পাড়ার ছোট বাচ্চাদের খেলা উপভোগ করতে গিয়ে নিজের শৈশবকালকে ফিরে দেখা সাই-ফক্স ১০% বেনিফেসিয়াল 🦊
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করছি ভালো আছেন,আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ ভালো থাকুক সেটাই আমি একান্তভাবে কাম্য করি।আপনাদের পাশাপাশি আমি ও ভালো আছি।সবার দোয়া ও আর্শীবাদে খুবই ভালো দিনকাল অতিক্রম করতেছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ব্যতিক্রমধর্মী একটা পোষ্ট শেয়ার করবো।আর তা হচ্ছে ছোটবেলা আমরা যেই জীবন অতিক্রম করে আসছি তাঁর একটা সচিত্র প্রতিবেদন।আসলে আজ আমি যা শেয়ার করবো তা হচ্ছে আমার পাড়ার ছোট ছোট ছেলেদের খেলার দৃশ্যবলি।
আসলে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে উপলক্ষে করে আমরা প্রত্যেক বছর আমাদের পাড়ার সিনিয়র আর জুনিয়রদের নিয়ে একটা বিশাল ফুটবল খেলার আয়োজন করে থাকি।সেই উপলক্ষে আমরা একটা সুন্দর খেলার মাঠ ও তৈরি করি যাতে করে ঈদের দিন আমরা খেলাধুলা করতে পারি।সেই উপলক্ষে খেলার জন্য মাঠ তৈরি করা।তেো অবশেষে মাঠ ও তৈরি করলাম এবং আমাদের খেলা হয়ে গেল।
মূল কথা হচ্ছে আমরা শুধুমাত্র ঈদের দিনই খেলাধুলা করে থাকি।বাকী দিনগুলাতে আর হয় না কারণ সিনিয়রা সবাই ব্যস্ত থাকেন বিভিন্ন মিটিং ও সভার কাজে।তো খেলার মাঠ সেই উপলক্ষে খালি থাকে।
আর যখন না কি আমাদের খেলার মাঠ খালি থাকে সেই সুযোগে আমাদের খেলার মাঠ দখল করে নেয় আমাদের পাড়ার একেবারেই ছোট ছোট বাচ্চারা।ঈদ পরবর্তী একদিন আমি আমার উপজিলার একটা সভা শেষ করে আমি দুপুরবেলা বাড়ী ফিরে আসি।তখন খেলার মাঠ থেকে আমার বাসায় পর্যন্ত উচ্চস্বরে আওয়াজ শুনা যাচ্ছে ছোট ছোট বাচ্চাদের তাঁরপরে ও আমি তেমনটি গুরূত্ব দেই নাই।আমি ঘুমিয়ে পড়লাম এরপর মসজিদ থেকে মোয়াজ্জিনের আযানের কন্ঠ শুনা যাচ্ছে আম্মু এসে আমাকে বিকালবেলায় ঘুম থেকে জাগিয়ে দিলেন আর বললেন আসরের আযান হচ্ছে নামায পড়তে যাও।আমি গেলাম নামায পড়তে আর মসজিদে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখলাম ছোট ছোট বাচ্চারা দৌঁড়াদড়ি করতে আমাদের খেলার মাঠে।
তো নামায পড়ে সোজা চলে আসলাম আমাদের খেলার মাঠে গিয়ে দেখি ছোট বাচ্চাদের নাকি ফুটবল টুনামেন্ট আছে ওদের ভিতরে ও সিনিয়র জুনিয়র খেলা হবে।তো গিয়ে বসলাম এবং মনে মনে ভাবলাম একটু খেলা দেখে যাই।আসছি যেহেতু।
তো তাঁরা মোটামুটি খেলার আয়োজন সব ঠিক করলো।এখন ফুটবল মাঝ মাঠে এনে খেলা শুরূর অপেক্ষা।তাঁরপরে তাঁদের সিন্ধান্তমতে খেলা শুরূ হলো গেল।
এটি হচ্ছে মাঝ মাঠ এখান থেকে কিক করার পর ওদের খেলা শুরূ হয়।
খেলা শুরূ হওয়ার পরপরই সবাই এইদিক সেইদিক বলের পিছনে দৌড়াতে শুরূ করে দিলো।
এই জুনিয়র পক্ষের গোলকিপার।নাম জোবায়ের।
এই দিকে জুনিয়র পক্ষ কর্ণার কিক নিচ্ছে।
এইদিকে জুনিয়র পক্ষ ডি-বক্সের ভিতরে আক্রমণ করতেছে।
এই হচ্ছে সিনিয়র গোলকিপার নাম তাঁর রিফাত।
মাঝ মাঠে সিনিয়রদের পাল্টা আক্রমণ।
সিনিয়র পক্ষ কর্ণার কিক নিচ্ছেন।
অবশেষে জুনিয়র পক্ষ এক গোল দিয়ে জয়লাভ করলো সিনিয়র পক্ষ এক গোল খেয়ে পরাজিত হল।
Device | Location | Photographer | Play |
---|---|---|---|
Samsung Galaxy M20 | Chandpur, Noakhali | Myself | Football |
নোট: এত কিছুর বলার কারণ হচ্ছে যখন না কি আমি আমার পাড়ার ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলা উপভোগ করছিলাম তখন আমি প্রায় আবেগপ্রবণ অবস্থা আমার চোখে পানি এসে টলমলয় অবস্থা। আহ্!! কি না জীবন পার করে আসছি কোন চিন্তা-ভাবনা কিছুই ছিলো না।একেবারেই স্বাধীন ছিলাম।আজ ওরা কি যে খুশি।খুশি মনে খেলাধুলা করছে।সত্যিই আমি আমার শৈশবকালকে খুবই মিস করি।
এই ধরনের খেলার দৃশ্য দেখলেই আসলে ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত দিনের কথা মনে পড়ে যায়। যেগুলো আমরাও পার করে এসেছি ভালো লাগলো আপনার অনুভূতির গল্প করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
স্বাগতম আপনাকে।
সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি উপভোগ করেছেন। আমিও ছোটবেলায় খেলার মাঠে গিয়ে খেলা দেখতাম। খেলা দেখে আমার খুব প্রিয়। আমাদের এলাকাতে কোথাও খেলা হলে আমি খেলা দেখতে যেতাম। কারণ গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা খুব মজা। সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল শুভকামনা এবং ভালোবাসা।
আসলে ভাই ছোটবেলার দিনগুলি এখন খুবই মিস করি।
আপনার পোস্টের ছবিগুলো দেখে সেই পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলাম। আপনি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভালোবাসা অবিরাম ভাই।
অনেক কৃতঙ্গতা।
ফুটবল খেলা আমার খুবই পছন্দ ছিল। এই ধরনের খেলার দৃশ্য দেখলে আসলেই ছোটবেলার সেই মুহূর্তের কথা মনে পড়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই খেলার মুহূর্ত গুলো শেয়ার করো
চির কৃতঙ্গ।