হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কনকের জীবনের গল্প শেয়ার করতে এসেছি ।তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে গল্পটি শোনা যাক। অনেক ভদ্র ছেলে কনক লেখাপড়ায় অনেক ভালো । কনকের বাবা ছিল না সে মামার বাড়িতেই মানুষ হয়েছে ।তার বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছিল। কনকের বয়স যখন 5 বছর হয়েছিল তখন তার বাবা অসুস্থতার কারণে মারা যান ।তারপর থেকেই তার মা ও কোন তার মামার বাড়িতে থাকতো। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে একটা মাস্টারের চাকরি পায়। মাস্টার এর চাকরি পাওয়ার কারণে তার মা ও তার মামা অনেক আনন্দিত হয়েছিল ।কেননা অনেক কষ্ট করার পর সেই সফলতার মুখ দেখেছে। চাকরি পাওয়ার আনন্দে সে প্রথম বেতন পেয়েই গ্রামের অর্ধেক মানুষকে মিষ্টি খাওয়াই। অনেক খুশি না হলে হয়তো এটা সবার পক্ষে করা সম্ভব না ।বাবা না থাকলে লেখাপড়া করা যে কত কষ্ট যার বাবা থাকে না সে জানে। কনকের বাবা ছিল না তবুও সে তার লেখাপড়া ছেড়ে দেয়নি ।অনেক কষ্টের মাঝেও সে তার লেখাপড়াকে ধরে রাখে। আজকে সে তার সফলতার মুখ দেখেছে সব মানুষেরই হয়তো এমন চেষ্টা থাকা দরকার। তাহলে হয়তো মানুষ আর পিছু পড়ে থাকবে না গন্তব্যে এগিয়ে যাবে।
Source
যখন চাকরি পেল তখন সে তার চাকরিতে জয়েন করল। কনক হাইস স্কুলের টিচার ছিল ।সে যখন শিক্ষকতা করতে শুরু করলো তখন একটা মেয়ের সাথে পরিচিত হল। মেয়েটির নাম ছিল মিমি ,মেয়েটা দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর। যেমনি সুন্দর সেমনি তার মুখের হাসি প্রথম যেদিন কনক মেয়েটাকে দেখেছিল সেদিনই হয়তো তার অনেক ভালো লাগছিল। মেয়েটা কে যখন কনক দেখে তখন মেয়েটা ক্লাস নাইনে পড়তো। কনক যখন শিক্ষকতা করত তখন কনকের বিয়ে হয়েছিল না ।মিমিকে দেখে সে ভাবছিল তাকে সে জীবনসঙ্গী করবে ।আস্তে আস্তে শিক্ষকতা করতে করতে মিমির সাথে অনেক পরিচিত এবং ক্লোজ হয়ে যায়। কনক ক্লাস নাইনেরও ক্লাস নিত। মিমির পড়াশোনার ব্যাপারে কোন কিছু সমস্যা হলে কনক তাকে সাহায্য করতো। এভাবেই চলতে চলতে তারা দুজন অনেক ক্লোজ হয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয় ।মিমি যখন ক্লাস টেনে উঠল তখন অনেকটাই সে বড় হয়ে গেছিল এবং সে বুঝতে পারতো কনক টিচার তাকে অনেক পছন্দ করে। সেও কনক টিচার কেউ অল্প একটু পছন্দ করত। কিন্তু মিমি কোনদিনও তাকে বিয়ে করবে না এটা সে মনে মনে ভাবতো। এদিকে কনক টিচারের ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে মিমি তার কাছ থেকে মাঝেমধ্যে টাকা নিতো ।কোন পিকনিক বা পরীক্ষার ফিস দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই স্যার তাকে টাকা দিত। আর তাকে এতো ভালবাসতে যে মাঝেমধ্যে তার ভালো লাগার জন্য তাকে সুন্দর সুন্দর গিফট দিত। এভাবেই চলতে চলতে কনক টিচার ভাবলো এবার মিমিদের বাড়িতে সে প্রস্তাব পাঠাবে তাদের বিয়ের জন্য ।যখন তার মামাকে মিমিদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার জন্য বলল তখন সে বলল আচ্ছা সেই মেয়েটা কি তোকে ভালোবাসে ।তখন স্যার বলল হা সেও আমাকে ভালবাসে। সে কথা শুনে তার মামা মিমিদের বাড়িতে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে গেল। মিমির বাবা বললো আমি আমার মেয়েকে ওখানে বিয়ে দেব না। তখন মিমিও সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল মিমি ও তার বাবাকে কিছু বলল না ।মিমি আগে থেকেই জানতো তার বাবা এরকম কিছুই বলবে ।সেজন্য সে কোন কথা না বলেই দাঁড়িয়ে ছিল ।যখন কনক জানতে পারলো মিমির বাবা তার সাথে মিমিকে বিয়ে দেবে না এবং মিমি কিছুই বলছিল না তখন অনেক কষ্ট পেয়েছিল ।
Source
মিমির বাবা ভালো সম্বন্ধ দেখে মিমিকে বিয়ে দিয়ে দেয় ।আর মিমি যখন জানতে পারলো যার সাথে মিমির বিয়ে হবে তারা অনেক বড়লোক। তখন সে তার বাবাকে বলল তার বাবার পছন্দের ছেলের সাথে মিমি বিয়ে করবে। বড়লোক ছেলে আর টাকা পয়সা দেখেই মিমি ভুলে গেল কিন্তু সে একটুও কনকের কথা ভাবলো না কনক তাকে কতটা ভালোবাসে ।এরপর মিমির বিয়ে হয়ে গেল মিমি অনেক সুখে-শান্তিতে ঘর-সংসার করছিল
মিমির বিয়ের প্রায় আট মাস পর যেদিন কনক সিদ্ধান্ত নিল সেও বিয়ে করবে তখন একটা অবাক কান্ড ঘটে। যেদিন সকাল বেলায় একটা মেয়েকে বিয়ে করে আনে সেই দিন সন্ধ্যা বেলায় মিমির হাসবেন্ড এক্সিডেন্টে মারা যান। যখন কনক জানতে পারলো মিমির হাজবেন্ড মারা গিয়েছে তখন ভাবলো হায় আল্লাহ আমি যদি আর একদিন পর বিয়েটা করা সিদ্ধান্ত নিতাম তাহলে হয়তো আমার মিমির সাথে আমার বিয়ে হতো। তাকে আমি প্রথমবার না পেলেও দ্বিতীয়বার হয়তো আমার জীবনে সে আসতো। এটা কনক ভেবেছিল। বন্ধুরা আপনারা কি বুঝতে পারলেন এই গল্পটায়? আপনারা হয়তো নিশ্চয়ই বুঝতে পেয়েছেন কারণ নিষ্পাপ জীবন নিয়ে খেলা করলে কেউই হয়তো সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারে না ।তার জীবনেও হয়তো একদিন ঘন অন্ধকারের মতো কষ্ট নেমে আসে ।কনক মিমিকে অনেক ভালোবাসতো কিন্তু মিমি তার ভালোবাসার মূল্য দেয়নি সে টাকা-পয়সা আর ধন-সম্পদের লোভে সে অন্য ছেলেকে বিয়ে করে। কিন্তু অন্য ছেলেকে বিয়ে করার পরও সে সুখে থাকতে পারলো না। আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে? কতটা ভালো লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | গল্প |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
কনকের জীবনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু এমন মেয়েদের জন্য হয়তো ভালো ছেলেদের মন ভেঙে যায়। আর টাকা পয়সা কখনো মানুষকে সুখ এনে দিতে পারে না। বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে।
ঠিক বলছেন আপু এমন মেয়েদের জন্য ভালো ছেলেদের মন ভেঙ্গে যায়।
অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার এই গল্প পড়ার মধ্য দিয়ে কনকের জীবন কাহিনী অনেক কিছু জানার সুযোগ পেলাম। আসলে এই সমস্ত ঘটনাগুলো পড়ার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ মিলে।
ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।