হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ট্রাভেল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ।কিছুদিন আগে আমরা কুষ্টিয়াতে গিয়েছিলাম দাওয়াত খাওয়ার উপলক্ষে ।শুধু আমি না আমাদের ফ্যামিলিতে সবাই গেছিল সেখানে । এমনিতেই ফ্যামিলির সবাই কোথাও একসঙ্গে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে ।অনেকদিন হয়েছে তেমন কোথাও বেড়ানো হয় না ।ঠান্ডার কারণে তেমন কোথাও ঘুরতে যেতে পারি না । বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে তারা সম্ভবত অসুস্থ হয়ে যায়। সেজন্য কোথাও ঘুরতে যায় না। এর মধ্যে হঠাৎ শোনা গেল চাচুর নাতি ছেলের নাকি মসলমান দেওয়া হবে ।সেজন্য আমাদেরকে দাওয়াত করেছে। এমনিতেই মুসলমানিতে প্রায় ২-৩ ধরে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে ।মুসলমানিতে বিয়ে বাড়ির মতোই আনন্দ হয়ে থাকে। তাই ভাবলাম এই আনন্দটা আর নষ্ট করা যাবে না ।আনন্দটা উপভোগ করার জন্য তাহলে সেখানে যে ঘুরে আসি।
সেখানে গিয়ে আমরা অনেক আনন্দ করলাম । বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার পর ভাবলাম একটু কোথাও ঘুরতে যাব। এমনিতেও আমি এর আগে কোনদিন কুষ্টিয়াতে যায়নি। প্রথম যেয়ে একটু নার্ভাস লাগছিল। আর কোথাও যে একা একা ঘুরতে যাব সেটাও পারছিলাম না ।কেননা আমি এর কোন জায়গায় ঠিকমতো চিনি না ।সেজন্য কোথাও একা একা যাওয়ার সাহস পাচ্ছিলাম না। কিছুক্ষণ পর আমার ননদ বলল চলো আমি মাহাদি আর তুমি একটু ঘুরে আসি ।তখন বললাম চলো একটু ঘুরে আসি ।যখন আমরা একটু ঘুরতে বের হলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। তবুও আমরা কাছাকাছি একটা পার্ক অর্থাৎ গড়াই নদীর কিছুটা অংশ সেই জায়গাতে আমরা ঘুরতে গেলাম। সেই জায়গাতে গিয়ে আসলেই বলার মতো নয়। জায়গাটা যে এতো সুন্দর আপনারা হয়তো সেখানে না গেলে বুঝতে পারবেন না ।যেমন সুন্দর পানি তেমনি সুন্দর বাতাস ।আসলে সময়টা যেন ভলার নয়। সেই সময়টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিল। চারিদিকে পানি আর পানি আবার মাঝখানে বালিরচর আসলেই এই দৃশ্যটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ।মনে হয়েছিল মাঝখানের ওই বালুর চরে উঠে একটা ছবি তুলি ।কিন্তু কিছু করার নেই একটু সন্ধ্যা লেগে আসছিল তাই হাতে তেমন একটা সময় ছিল না ।
যখন আমরা পার্কটিতে ঢুকেছিলাম তখন পার্টির সামনে এই ছবিগুলো ছিল ।এই ছবিগুলো দেখতে ভালো লাগছিল ।যখন আমরা পার্কে ঢুকলাম তার আগে আমাদের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে নিয়েছিল পার্কে ঢোকার জন্য ।পার্কের আশেপাশে খেয়াল করলাম অনেক খাবার বিক্রয় করছিল। বিশেষ করে হাওয়াই মিঠা । হাওয়াই মিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে মাহাদিও অনেক পছন্দ করে ।তাই আমরা কিছু হাওয়ায় মিঠা কিনে নিলাম। এখানে অনেক সুন্দর বসা ও সিস্টেম আছে ।ইচ্ছে করলে বসা যেতে পারে ।প্রথমে ঢুকেছিলাম তাই না বসে ভাবলাম একটু ঘুরে দেখি ।ঘুরে দেখতে দেখতে আসলেই মনে হয়েছিল যেন জায়গাটা হয়তো দেখে শেষ করতে পারবো না।
যখন আমরা বালুর চরে কাছে গেলাম তখন খেয়াল করে দেখলাম দুইটা নৌকা বাধা আছে । ইচ্ছে করছিল নৌকায় চোরে ঘুরে আসি। কিন্তু সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল তাই সাহস করে নৌকায় উঠতে পারলাম না। বাচ্চা নিয়ে যদি ঘুরতে যেয়ে নদীর মাঝপথে সন্ধ্যা লেগে যায় তাহলে হয়তো অনেক সমস্যায় পড়তে পারি। সেজন্য ভাবলাম অন্য একদিন ঘুরতে আসলে নৌকায় চড়বো ।নৌকায় চড়ার জন্য যাওয়া আসা ৫০ টাকা করে নিচ্ছিল ।অনেকেই দেখলাম নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসলে এমন নদীতে নৌকায় চড়ে ঘুরতে কার না ভালো লাগে বলেন। যেমন সুন্দর পানি তেমনি বাতাসের হাওয়া ।নৌকায় চলে আসলে মনটা যেন জড়িয়ে যাবে মনে হচ্ছিল ।
আরেকটু এগিয়ে খেয়াল করে দেখলাম এখানে অনেক বয়স্ক লোকরা পিকনিক করছিল। তারা এক রকম সোয়েটার পড়ে সবাই ছবি তুলেছিল। আসলেই আনন্দ যেন সবার আনন্দ কোন বয়স মানে না ।যে কোন বয়সেই আনন্দ করা যায় ।তখন তাদের মুখপান তাকিয়ে যে কি ভালো লাগছিল সবার মুখে হাসি। আর সবাই আনন্দ করছিল আর একসাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল । আসলেই জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল বিশেষ করে নদীর চারপাশ করার সময়টা। চারদিকের দৃশ্য দেখে মনে হয়েছিল এখানে আজকে থেকে যায় আর চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখি ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | ট্রাভেল |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
আপু তাহলে দাওয়াত খেতে গিয়ে ভালই ঘুরাঘুরি করলেন। আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে তখন নিজের কাছে ভালো লাগে। তবে আপু পার্কের টিকেট যদি ৩০ টাকা হয় তাহলে তো কমে। আর পার্কে গেলে অনেক ধরনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।