চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি পর্ব- 2
আজ - ১৫ই, আষাঢ় | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
মেলায় ঢুকতেই শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নামে নতুন একটি স্টল দেখতে পেলাম। আসলে এটি মেলার শুরুর দিকে থাকলেও আমি ঢুকেয়েছিলাম একবারে মেলা থেকে ঘুরে এসে সর্বশেষে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্টলে মেলায় হাঁটাহাঁটির পর গরমে ঘামে বেশ অবস্থা খারাপ। তাই বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে এজন্য ঢুকেছিলাম যাতে এসির নিচে কিছুক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে পারি এবং স্টলটি ও ঘুরে দেখতে পারি । তবে প্যাভেলিয়নটি তে ঢুকে বেশ ভালোই লাগলো। ভিতরের পরিবেশ টা খুবই সুন্দর।
এই প্যাভেলিয়নটি তে মূলত মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখিত বিভিন্ন বই এবং দেওয়ালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন আলোকচিত্র লাগানো ছিল। ওখান থেকে অনেকগুলো বই ঘেঁটে ঘুঁটে দেখলাম কিন্তু কেনা হয়নি। এরপর দেওয়ালে লাগানো আলোকচিত্রগুলো দেখলাম এবং মুঠোফোনে ছবি তুললাম। বেশ ভালই লাগলো। এই বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন এ মিনিট বিশেকের মত ছিলাম। এরপর মাগরিবের আযান দিলে ওখান থেকে বেরিয়ে যায়।
শুরুতে অনেক স্টল ঘোরাঘুরি করা হলেও কিছু কেনা হয়নি এবার কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য আবারো কয়েকটি স্টলে গেলাম। ওখানে একটি ইন্ডিয়ান স্টল ছিল। যেখানে সবজি কাটার এবং পেঁয়াজ কাটার বিক্রি করছিল। ওখান থেকে এক সেট নিলাম। মূল্য ৭০০ টাকা নিল। এরপর অন্য আরেকট স্টল থেকে একটি অয়েল ব্রাশ নিলাম। কারন বাসায় মাঝে মাঝেই গ্রিল বানানো হয়। গ্রিল বানানোর জন্য খুবই কাজে লাগে এই ব্রাশটি। এরপর টুকিটাকি আরো কয়েকটি জিনিস নিলাম প্লাস্টিকের।
এরপর গেলাম নার্সারির স্টলে, ঐ নার্সারিতে মোটামুটি বেশ ভালই গাছ আছে। কিন্তু যা দেখলাম কেনাবেচা অনেক কম কেউ গাছ কিনতে আসছে না সবাই দেখে চলে যাচ্ছে। আমিও কয়েকটি গাছ দেখলাম দেখে চলে গেলাম।
এরপর মেলায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্টল পঞ্চরসের আচারের স্টলে গেলাম। ওখানে মোটামুটি সব ধরনের আচারই পাওয়া যায়। ওখানেই আমি রসুনের আচার টি টেস্ট করলাম। বেশ ভালই লাগল।
মেলা হাঁটাহাঁটি করতে করতে সময় অনেকটুকুই পার হয়ে গেল এখন প্রায় রাত নেমে এসেছে।
অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বেশ ক্লান্ত হয়ে গেলাম। চিন্তা করলাম কিছু খাওয়া দরকার। প্রথম পর্বে বলেছিলাম মেলায় বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান হয়েছে। তারমধ্যে কাচ্চি ডাইন, হাজী বিরিয়ানী এগুলো বেশ জমজমাট দেখলাম। কিন্তু আমার কেন জানি মেলার খোলা পরিবেশে এত ভিড়ের মধ্যে খেতে ইচ্ছে করলো না। চিন্তা করলাম বাসার কাছাকাছি আগ্রাবাদের কাচ্চি ডাইন এ এসে খাব। তারপর মেলা থেকে বেরিয়ে গেলাম। যাওয়ার সময় আগ্রাবাদ রাস্তাতে জ্যাম দেখলাম, তাতে করে বাসে উঠার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললাম, তাই রাইড শেয়ারিং সেবা মোটরসাইকেলে উঠলাম। ১৫ মিনিটের মধ্যে আগ্রাবাদ কাচ্চি ডাইন এর সামনে এসে পৌছালাম।
কাচ্চি ডাইন এ বাশমতি কাচ্ছি প্লেটার টা নিলাম সাথে, সাথে পেপসি নিলাম। খেয়েদেয়ে পেট তাজা করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
তো এই ছিল আমার বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত। আশা করছি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে চট্টগ্রাম বাণিজ্য মেলা সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা দিতে পেরেছি। তো সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বাণিজ্য মেলায় গিয়ে এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা হয় না অনেক বছর। সত্যিই চট্টগ্রাম বাণিজ্য মেলার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি ভাইয়া। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে গিয়ে সুন্দর কিছু দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যেগুলো দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। প্রচণ্ড গরমে ঘেমে গিয়েছেন কি আর করার ভাইয়া বর্তমানে প্রচন্ড গরম পরছে।
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আপনি অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন প্রথম পর্বটি আমি দেখেছিলাম আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। প্রথম পর্ব দেখার পাশাপাশি দ্বিতীয় পর্ব টি দেখে ফেললাম। চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গেলে টুকিটাকি অনেক জিনিস কেনা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাসায় প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এমনিতে কেনার সুযোগ হয়না। তবে মেলায় যখন যাই দোকানে সেই জিনিস গুলো দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে। আপনিও বাসার জন্য সবজি কাটার এবং পেঁয়াজ কাটার কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। এছাড়া সব দোকান গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। প্রত্যেকটি মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো আচারের দোকান। আচারগুলো বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্ত ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।♥️♥️♥️
ভাই এই মেলা কবে শুরু হয়ে কবে শেষ হয়? আমাদের ঢাকায় তো বানিজ্য মেলা ১ মাস চলে। কিন্তু আপনাদের এই মেলা তো মনে হচ্ছে অনেকদিন ধরেই চলছে। নাকি সবাই আগের ছবি পোস্ট করছে বুঝিনা। আপনার তোলা ছবি গুলো দারুন ছিলো। আমাদের এইদিকের বানিজ্য মেলাও অনেকটা এমনই।
এই গাছের দোকানে আমিও গিয়ে ঘুরে এসেছিলাম। কারণ গাছগুলোর দাম বেশ অনেকটাই বেশি ছিল।
গতকাল প্রথম পর্ব দেখেছিলাম মেলার। আজ দ্বিতীয় পর্ব দেখতে পেলাম। কিচেন সেটটি কিনে ভাল করেছেন ভাই। খুবই কাজের জিনিস। সেইসাথে অয়েল ব্রাশটিও কাজ লাগবে গ্রিল বা বারবিকিউ যখন করবেন তখন। কাচ্চি ডাইনের কাচ্চি দেখে ক্ষুধা লেগে গেল কেমন জানি। যাইহোক অনেক ভাল লাগল আপনার পোস্টটি। ঘরে বসে চট্টগ্রামের বানিজ্য মেলা ঘুরতে পারলাম আমরা। ধন্যবাদ আপনাকে । ভালবাসা নিবেন।
মেলায় বেশ সুন্দর সুন্দর স্টল সাজিয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন বেশ আকর্ষণীয় হবে বুঝতে পারছি। তাছাড়া প্রত্যেকটি স্টল অনেক পরিপাটি করে সাজানো। সবজি কাটার যন্ত্রটি আসলেই বেশ চমৎকার। খুব সহজেই পছন্দমতো সাইজের তৈরি করা যায়। মেলা থেকে বের হয়ে কাচ্চি ডাইন এ বাশমতি কাচ্ছি প্লেটার খেয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে মনে হচ্ছে। খাবারটা দেখে মনে হচ্ছিল খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়ে আপনার আনন্দঘন মুহূর্তেগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, মেলা মানেই হরেক রকম জিনিস।আমার কাছে ভালো লেগেছে লেবু ধরে থাকা গাছটি।আর রসুনের আচার নতুন শুনলাম, তবে মনে হচ্ছে এটির আচার বেশ ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত হবে।যাইহোক সবমিলিয়ে আপনি দারুণ সময় কাটিয়েছেন।সত্যিই আমাদের এখানে ও খুবই গরমে অবস্থা খারাপ।ধন্যবাদ ভাইয়া।