হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে মাছ ও বড়ি দিয়ে কচু রান্না রেসিপি শেয়ার করব ।আমরা সাধারণত মাঝে মাঝে কচু রান্না খেয়ে থাকি। কিন্তু আমি আজকে চাল কুমড়ার বড়ি দিয়ে কচু রান্না করেছি। এমনিতেই কচু রান্না খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। অনেকদিন আগে বাজার থেকে কচু কিনে এনেছিল। সেই কচূগুলো রান্না করা হয়েছিল না। আজকে হঠাৎ ইচ্ছে করলো বড়ি দিয়ে রান্না করতে। ঠান্ডার সময় তেমন একটা কচু রান্না করা হয় না । গরম মৌসুমে বেশিরভাগই কচু রান্না করে খাওয়া হয় ।কিন্তু ঠান্ডার সময় ঠান্ডার কারণে রান্না করা হয় না। কিন্তু আজকে একটু রান্না করে খেতে ইচ্ছে করলো ।কোন রেসিপি যদি একটু ইউনিক ভাবে রান্না করা হয় তাহলে রেসিপিটা খেতে আরও বেশি ভালো লাগে। আমি কেন সবারই হয়তো একটু ইউনিক কিছু খেতে ভালো লাগে।তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে আমি মাছ ও বড়ি দিয়ে কচু রান্না করেছি।
•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | কচু | পরিমাণমতো |
২ | মাছ | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | পেঁয়াজ কুশি | পরিমাণমতো |
৫ | রসুন কুচি | পরিমাণমতো |
৬ | হলুদের গুঁড়া | পরিমাণমতো |
৭ | লবণ | পরিমাণমতো |
৮ | জিরা | পরিমাণমতো |
৯ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি পানি দিয়ে কচুগুলো সিদ্ধ করে নিব। ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে কচুগুলো সিদ্ধ করে নিবেন ।
এবার আমি কচুগুলো সিদ্ধ করে নেওয়ার পর। কচুগুলো থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিব। খোসা ছাড়ানো হয়ে গেলে একটা পাত্রে রেখে দিয়েছি।
এবার আমি মাছগুলো অনেক সুন্দরভাবে ধুয়ে নিব। ধোয়া হয়ে গেলে পরিমাণমতো হলুদ ও লবণ নিয়ে নিব মাছে মাখানোর জন্য ।
এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে সয়াবিন তেল দিব ।তেলটা গরম করা হয়ে গেলে হলুদ লবণ মাখানো মাছ তেলের উপর দিয়ে দিব দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ভেজে নিব ।
এবার আমি কুমড়োর বড়ি গুলো তেল দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ভেজে নিব ।
এইতো অনেক সুন্দর ভাবে কুমড়োর বড়ি গুলো তেল দিয়ে ভাজা হয়ে গিয়েছে ।
এবার আমি পরিমানমতো কাঁচা মরিচ, হলুদের গুঁড়া ,পেঁয়াজ কুচি ,রসুন কুচি ,লবণ ,জিরা নিয়ে নিব ।
এবার আমি পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ,কাঁচা মরিচ, জিরা পাটার সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে বেটে নিব। বাটা হয়ে গেলে চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিব। তেলটা একটু গরম করা হয়ে গেলে পরিমাণমতো হলুদের গুঁড়া লবণ বেটে রাখা উপকরণগুলো দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে কষিয়ে নিব ।ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
এবার আমি কষানো উপকরণ গুলোর ভেতর কচু ও ভেজে রাখা কুমড়োর বড়ি দিয়ে আবারো কষিয়ে নিব।
এবার আমি সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি দিব ।পানিটা একটু ফুটে গেলে ভেজে রাখা কুমড়ার বড়ি ও মাছগুলো পানির ভেতর দিয়ে দিব ।
এই তো অনেক সুন্দর ভাবে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে ।আর কিছুক্ষনের মধ্যে হয়তো মাছ ও বড়ি দিয়ে কচু রান্না হয়ে যাবে।
অবশেষে মাছ ও বুড়ি দিয়ে কচু রান্না করা হয়ে গিয়েছে। আসলেই রানাটা অনেক মালদার হয়েছিল খেতে । আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই রেসিপিটা রান্না করতে পারবেন।
রান্না করার পর আমি একটা পাত্রে তুলে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | রেসিপি |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
বড়ি আমার খুব প্রিয়। তবে কখনো বড়ি দিয়ে এভাবে কচু রান্না করে খাওয়া হয়নি আপু।মাছ এবং কচু দিয়ে বড়ির রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে। অবশ্যই এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব। তবে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সিদ্ধ করে এভাবে মাছ দিয়ে কচু রান্না করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। শীতকালে কচু বেশ মজাদার একটি খাবার। খুব সুন্দরভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপু।
কুমড়োর বড়ি দিয়ে এভাবে কচু রান্না করে খাওয়া হয়নি। এই কচুগুলো আমার বেশ পছন্দের। মাছ দিয়ে রান্না করলে ভালোই লাগে খেতে। তবে আপনি কুমড়োর বড়ি দিয়ে রান্না করেছেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মাছ দিয়ে কচু রান্না করে এভাবে খাওয়া হয়নি তবে কচু রান্না খাওয়া হয়েছে। এভাবে কচু রান্না করলে অনেক ভালো লাগে। আপনি তো মাজ দিয়েছেন আর সাথে কুমড়োর বড়ি খেতে নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। আমার তো খেতে ইচ্ছে করছে। এই রেসিপিটা আমি তৈরি করব ভাবছি। শুধু একই রেসিপি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপু।
শীতের সময় বড়ি রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর মাছ দিয়ে দারুন ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতেও দারুন হয়েছিল। অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে।
মাছ ও বড়ি দিয়ে অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।যদিও কচু দিয়ে বড়ি এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি তবে একদিন ট্রাই করবো। খুব সুন্দরভাবে রেসিপিটি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কচু খেতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আজকে আপনি দেখতেছি মাছ এবং বড়ি দিয়ে কচুর মজার রেসিপি করেছেন। আর কচু যেই কোন কিছু দিয়ে রান্না করলে খেতে এমনিতে মজা লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু আছে। মজার রেসিপি অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
শীতকাল মানে বড়ির ব্যবহার। কোন ঝোলে বা তরকারিতে কুমড়ো বড়ি দিলে তার স্বাদটাই অন্যরকম হয়ে যায়। আপনি দেখছি বেশ চমৎকারভাবে বড়ি দিয়ে কচু ও মাছের ঝোল রান্না করেছেন। আশা করি খেতে চমৎকার হয়েছিল।