||সজীব এর জীবনের গল্প||১০%@shy-fox এর জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago
আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ! আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে। আজ , রবিবার ডিসেম্বর ২৯/২০২৪

1000005104.jpg
Source


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সজীবের জীবনের কিছু গল্প শেয়ার করতে এসেছি ।সজীব ছোট কাল থেকে অনেক চঞ্চল ছিল ।সেই সব সময় এটা ওটা করে বেড়াতো ।তার সেই চঞ্চলতার কারণে তার মা-বাবা অতিষ্ঠ হয়ে গেল ।তারা ভাবল আমার ছেলে যদি দেশে থাকে তাহলে বাটপার হবে । সে কোনদিনই পড়াশুনা করবে না। সেজন্য তার বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিল তাকে দেশের বাইরে অর্থাৎ বিদেশে পাঠিয়ে দিবে। যখন সজীবকে বলল তোকে আর দেশে রাখবে না ।তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিব তখন সজীব অনেক মন খারাপ করছিল ।তার বাবা মাকে ছেড়ে বিদেশে চলে গেলে অনেক কষ্ট হবে । তাও কিছু করার নেই বাবা তার জন্য পাসপোর্ট রেডি করে ফেলেছে। সজীবকে যখন তার বাবা বিদেশে পাঠিয়ে দিল। তার প্রায় দুই মাস পর তার দাদা মারা যায়। মারা যাওয়ার ঠিক একমাস পর সজীবের বাবা মারা যায় ।তখন সজীব অনেক কষ্ট পায় এবং এত অল্প বয়সে যে সব কিছু হারিয়ে ফেলবে সে কখনোই ভাবছিল না।


1000005105.jpg

Source




সজিবের বাবা মারা যাওয়ার পর সজীবের মাও অনেক কষ্ট পেয়েছিল ।সুজিবরা ২ ভাই ছিল ।সজীব ছিল বড় আর তার একটা ছোট ভাই ছিল। ছোট ছেলে নিয়ে তার মা কি করবে। তার মার আর কিছু করার ছিল না সজীব বিদেশ থেকে যা ইনকাম করতো অল্প কিছু নিজের কাছে রেখে সবকিছু তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিত ।এভাবে অনেক দিন কেটে গেল ।একদিন সজীব ফেসবুকে একটা মেয়ের সাথে পরিচিত হয় । দুজন অনেকদিন কথা বাত্রা বলার পর দুজন দুজনার প্রেমে পড়ে গেল ।একটা ছেলে একটা মেয়ের সাথে অনেকদিন কথা বললে প্রেমে পড়াটাই স্বাভাবিক। সজীব যার সাথে কথা বলতো তার নাম ছিল মিমি। মিমি দেখতে শুনতে অনেক সুন্দরী ছিল ।সেজন্য হয়তো সজীব তার ছবি দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। অনেকদিন কথা বার্তার পর সিদ্ধান্ত নিল আংটি পড়ানোর ।অবশেষে মিমিকে সজীবের মা তাদের বাসায় যেয়ে আংটি পরিয়ে রেখে আসছিল। আন্টি পরানোর প্রায় এক বছর পর মিমি আর সজীবের বিয়ে হলো। মোবাইলে বিয়ে হয়েছিল সেজন্য সজিবের মা সজীবদের বাসায় নিয়ে গিয়েছিল না। মিমিদের মায়ের বাড়িতেই মিমি ছিল। বিয়ে হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর সজীব দেশে আসে এবং মিমিকে তার মায়ের বাসা থেকে নিয়ে আসে ।মিমি ও সজীবের জীবন অনেক সুখে কাটছিল। হঠাৎ কিছুদিন পর মিমির মা হবে শুনতে পেল ।মিমি মা হবে জেনে সজীব অনেক খুশি হয়েছিল। শুধু সজীব না সজীবের বাসার লোক অনেক আনন্দিত ছিল বাচ্চা হওয়ার কথা শুনে। এই খুশির কথা আর আটকে থাকলো না মিমিদের মায়ের বাসার লোকদের কেউ জানানো হলো। তখন তারাও শুনে অনেক খুশি হয়েছিল ।খুশির খবর জেনে সজিব তার বন্ধু-বান্ধবদের মিষ্টি খাওয়াতে শুরু করে দিল।


1000005106.jpg
Source




এরপর আবারো সজীব দেশের বাইরে চলে গেল ।কিছুদিন পর জানা গেল মিমির জমজ সন্তান হবে ।জমজ সন্তানের কথা শুনে সকলে অনেক খুশি হয়েছিল। দেখতে দেখতে প্রায় নয় মাস কেটে গেল ।যখন নয় মাস পরছিল তখন মিমির অনেক কষ্ট হতো ।কেননা তখন তার পেটের ভেতর দুইজন সন্তান বড় হচ্ছিল। তখন দুজন সন্তানকে নিয়ে হাঁটাচলা করা একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল ।তবুও মিমি সব কিছু ভুলে তার সন্তানদের জন্য দিনের পর দিন এভাবেই হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছিল। যখন মিমির বাচ্চা হওয়ার সময় হয়েছিল তখন খুব তাড়াতাড়ি তাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গিয়েছিল ।কিন্তু মিমির একটা বাচ্চা পেটের ভেতর মারা গিয়েছিল ।সেজন্য মিমির অপারেশন করার সময় অনেক টাইম লাগছিল আর অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছিল। অনেক টাইম লাগা এবং রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে মিমি অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল ।যখন অপারেশন করা শেষ হলো এবং মিমি জানতে পারল তার একটা বাচ্চা মারা গেছে ।তখন সে অনেক কষ্ট পেয়েছিল তার শরীর অনেক দুর্বল ছিল তাই সেও ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা হচ্ছিল ।হঠাৎ একদিন না জানি তার কি হলো সেও মারা গেল। মারা যাওয়ার কথা শুনে সজীব অনেক কষ্ট পেয়েছিল ।সজীব তখন দেশের বাইরে ছিল তাই সে সবকিছু জেনে ভাবছিল আমি না থাকার কারণে হয়তো এরকম হয়ে গেল ।আমি থাকলে হয়তো আমার ছেলে বউকে হারাতে হতো না। এখন জেনে কিছু করার নেই কেননা যে চলে গেছে সে আর কোন দিন ফিরে আসবেনা । আশা করি সজীব এর জীবনের গল্প আপনাদের ভালো লাগবে? কতটা ভালো লেগেছে আশা করি কমেন্টে জানাবেন?

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️


ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসinfinix note 11pro
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
শ্রেণীগল্প
Screenshot_2024_0519_194135.jpg
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzhd7Ad93hjKY7XXqXwCYMpoU77gVuL2GHGFkJzK3LBmmPDKPbSFkaNFXCeqsm5mEKePEnGR2EDVeYe2eA.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Sort:  
 5 days ago 

1000005136.jpg

1000005135.jpg

1000005108.jpg

 4 days ago 

Puss টাস্ক এর মতো Super Walk এর টাস্কও কমপ্লিট করতে হবে।

 10 hours ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ।এবার থেকে কাজ করলে নিয়ম গুলো ফলো করে কাজ করব।

Coin Marketplace

STEEM 0.24
TRX 0.26
JST 0.040
BTC 96057.69
ETH 3426.74
SBD 1.53