ধরে রাখার একটি মাধ্যম তা নয়, এটি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন করতে পারে।
ঘাসফুলের এই সৌন্দর্য আমাকে নতুন করে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। বাড়ির আঙ্গিনায় বসে এই অভিজ্ঞতা আমি আরেকবার উপভোগ করতে চাই।এর আগেও আপনাদের মাঝে ঘাসফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম।কিন্তু তখন এরকম অনুভূতি হয়নি।এবার নতুন ভাবে ঘাসফুলকে জানতে পারলাম।তাই আবারো ঘাসফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজ আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।আশা করি ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে।
প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ
Device:Samsung A33 (5G)
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
মোবাইল | Samsung A33 (5G) |
---|---|
ধরণ | "ঘাসফুলের রাজ্যে প্রকৃতির সরল সৌন্দর্যের খোঁজে" |
ক্যমেরা মডেল | A33 (48+8+5+2) |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | ঢাকা - বাংলাদেশ |
X-Promotion
হ্যাঁ এই ফুলগুলো শুধু দেখতে সুন্দর এমন নয়। এই ফুলগুলো থেকে মৌমাছি সহ অনেক ছোট ছোট পোকামাকড় মধু সংগ্রহ করে যেটা পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার্থে সাহায্য করে। যাইহোক আপনি চমৎকার কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ঘাসফুলের ছবিটা দারুন লেগেছে ভাই শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি যাকে ঘাসফুস বলছেন, তার কিন্তু আরোও অনেক নাম রয়েছে। আপাতত নাইন ও'ক্লক এবং পর্তুলিকাই মনে পরছে, তবে আরোও কিছু নাম রয়েছে এই ফুলের। প্রকৃতির প্রতিটি অংশরই আলাদা সৌন্দর্য আছে ভাই। শুধু মানুষের দৃষ্টিতে সে সৌন্দর্য সবসময় ধরা পরে না- এটাই পার্থক্য।
জি আপু এই ফুলটার বিভিন্ন রকমের নাম আছে।আসলে আমি ফুলের নামটা খুব কমই জানি, শুধু ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি। এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঘাসফুলের ছবিগুলি তো দারুন সুন্দর তুলেছেন। এই ঘাসফুল আমাদের মাঠে-ঘাটে ফুটে থাকে। কিন্তু আমরা কেউ তাকে গুরুত্ব দিই না। আর আপনি সেই কাশফুলের ছবিগুলিকেই কত সুন্দর করে তুলে এনেছেন আমাদের সামনে। সাধারণ জিনিস ছবি তোলার গুণে কত অসাধারণ হয়ে যায় তা আপনার ছবিগুলি থেকেই বোঝা যাচ্ছে। যেমন সুন্দর ছবিগুলি শেয়ার করবার জন্য।
জি দাদা এই ফুলগুলো বেড়ে ওঠে সম্পূর্ণ যত্নবিহীনভাবে।এই ফুল গাছের যত্ন কেউ নেয় না। বাড়ির আগাছা হিসেবে এগুলো বেড়ে ওঠে।
ঘাসফুলের সৌন্দর্য আসলেই মনমুগ্ধকর। বিভিন্ন রঙের ঘাসফুল গুলো ভীষণ ভালো লাগে দেখতে। আপনি গোলাপি রঙের খুব সুন্দর ঘাসফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট দেখে। এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি ফুলের ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন। এই ফুলটিকে একেক জায়গায় একেক নামে মানুষ চিনে থাকে। আমাদের এই দিকে এই ফুলটিকে টাইম ফুল হিসেবে আমরা চিনে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই ফুলটা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। আমাদের এখানে কেউ কেউ ঘাসফুল বলে আবার কেউ কেউ টাইম ফুল বলে।
একটা সময় আমি আমার বাড়িতে এই ফুল গাছ লাগাতাম। অনেকদিন হয়ে গেল আমার বাড়িতে আর লাগানো হয় না তবে আজও মিস করে থাকি এ ফুলগুলো। আপনি অনেক সুন্দরভাবে ফুলগুলো ফটো ধারণ করে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক অনেক খুশি হলাম।
এই ফুল গাছগুলো বাড়ির সামনে দিয়ে থাকলে অনেক সুন্দর দেখা যায় এবং বাড়ি সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
ঘাসফুলের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। অসাধারণ ছিল ফটোগ্রাফি গুলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।