মধুমতি নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রতিদিন আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করতে আমার অনেক ভালো লাগে।ঈদের দিন বিকালে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম নদীর পাড়ে। প্রতিবছর ঈদে নদীর পারের ছোট্ট একটি মেলা বসে। আগের বার গিয়েছিলাম নদীর পাড়ের মেলায় তাই ভাবলাম এবার একটু ঘুরে আসি। এবার যে পরিমাণে গরম পড়েছে বাসায় থাকা কঠিন।তারপর আবার কারেন্ট থাকছে না। আমরা বিকালের দিকে বেরিয়ে পড়লাম নদীর পাড়ের উদ্দেশ্যে।
প্রথমে গিয়ে আমরা নদীর পাড়ে কিছু সময় বসে থাকলাম। নদীর পাড়ে এত সুন্দর বাতাস যেন মন ভরে গেল। আমাদের মত আরও অনেকেই এসেছে নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করার জন্য।
নদীতে প্রচুর পরিমাণে পানি বেড়ে গেছে।নদী আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে । এ সময়টা যেন নদী, তার প্রাণ ফিরে পায়। নদীর পাড়ে বসার জন্য খুবই সুন্দর জায়গা রয়েছে। নদীতে ঘোরাঘুরি করার জন্য নৌকা রয়েছে।
নদীটা খুবই বড় এ নদীর নাম মধুমতি নদী।আপনারা হয়তো আমার আগের অনেক পোস্টে এই নদী দেখেছেন। আমরা নদীর পাড়ে বসে প্ল্যানিং করলাম যে আমরা কালকে নদীতে গোসল করতে আসবো।
বিভিন্ন জায়গা থেকে এই নদীতে মানুষ গোসল করতে আসে। খুব সুন্দর পানি এই নদীতে। নদীর পাশে বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। আমরা দোকান থেকে ঝালমুড়ি খেলাম। এবং হেঁটে হেঁটে মেলার দিকে যাচ্ছিলাম।
মেলায় গিয়ে আমরা চটপটি ফুচকা খেলাম। বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ছিল মেলায়। যেহেতু ছোট একটি মেলা এর জন্য খেলনা বেশি ছিল।
এই মেলা থেকে আমি দুটি চাবির রিং কিনেছি। বেশ কিছু সময় পর সন্ধ্যা হয়ে এল। সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন লাইটিং এ মেলা আরো সুন্দর হয়ে উঠলো। কিছুক্ষণ মেলায় ঘোরাঘুরি করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফার | @mithila19 |
---|---|
ডিভাইস | samsang note 10 lite |
আমি মিথিলা ইসলাম।আমি একজন 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩। বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ।❤️ আমার স্টিমিট একাউন্ট @mithila19
ঈদের দিন বিকেল বেলায় দেখছি মধুমতি নদীর পাড়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলেন। আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তের পোস্টটা বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করলাম। নদীর আশেপাশের সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। আবার দেখছি ঈদ উপলক্ষে নদীর পাড়ে ছোট একটা মেলাও বসেছে। মেলা থেকে আপনি দুইটা চাবির রিং কিনেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আর নদীতে গোসল করার প্ল্যান করেছিলেন, আপনারা কি পরের দিন গোসল করেছিলেন?? যাইহোক নদীতে গোসল করার আনন্দ নিশ্চয়ই আলাদা। যদিও কখনো নদীতে গোসল করা হয়নি, তবে বিষয়টা আমার কাছে দারুন লাগে শুনতে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টের সময় নিয়ে পড়ার জন্য। আপনার কমেন্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।
ওয়াও আপু ঈদের দিন বিকেলে আপনারা মধুমতি নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। নদীর সৌন্দর্য আমার কাছে সবসময়ই অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ঘোরাঘুরির মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুব কম খুঁজে পাওয়া যাবে। আর নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করতে সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে আমি তো খুবই ভালোবাসি নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করতে। আর এজন্য আমি প্রায় সময় নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে থাকি। নদীর পাড়ের সৌন্দর্য খুবই দারুণ হয়ে থাকে। যা সবকিছুর থেকে আলাদা। আর যখনই এই জায়গা গুলোতে যাওয়া হয়, তখনই মনটা অনেক বেশি ভালো হয়ে যায়। আপনারা নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করার সময় খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য এবং এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এটা ঠিক যে, নদীর পাড়ে বসে যে বাতাসটা পাওয়া যায় তাতেই আসলে মনটা ভরে যায় । আর নদীতে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে নদীর সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যায়। এরকম সুন্দর নদীর পাড়ে গিয়ে ঘোরাঘুরির সুযোগ হলে তো অবশ্যই ভালো লাগে। যাইহোক, নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি শেষ করে আপনি যে সেখানকার একটি মেলা থেকে ফুচকা চটপটি খেয়েছেন এবং সেই সাথে দুটো চাবির রিংও কিনেছেন, সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া শুভকামনা রইল আপনার জন্য।