হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট একটি গল্প শেয়ার করব ।শিহাব ও শিমুদে ছোট একটি সংসার। সংসারটা ছোট হলেও সংসারটা সুখী একটা সংসার ।শিমুর বাবা ব্যবসা করতো ।শিমুর বাবা-মা গ্রামের বসবাস করত ।যখন শিহাব ও শিমু অনেক বড় হয়ে গেল তখন তাদের পড়াশোনার জন্য তারা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেল ।যখন শিহাব ও শিমুর বাবা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেল তখন তাদের নিজস্ব কোন বাড়ি ছিল না ।তারা বাসা ভাড়ায় থাকতো ।আপনারা হয়তো জানেন শহরে থাকতে হলে ইনকাম অনেক থাকতে হবে ।তা না হলে শহরে থাকা অনেক বড় সমস্যা হয়ে যায়। শিহাবের বাবা যখন ব্যবসা করত তখন তাদের সংসার অনেক ভালোমতো চলতো। অনেকদিন পর শিহাবের বাবার ব্যবসা তেমন আর চলতো না। এদিকে শিহাব ও শিমুর পড়াশোনা খরচ চালাতে তার বাবা হিমশিম খেয়ে যেত।

Source
শিহাবের বাবা ব্যবসার কাজে শহর থেকে একটু দূরে যাচ্ছিল। হঠাৎ গাড়ি এসে শিহাবের বাবাকে ধাক্কা মারে এবং সে ধাক্কায় শিহাবের বাবা পড়ে যায়। তার মাথার উপর দিয়ে গাড়ি চলে যায়। তখন অনেক রক্তখনন হয়েছিল তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও তাকে বাঁচাতে পারেনি।এ দিকে শিহাব ও শিমুর পড়াশোনার জন্য শিহাবের বাবা গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরে চলে এসেছিল। শহরে এসে তারা অনেক ঋণে পড়ে গিয়েছিল ।শহরে ঠিকমতো চলতে না পারলে এরকম পড়া স্বাভাবিক। এদিকে শিহাবেরও কিছু করার নেই। সে পড়াশোনা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। যখন তার বাবা মারা যায় তখন তারা শহর থেকে গ্রামে চলে আসে। এবং গ্রামে এসে ছোট একটা টিনের ঘর তৈরি করে । সেখানেই তারা বসবাস করতে শুরু করে ।শিহাবের নানুর বাড়ি ছিল তাদের গ্রাম থেকে এক গ্রাম পর ।সেজন্য তারা তাদেরকে অনেক সাহায্য করতো এবং দেখাশোনা করত ।সব খরচ প্রায় তার নানু রায় চালাত ।যখন শিহাবের বাবা মারা গেল তখন শিহাবকে আবারো বাইরে পড়াশোনার জন্য তার নানুরা পাঠিয়ে দিল। শিমুর ভাই তখন মৎস কলেজে পড়তো।শিহাব বাসা থেকে তেমন একটা খরচ দিতে চাইত না। কেননা সে জানত আমার নানু আমাদেরকে খরচ দিত আমি সবকিছু নিয়ে নিলে আমার আম্মু আর আপু কিভাবে চলবে। সেজন্য সে তেমন একটা খরচ নিতে চাইতো না। সে বাইরে টিউশনি করাতো ।একজনার বাড়িতে একটা ছেলেকে পড়াতো তার বিনিময়ে টাকা নিতো না। শুধু এক বেলা রাতে খেতো। আর অন্য দুজনের বাড়িতে পড়াতো সেই দুজনার বাড়িতে থেকে টাকা নিতো। এই দিয়ে তার কোনরকম দিন চলে যেত।

Source
এদিকে শিমু যখন হাইস্কুলে পড়তো তখন শিমু টিউশনি করতো ।সেও গ্রামের বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতো করে কোনো রকম হাত খরচ চালাতো। এভাবে দুজন অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করতে করতে শিমুর ভাইয়া শিহাব একটা কোম্পানির জব পেল ।তখন তাদের সংসার ভালো রকম চলতো। আর শিমু নার্সিংয়ে চান্স পেল। তখন শিমুল ভাইয়া তাকে পড়াশোনা করাতে লাগলো। অনেক কষ্ট হয়েছে পড়াশোনা করতে তবুও শিহাবও শিমু পড়াশোনা ছেড়ে দেয়নি। অনেক কষ্টের মাঝেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে ।এমন দিন গিয়েছে শিমু না খেয়েও স্কুলে গিয়েছে কিন্তু কাউকে জানতে দেয়নি। শিমুর নানুরা তাদেরকে সাহায্য করেছিল বলে হয়তো এত দূর তারা আসতে পেরেছিল। আর অনেক চেষ্টা ছিল সেজন্য তারা এত কষ্টের মাঝেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে ছেড়ে দেয়নি ।এখন শিহাব কোম্পানিতে জব করে এবং শিমু নার্সের জব পেয়েছে ।এখন শিমুর মা অনেক খুশি এবং গর্ব করে বলে আমার ছেলেমেয়েরা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে আজকে তারা সফল হয়েছে। আসলেই চেষ্টা না করলে কোন কিছুই সম্ভব না। কষ্টের মাঝেও চেষ্টা করলে হয়তো সফলতা অর্জন করা সম্ভব ।তাই সবকিছুতেই চেষ্টা থাকতে হবে। তাহলে একদিন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাবেন চেষ্টা না থাকলে কোন কিছুই সম্ভব হবে না।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার ঝাল দিয়ে আমড়া মাখানো আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।