হাওয়া ভবনে গিয়ে হাওয়া খাওয়া।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -১৯শে,জ্যৈষ্ঠ | | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ||রবিবার ||গ্রীষ্মকাল||



আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।

তাহলে চলুন শুরু করি

নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।


PhotoEditor_20246213270821.jpg

ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।



ফটোগ্রাফি।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/uncorks.nevermore.retake


ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।


1717312912349-01.jpeg

1717312953664-01.jpeg

1717312971788-01.jpeg


অনেকদিন হলো তেমন কোথাও গিয়ে ঘুরাঘুরি হয় না। তাই ভাবলাম একটু ঘুরে আসা যাক কোথাও থেকে। যদিও এখন প্রচন্ড রোধ ও গরমের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ জীবন যাপন করছে। কিন্তু মন তো আর বাড়ি থাকতে চায় না শুধু ছুটাছুটি করতে চায়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বড় ভাই ও বন্ধুকে বললাম চলেন কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি। তারাও রাজি হয়ে গেল। আমাদের খোকসাতে একটা রেস্টুরেন্টে সুন্দর কালা ভুনা পাওয়া যায়। আমাদের প্ল্যান ছিল প্রথমে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভরপুর খাব তারপর সুন্দর একটি জায়গায় গিয়ে বসে আড্ডা দিব। আমরা আনুমানিক চারটার দিকে বাসা থেকে বের হই। তিনটা বাইক নিয়ে ছয় জন মানুষ খোকসা শহরের দিকে রওনা হই। আমাদের বাসা থেকে খোকসা শহরের দূরত্ব ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার। প্রচন্ড গরম থাকায় একটু বিকেল করেই বের হওয়ার সিদ্ধান্ত হল। যদিও বিকেল হয়ে গিয়েছিল কিন্তু রৌদ্রের তাপ অনেক বেশি ছিল। যখন বাইক রাইড করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন রোদের তাপে মনে হচ্ছিল মুখ পুড়ে যাবে। কিন্তু ঘোরাঘুরি তো আমাদের নেশা হয়ে গিয়েছে যতই রোদ বৃষ্টি হোক ঘোরাঘুরি থেমে থাকবে না। আমরা প্রথমে রেস্টুরেন্টে গিয়ে গাড়ি পার্কিং করে কালা ভুনা এবং রাইস নিয়ে খেতে বসে যাই। আমাদের দিকে এই রেস্টুরেন্টের কালা ভুনা অনেক জনপ্রিয়। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা সেই কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে যাই।


1717312937203-01.jpeg

1717312988299-01.jpeg

1717313015077-01.jpeg

1717313029939-01.jpeg


এই জায়গাটা হাওয়া ভবন নামে পরিচিত। গড়াই নদীর উপরে কংক্রিট দিয়ে স্বাদ করা তার উপরেই এই কফি হাউজটা তৈরি। এখানে বিভিন্ন ধরনের কফি পাওয়া যায় সাথে রং চা তো আছেই। আমরা প্রথমে গিয়ে কিছু কোল্ড ড্রিঙ্কস কিনে খাই। তারপর চায়ের অর্ডার দিই। এখানকার চায়ের অনেক সুনাম রয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই হাওয়া ভবনে চা খেতে আসে।


1717302657654-01.jpeg

1717313149715-01.jpeg


গড়াই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চা শেষ করি। তারপর বড় ভাইদের সাথে গল্প গুজবে মেতে থাকি। একটা বড় ভাই নেভিতে চাকরি করে। সেও আমাদের সাথে ছিল। সে জাহাজে অনেকদিন ডিউটি করেছে সেই গল্প আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। আমরাও তার গল্প শুনতে থাকি। আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে সন্ধানেমে আসে। এমন প্রকৃতির মাঝে বসে থাকার মুহূর্তটা দারুন ছিল। আর এটা হাওয়া ভবন নামকরণের সার্থকতা হল এখানে বসলে গড়াই নদী থেকে সুন্দর বাতাস গায়ে লাগে। প্রচন্ড গরমে এখানে বসে সময় কাটানো অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করেছে। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে সূর্যাস্তের কিছু ফটোগ্রাফি করি। আপনারা হয়তো জানেন সুন্দর মুহূর্ত দেখলে আমি সেটা ক্যামেরা বন্দী করার চেষ্টা করি। আর এই সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার মাঝে অন্যরকম একটা প্রশান্তি কাজ করেছে। আমরা প্রায় সেখানে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা ছিলাম। যতটুকু সময় ছিলাম প্রকৃতির মাঝে বসে গল্প করে অনেক মজা পাচ্ছিলাম। কারণ এমন দৃশ্য তো আর সব সময় চোখে দেখা মিলবে না। পরবর্তীতে কফি হাউজের বিল পরিশোধ করে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই।



আমার পরিচয়

IMG-20240308-WA0014.jpg

আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।


ধন্যবাদ সবাইকে


standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last month 

এভাবেই স্বল্প পরিমান সাপোর্ট দিয়ে পাশে আছেন পাশে থাকবেন এই আশাই করি।। ধন্যবাদ

 last month 

কালা ভুনার নাম শুনেই খুব ইচ্ছা করছে ভাই আজকেই খেতে যাবো কিন্তু কাজের কারণে যেতে পারবনা😔😔।তবে আমার ও কালা ভুনা ভীষণ পছন্দ।আর এই গরমে বিকেলের দিকে ঘুরতে যাওয়াই বেটার প্লানিং করেছিলেন।তবে আপনার করা হওয়া ভবনের দৃশ্য গুলি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ভাই,দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো।সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর অনুভূতি শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ ভাই।

 last month 

কালা ভুনা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। খাওয়া দাওয়া হল ঘোরাঘুরি হলো সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ

 last month 

অনেকদিন ঘোরাঘুরি হয় না তাই বন্ধুদেরকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে হাওয়া ভবনে হাওয়া খেতে গিয়েছিলে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আমিও মাঝেমধ্যে হাওয়া ভবনে যাই চা খাওয়ার জন্য অনেক ভালো লাগে এই জায়গাটা। বিশেষ করে বিকালের নদী আর সূর্যের দৃশ্যটা সবথেকে বেশি ভালো লাগে। সবাই বলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।

 last month 

এ রোদ গরমের মাঝে শরীর ক্লান্ত হলেও মন যেহেতু মানতে চায় না তাই আপনারা বিকেল টাইমে একটু ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। সূর্যাস্তের বেশ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আশা করি সেখানে বন্ধুদের এবং বড় ভাইদের সাথে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়ে ছিলেন। আর সেই সাথে সুন্দর বাতাস উপভোগ করছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে এই গরমের মাঝে যদি একটু ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় সেটাই অনেক স্বস্তি এনে দেয়। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

"হাওয়া ভবন" জায়গার নামটা বেশ সুন্দর। বড় ভাই এবং বন্ধুদের নিয়ে খুব সুন্দর একটা জায়গায় ঘুরাঘুরি করেছেন এবং সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

 last month 

জায়গাটার নামটা কিন্তু আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের সাথে অন্তত মিলে গেলো। তবে বাইক নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনারা ছয়জন মিলে গেছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। আমার কাছে তো সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। জায়গাটা সত্যি মনোমুগ্ধকর একটি জায়গা। তাছাড়া তখনকার পরিবেশটা খুবই সুন্দর ছিল। অনেকদিন পর বেশ ভালো সময় কাটাতে পারলেন তাহলে।

 last month 

বেশ দারুণ একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আপনার সুন্দর এই মুহূর্তে উপস্থাপন করতে দেখে ভালো। আর আপনার পোস্ট পড়ে যা বুঝতে পারলাম তা হচ্ছে দারুন একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট।

 last month 

এর আগে সম্ভবত রায়হান ভাইয়ের পোস্ট থেকে এই হাওয়া ভবনের কাহিনী শুনেছিলাম। আমি এখানে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। সত্যি দারুণ একটা জায়গা। বিশেষ করে চা এর সাথে নদী বিকেল সূর্যাস্ত সবকিছু অসাধারণ লাগে। চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। এবং মূহূর্তটাও চমৎকার কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।

 last month 

এই রোদ গরমের মাঝে শরীর ক্লান্ত হলেও মন যেহেতু মানতে চায় না তাই আপনারা বিকাল টাইমে একটু ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। হাওয়া ভবন জায়গার নামটা বেশ সুন্দর। তবে বাইক নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনারা ছয়জন মিলে গেছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। সত্যি দারুন একটা জায়গা বিশেষ করে চায়ের সাথে নদী বিকালে সূর্যঅস্ত সব মিলিয়ে অসাধারণ। সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 56662.37
ETH 2982.22
USDT 1.00
SBD 2.15