বাক্স বদল নাটকের রিভিউ।

নাটকের শুরুতে আমরা দেখতে পাই শ্রুতি (সাবিলা নূর) কে যে কিনা তার লাগেজ খুলে ছেলেদের পোশাক দেখে বেশ অবাক। এ দেখে তার বুঝতে বাকি থাকেনা যে একই দেখতে আরেকজনের লাগেজ এর সাথে তার লাগেজ বদল হয়ে গিয়েছে। এরপর সে এয়ারলাইন্স করে এসেছে সেই এয়ারলাইনস কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে কেননা এয়ারলাইন্স গুলোতে প্রত্যেকটা প্যাসেঞ্জারের এড্রেস দেওয়া থাকে আর সে এড্রেসের মাধ্যমেই এক্সচেঞ্জ হওয়া লাগেজ এর ব্যক্তিকে সেই খুঁজে পেতে পারে এবং তার বদলে যাওয়া লাগেজটি ফিরে পেতে।

অন্যদিকে দেখা যায় রবিনকে (অপূর্ব) সেও তার লাগেজের জায়গায় অন্য আরেকজনের লাগেজ দেখে বেশ অবাক হয়ে যায়। এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তার কাছে ফোন আছে। এয়ারলাইন্স কোম্পানি থেকে। তারা জানায় মিস শ্রুতির লাগেজ এর সাথে আপনার লাগেজ এক্সচেঞ্জ হয়ে গিয়েছে আপনি এখন মিস শ্রুতির সাথে যোগাযোগ করে তার লাগেজ ফিরিয়ে দিন। এই একথা শুনে অপূর্ব তাদের জানাই সে আজ ময়মনসিং যাচ্ছে, তাই আজ তার কাছে সময় নেই ফিরে এসে লাগেজটি ফিরিয়ে দিবে।

এরপর এয়ারলাইন্স কোম্পানি শ্রুতিকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। এর পর শ্রুতি এয়ারলাইন্স কোম্পানি থেকে রবিনের (অপূর্বর) কন্টাক্ট নাম্বারটা নিয়ে তাকে ফোন দেয়। শ্রুতি চাচ্ছিল আজকের মধ্যে যাতে তার ব্যাগ টি ফিরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু অপূর্ব জানাই সে আজ ময়মনসিং যাচ্ছে তার কাছে সময় নেই পরবর্তীতে সে লাগেজটি ফিরিয়ে দিবে। কিন্তু শ্রুতি কোনোভাবেই এই ব্যাপারটি মেনে নিতে চাই না সে মনে করে রবিন হয়তো লাগেজটি ফিরিয়ে দিবে না। আর এই লাগেজ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ ঝগড়া হয়।

এরপর দেখা যায় রবিন এসেছে শ্রুতির বাসায় তার লাগেজটি ফিরিয়ে দিতে। শ্রুতি রবিনকে দেখে বেশ অনেকক্ষণ বকাবকি করে। কিন্তু প্রথম দেখাতেই রবিনের শ্রুতিকে বেশ ভালো লেগে যায়। তাই রবিন শ্রুতির কাছে তার পরিচয় গোপন করে । রবিন জানাই, সে সৌরভ তার বন্ধু রবিন তাকে পাঠিয়েছে লাগেজটি ফিরিয়ে দিতে। আর এই কথা শুনে শ্রুতি তাকে সরি বলতে থাকে কেননা সে এতক্ষন ঝগড়া করেছিল তার সাথে রবিন ভেবে।

শ্রুতির বাবা একজন কবি। কিন্তু তারা এই অসহ্য কবিতাগুলো তার পরিবারে কেউ পছন্দ করেনা। তবুও সে কবিতা লেখে আর এর অসহ্য কবিতাগুলো তার পরিবারকে শোনাতে চাই। কিন্তু তার এই কবিতা গুলো শোনার ভয়ে পরিবারের সকালেই তাকে এড়িয়ে চলে সবসময়।

এরপর দেখা যায় রবিনের বোন কে, সে তার ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে। আর তাদের কথা বলার এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি রবিনের বোনের ফ্রেন্ড হচ্ছে শ্রুতি। এরপর রবিন তার বোন থেকে শ্রুতির ব্যাপারে সবকিছু জেনে নেই।

এর পর দেখা যায় রবিন শ্রুতির বাবার কাছে এসেছে শ্রুতির বাবার কবিতার একজন ভক্ত এই পরিচয় দিয়ে। আর এভাবে প্রায় সময়ই তার বাবার সাথে দেখা করার অজুহাতে শ্রুতির বাসায় আসা যাওয়া করে। আর এভাবে তাদের দেখা-সাক্ষাতের মাধ্যমে শ্রুতি এবং রবিন এর মধ্যে একটি ভালোলাগার সম্পর্ক তৈরি হয়। আর এই সম্পর্কটিও শ্রুতির পরিবার খুব ভালো ভাবেই মেনে নিয়েছে। কিন্তু শ্রুতি তখনও পর্যন্ত জানত না যে সে সৌরভ নয় রবিন।

পরবর্তীতে যখন শ্রুতি জানতে পারে রবিন এতদিন তাকে সৌরভ বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এসেছে। তখন সে রবিনের উপর প্রচুর রাগ করে। এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু রবিন তাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু তা সে কোনভাবেই মেনে নেয় না।

এবার দেখা যায় শ্রুতি রবীনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় রবিন এবং শ্রুতি দুজনেরই খুব কষ্ট পাচ্ছে। পরবর্তীতে শ্রুতির পরিবার শ্রুতিকে খুব ভালোভাবে বুঝায়। এবং বিষয়টি মেনে নেওয়ার কথা বলে। এতে দেখা যায় শ্রুতি রবিনকে ক্ষমা করে দেয় এবং তাদের সম্পর্কে টি আবার ও ঠিক হয়ে যায়। আর এই সুন্দর একটি হ্যাপি এন্ডিং এর মাধ্যমে নাটকটি শেষ হয়।

ব্যক্তিগত মতামত

---

দুইজনের ব্যাগ বদল এর মাধ্যমে নাটকের কাহিনীটি নির্মিত। দুজন অপরিচিত ব্যক্তির ব্যাগ বদলানোর মাধ্যমে কিভাবে তাদের যোগাযোগ হয় এবং ঝগড়ার থেকে কিভাবে তাদের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেই বিষয়গুলো নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নাটক টি যে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে তা কিন্তু নয়। তবে নাটকের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক টা খুব সুন্দর ছিল। আর অপূর্বর অভিনয় খুব ভাল ছিল। তবে নাটকের গল্পটি আমার কাছে ভাল লাগেনি। গল্পে তেমন কোনো নতুনত্ব এবং টুইস্ট ছিলনা। সর্বশেষ আমার ব্যক্তিগত মতামত এর আলোকে বলতে চাই নাটকটি মোটামুটি ভালো ছিলো। তবে খুব ভালো তা কিন্তু নয়। চাইলে আপনারা নাটকটি দেখতে পারেন এবং আপনাদের মতামত জানাতে পারেন। আর ইতিমধ্যে যারা নাটকটি দেখেছেন তারা নিশ্চয় জানাবেন আপনাদের নাটকটি কেমন লেগেছে।

ব্যক্তিগত রেটিং

---

আমি নাটকটি কে ৭/১০ দিচ্ছি।

নাটকের লিংক

---