টেকনাফে নাফ নদীর তীরে ঘুরতে গিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি ১০% পে-আউট সাই 🦊🦊।
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ গণ সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর ভালো থাকাটাই আমি একান্তভাবে কাম্য বোধ করি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দের।আমি ও বেশ ভালো আছি আপনাদের দোয়া।*
তো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার টেকনাফের ভ্রমণ সম্পর্কে।আসলে বলতে গেলে পুরো বাংলাদেশে মোটামুটিভাবে আমার প্রায় বাংলাদেশের বেশির ভাগ জিলা ঘোরাফেরা হয়েছে।তো এখন আছি টেকনাফে।টেকনাফে আছি গত সেমবার থেকে।
তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন তাই আমার কাজ ও বন্ধ।যেহেতু আজ কোন কাজ নেই সেহেতু আজ জুমার নামায আদায় করে দুপুরবেলার খাবার সেরে চলে আসলাম আমার হোটেলে।হোটেলে আসার পর পরই শুরূ হলো বৃষ্টি আর বৃষ্টি। যখন ঘড়ির কাঁটা বিকেল ৫ টায় তখন মোটামুটিভাবে কিছুটা বন্ধ হল বৃষ্টি।আর যখন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল তখন আর হোটেলে আর বসে থাকতে মন চাচ্ছে না।তাই ঠিক করলাম কোথায় ও থেকে ঘুরে আছি।তাই চলে গেলা হোটেল রিসেপসন্সে গিয়ে জিঙ্গেস করলাম কোথায়ও ঘোরাফেরার জায়গায় আছে।জবাবে এই মামা বললেন জ্বি আসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেটি এলাকায়।তখন এই মামাকে জিঙ্গেস করলাম এইখান থেকে দুরূত্ব কেমন উনি বললেন।অটো ভাড়া মাত্র বিশ টাকা তার মানে বুঝে নিলাম বেশি দূরে না তাই চলে গেলাম।নাফ নদীর সীমান্তবর্তী এলাকাতে।
তাঁরপরে টেকনাফ বাজার থেকে একটা অটো নিয়ে রওনা হলাম নাফ নদীর সীমান্তবর্তী বা জেটি এলাকার উদ্দেশ্যে। প্রায় পাঁচ মিনিট বসার পর দেখি এক পর্যায়ে পৌঁছে গেলাম সীমান্তবর্তী এলাকায়।
যখন পৌঁছালাম তখন দশ টাকার একটা টিকেট ক্রয় করে ভিতরে প্রবেশ করলাম।এখানে কথা আছে ভিতরে প্রবেশ করতে কিন্তু টাকা লাগে বাট আমি যে অটো নিয়েছিলাম সেই অটোওয়ালা এই দশ টাকা দেয়ার কথা ছিলো।বাট উনি না দেওয়াতে আমাকে দন্ড দিতে হয়েছে ওর তরফ থেকে।আমার ও জানা ছিলো না যে আটো ড্রাইভারের ভাড়াসহ মোট ভাড়া বিশ টাকা অর্থাৎ এই বিশ টাকার মধ্যে দশ টাকা ভাড়া বাকী দশ টাকা অটোওয়ালা পর্যটন কর্পোরেশনের লোকদের দিবে।কিন্তু দশ টাকা দেই নাই পরে আমি দিয়ে দিছি।
এই যে রসিদের ছবি।
ভিতরে ঢুকার আগে চোখে পড়লো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা সেই ৫৫০ মিটার জেটির উদ্বোধনের ফলক।
এইবার ভিতরে ঢুকবার পালা।যতই ভিতরে যাই ততই অবাক লাগে।সেই সুরূ অনেক বড় একটা ব্রিজ যেই ব্রিজ দিয়ে মানুষজন একেবারেই জেটির পথে প্রবেশ করে থাকে।আর আাশ পাশে নদী।
ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে একটা ছবি নিলাম।
তাঁরপরে পুরো ব্রিজের একটা ছবি।
এক পর্যায়ে এসে পৌঁছে গেলাম জেটির কাছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায়।এর পরে নদীর ছবি নিলাম।যখন নাকি নাফ নদীর ছবি নিচ্ছিলাম তখন চোখে ধরা পড়লো জেলেরা মাছ দরতেছে ওরা হচ্ছে বাংলাদেশের জেলে বা নাগরিক।ওরা নদীর পাশ থেকে এসে মাছ ধরতেছে।এরপরে ওদের ও ছবি নিলাম।
এইখান থেকে নো ম্যান্স ল্যান্ড এর ছবি ও ধারণ করলাম।এই যে দেখেন নদীর ওই পাশটা হলো নো ম্যান্স ল্যান্ড এরিয়া।এই জায়গাতে কোন মানুষের বসবাস নেই।আমার সাথে এক সেনাবাহিনীর দম্পতি ও ছিলেন আমরা জেলেদের কাছে ঢাকলাম এবং বললাম কি মাছ পেয়েছে তা আমাদের দেখাতে।অবশেষে তাঁরা আসলো এবং আমাদেরকে তাঁদের মাছগুলো দেখালো।এই যে মাছগুলার ছবি দেখেন।
মাছগুলোর সাথে কিছু কাঁকড়া ও ছিলো পরে এক বিজিপির লোক এসে সেনাবাহিনীর অফিসারকে এইগুলা দিয়ে দিতে বললো।পরে জেলে তাঁর কাঁকড়াগুলো দিয়ে দেয় আর্মি অফিসারকে।
জেটিতে আবার ক্যান্টিন ও আছে একটা সর্বশেষ ওইখানে গিয়ে একটা ড্রিংকস খেয়ে জেটি বা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমার বর্ডারের সৌন্দর্য দেখার ইতি টানলাম।
Device | Location | Photographer |
---|---|---|
স্যামসাং গেলাস্কী M20 | নাফ নদী জেটি গাট, টেকনাফ | রাহুল & আমি |
আজকে বিকেলে যখন বৃষ্টি থেমে যায় তখন আপনি হোটেলে রিসিপশনে জিজ্ঞেস করলেন আশেপাশে কোন ঘোরার জায়গা আছে কিনা ?সেখান থেকে আপনি জানতে পারলেন আশেপাশে একটি ঘোরার জায়গা আছে পরবর্তীতে আপনি নাফ নদীর তীরবর্তী তে চলে গেলেন। এবং সেখানে গিয়ে অসাধারন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্!! আপনিতো দেখতাছি আমার পুরো পোষ্ট পড়েছেন।যাইহোক, মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। টেকনাফ নদীর তীরে আপনি খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। খুবই ভালো লেগেছে নদীর তীরে সময় কাটাতে আমার কাছে ও খুব ভালো লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ টেকনাফ নদীর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলেই আপনি সত্যিই বলেছেন অনেক মজাদার ও ভালো সময় কাটিয়েছি।নাফ নদীর তীরে গিয়ে।
প্রথমে তো বলব ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আর সেখানে যদি নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি আর ছবি তোলা যায় তাহলে দাও মনটা ফুরফুরে হয়ে যায়। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে তো বিশেষ করে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার ভালো লাগার মাঝে আমার স্বার্থকতা খুঁজে পাই।
টেকনাফে করতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর নদী ফটোগ্রাফি তুলেছেন ভাইয়া । সত্যি কথা বলতে বাইরে যেতে কার না ভালো লাগে বাইরে ঘুরতে গেলে অদ্ভুত আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। আপনি নদীর পাড়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
অনেক কৃতঙ্গতা।
ঘোরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে, ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা তার মধ্যে যদি হয় চমৎকার একটি নদী তাহলে তো আর কথাই নেই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক ছোট ছোট তাজা মাছে ফটোগ্রাফি রয়েছে যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বেশ চমৎকার ভাবে আপনি নাফ নদীতে ঘুরতে গিয়ে নদীর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ঘোরাফেরা করার মজাই আলাদা।
ছোটবেলা থেকেই নাম শুনে আসছি বইয়ের পাতায় বাংলাদেশ এবং মায়ানমার বিভক্তকারী নদীর নাম নাফ নিজে কখনো দেখা হয়নি তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
আমি শুনেছি আগে বাট আজ সাক্ষী হয়ে আসলাম।
আসলে ব্যস্ততা শেষে এরকম একটু আদটু ঘোরাঘুরি করা দরকার।তাহলে মনটা অনেক ফ্রেশ থাকে।আর ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হয়েছে।আর অনেক সামুদ্রিক ম্যাচ দেখলাম।যদিও মাছ গুল চিনি না।😁
আসলেই মাঝে মধ্যে একটু ঘুরলে মনটা অনেক ফ্রেশ থাকে আপনি যথাযর্থই বলেছেন।
ভাইয়া মনে হচ্ছে সোমবার হবে,একটু ঠিক করে নিবেন।বেশ কিছু বানান।যাই হোক ছবিগুলো বেশ ভালো তোলেছেন।ধন্যবাদ
টেকনাফ নদীতে ঘুরতে গিয়ে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে এবং আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর ভাবে আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাকে ও।
সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আসলে অনেকটাই খারাপ লাগে। কিন্তু তার মাঝে যদি একটু ঘোরাফেরা করা যায়। তাহলে কিন্তু খুবই ভাল হয়। আপনি টেকনাফ নদীতে ঘুরতে গিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আর ভালো সময় কাটিয়েছেন এটা দেখে আসলে খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আর শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি যথাযর্থ ই বলেছেন কাজের প্রশান্তি হলো ঘোরাফেরা।