টেকনাফ সী বীচে অতিবাহিত করা কিছু সময় সাথে রেনডম ফটোগ্রাফি ১০% পে-আউট 🦊।
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ গণ সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর ভালো থাকাটাই আমি একান্তভাবে কাম্য বোধ করি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দের।আমি ও বেশ ভালো আছি আপনাদের দোয়া।
তো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার টেকনাফের ভ্রমণ সম্পর্কে।আসলে বলতে গেলে পুরো বাংলাদেশের মোটামুটিভাবে আমার প্রায় বেশির ভাগ জিলা ঘোরাফেরা হয়েছে।তো এখন আছি টেকনাফে।
তো টেকনাফে আসছি হলো দুইদিন।বেশ ভালোই দিন পার করছি কাজে কর্মে।আপনার এই সপ্তাহের ট্যুর বাট কাজ হচ্ছে অনেক তাঁরপরে ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যথাসময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে।
আসলে টেকনাফ হচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলায়।এখনে খাওয়া-দাওয়ার তেমন ভালো কোন হোটেল বা রেষ্টুরেন্ট ও নেই।আর সবচেযে বড় অসুবিধা হচ্ছে পানির সমস্যা পানি একেবারেই পিচ্ছিল ও লবণে ভরপুর।এখান থেকে প্রায়ই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য কিছুটা দেখা।
আজসহ দুইদিন অতিবাহিত হচ্ছে টেকনাফে।আমি বর্তমানে টেকনাফের উপজিলা শহরে অবস্থান করছি। এখান থেকে মোটামুটি সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার কাছে।তো যদি ও আমার কর্ম ব্যস্ততার মাঝে এখনো ওই দুই জায়গায় যাওয়া সুযোহ হয় নাই।তবে টেকনাফের সী বীচ গিয়েছিলাম আজ কারণ আমার থেকে মাত্র দশ টাকা অটো ভাড়া টেকনাফ সী বীচের।আর সময় লাগে পাঁচ মিনিট করে দশ মিনিট আসা যাওয়া।
তো সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।প্রায়ই সূর্যাস্ত সময় হয়ে আসছে তখন ক্লাইন্টের ফোরখান নামে এক ভাই বললো আরিফ ভাই চলেন সী বীচে যাই।আমি বললাম এখন কিভাবে আর সময় কই সন্ধ্যায় ঘনিয়ে আসছে।এখন সম্ভব না জবাবে উনি বললো।ভাই এখানে কক্সবাজার সী বীচ ছাড়া টেকনাফের ও ছোট্ট একটা সী বীচ আছে চলেন ওইখানে যাই।আর ওইটা ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে কম না।তো আমি বললাম কখন পৌঁছাবো উনি বললেন পাঁচ মিনিট লাগবে।আমি ও রাজি হয়ে গেলাম।রিসোর্ট হয়ে ফ্রেশ হয়ে জামা কাপড় পরিবর্তন করে সী বীচে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।
দুইজনে একটা অটো দশ টাকা ভাড়া নিয়ে রওনা হলাম টেকনাফের সী বীচের উদ্দেশ্যে।অবশেষে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গেলাম টেকনাফ সী বীচে। যখন গিয়ে পৌঁছালাম তখন সমুদ্র সৈকত দেখে সাথে সাথে সৃষ্টিকর্তার কথা মনে পড়ে গেল।কী না সৃষ্টি করলেন উনি আমাদের জন্য।সমুদ্রের এক এক বড় বড় ঢেউয়ের আওয়াজে আমি ভয় পাচ্ছিলাম।
এটি হচ্ছে বড় বড় ঢেউগুলোর মধ্যে থেকে নেয়া ছবি।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ছোট্ট একটা বাচ্চা এই ঢেউগুলোর মধ্যে সাঁতার কাটছে।তাঁর মধ্যে কোন ভয় কাজ করছে না আর আমি ভয়ে আতঙ্কিত।
এটি হচ্ছে পুরো সমুদ্র সৈকতে নিয়ে একটা ছবি।
আর আমি যখন সমুদ্রের সৈকতের ছবি নিচ্ছিলাম তখন দুইটা ছোট্ট বাচ্চা এসে আমাকে বললো ওদের ও যেন দুই একটা ছবি তুলে দেই।তাই ওদের কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।সমুদ্রের মাঝখান থেকে ও বাঁধের কিনারা থেকে।
এরপরে ওই ছেলেগুলো আমারে বললো ভাইয়া আপনি তুলবেন না ছবি। আমি বললাম কে তুলে দিবে আমি তো একা যদি ও আমার সাথে আমার ক্লাইন্ট ফোরখান ভাই আছে।বাট উনি সমুদ্রে নামেন নাই পায়ের জুতা ভিজবে বলে।তাছাড়া ওনারা এখানকার স্থানীয় ওনাদের বারবার করে আসা যাওয়া হয়েছে তাই হয়তোবা একটু অনিহা ও কাজ করছিলো।তো আমি যখন ওদের বললাম আমি একা তখন ওদের মধ্যে বড় ছেলেটা আমাকে বললো ভাইয়া আমি ছবি তুলে দিব।তখন আমি ও কয়েকটা ছবি নিয়েছিলাম।
এই যে আমার তোলা ছবি।সমুদ্রের একটু মাঝ খানে ও বাঁধের কিনারা।
আর দূরে এইদিকে বড় বড় কিশোররা ফুটবল খেলতাছে।আর সমুদ্রে ডুব দিচ্ছে।
এটি সুরূ একটি রাস্তা এই রাস্তা দিয়ে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়।
Device | Location | Photographer |
---|---|---|
Samsung Galaxy M20 | Teknaf, Cox's Bazar | Myself & Rimon |
টেকনাফ তো কখনো যাওয়া হয় নি, তাই আপনার পোস্টের মাধ্যমে কিছুটা দেখা হয়ে গেল। ভাই তো দেখি ভালই সময় কাটাচ্ছেন, এক ঢিলে দুই পাখি মারা,। অফিসের কাজ ও হচ্ছে আবার সুন্দর ঘোরাঘুরি। হিহিহিহি। ভালো লাগলো ভাই ছবি গুলো দেখে।
তা একেবারে মন্দ বলেন নাই। এক ঢিলে দুই পাখি 👍।
টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু এবার কখনো টেকনাফ যাওয়া হয়নি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। তাছাড়া ওইখানে খুব একটা খাবার হোটেল পাওয়া যায় না সেটা শুনে অবাক হলাম। তাছাড়া পানিও শুনছি একদম লবণাক্ত। এমনিতে ফটোগ্রফি গুলো দেখতে ভালো লেগেছে। মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোষ্ট পড়ে ও কমেন্ট রাখার জন্য আমি আপনার প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করছি।
আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে মনটা জুড়িয়ে গেলো। আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমার সমুদ্র পাড়ের ফটোগ্রাফি খুব ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য।
কখনো টেকনাফ যাওয়া হয়নি ভাই তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম দেখতে বুঝতে পারলাম আসলে জায়গাটা আসলেই খুবই সুন্দর। আসলে পানিতে যদি কষ্ট হয় তাহলে সেটাই বেশি কষ্ট। কেননা পানি খেয়ে যদি ভালো না লাগে তবে তাহলে খারাপ লাগে।
পানি একদমে ভালো না এমনিতেই আমি সবসময় ফ্রেশ বা মিনারেল ওয়াটার খেয়ে থাকি বাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য বড় বিপদে আছি।
আমি টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের কথা অনেকের কাছে শুনেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যাওয়া হয় নাই। যাওয়ার অনেক ইচ্ছে ছিল। আপনার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে যাওয়ার ইচ্ছে দ্বিগুণ হয়ে গেল। খাওয়ায় কিছুটা কষ্ট করলেও এত সুন্দর জায়গা দেখে সেটা মিটে যাবে আশা করি। ফটোগ্রফি গুলো দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম সুযোগ করে চলে আসেন একবার।
টেকনাফ সী বীচে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। টেকনাফ কখনো যাওয়া হয়নি ভাইয়া। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চির কৃতঙ্গ।
টেকনাফ সী বীচের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধনব্যাদ আপনাকে ও এত সুন্দর করে পড়ে মন্তব্য রাখার জন্য।
টেকনাফে সমুদ্রসৈকতে সুন্দর মুহুর্ত কাটানোর পাশাপাশি ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার কাছে ফটোগ্রাফি পোস্ট অনেক ভালো লাগে ।আমাদের সাথে এত সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
যদিও এখন পর্যন্ত টেকনাফ সী বিচে যাওয়া হয়নি তবে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে টেকনাফ সী বিচের কিছু আলোকচিত্র দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি অনেক উপভোগ্য স্থান টেকনাফ সী বীচ।
সমুদ্র সৈকতের অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন । সমুদ্র সমুদ্রে সৈকতে সময় কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এত চমৎকার ভ্রমণকাহিনী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
লাইফে প্রথম কোন সমুদ্র সৈকতে সময় অতিবাহিত করলাম ভাই।তবে মজাটাই আলাদা।