টমেটো আলু ধনেপাতা দিয়ে পাঁচ মিশালী মাছের রেসিপি // ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য।
হ্যালো আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
মাছ | ৫০০ গ্রাম |
---|---|
টমেটো | বড় ২টা |
আলু | মাঝারি সাইজের ৫-৬ টা |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
লবন | স্বাদমতো |
ধনেপাতা | পরিমাণমতো |
হলুদ গুঁড়া | পরিমাণমতো |
জিরা গুঁড়া | পরিমাণমতো |
ধনিয়া গুঁড়া | পরিমাণমতো |
পাঁচফোড়ন গুঁড়া | পরিমাণমতো |
পেঁয়াজ | বড় সাইজের ৪-৫ টা |
কাচা মরিচ | ৮-১০ টা |
রন্ধন প্রণালী:
প্রথমে মাছগুলো সুন্দর করে কেটে নিয়ে ভালো করে ধোয়ার পর আলাদা একটি পাত্রে তুলে রেখে দিয়েছি। পাত্রে রাখার পূর্বে মাছ থেকে পানি ভালো করে ঝড়িয়ে নিতে হবে।
কিছু ধনিয়া পাতা পরিমাণমতো নিয়ে ভালো করে ধোয়ার পর কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিব।
যেহেতু ছোট মাছ দিয়ে টমেটো আলু রেসিপি করবো তাই একটু জানালে ভালো হয় তাই ৮-১০ টা কাঁচামরিচ ফালি ফালি করে কেটে নিয়ে আলাদা একটা পাত্রে রেখে দেবো।
একটি পাত্রে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজগুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে রেখে দিবো।
স্বাদমতো লবণ হলুদের গুঁড়া এবং জিরা ধনিয়া পাঁচফোড়ন গুঁড়া মিক্সার করে আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিবো যেন রান্না করার সময় কোন ভুল না হয় মসলা ব্যবহার করতে।
রান্না করার জন্য প্রয়োজন মতো সয়াবিন তেল একটি বাটিতে করে রেখে দিয়েছি।
মাছের স্বাদটা একটু অন্যরকম করার জন্য আমি এখানে ২ টা টমেটো কেটে নিয়েছি রান্নার সময় মাছের সঙ্গে দিয়ে দেবো।
এখন যে আলু গুলো আমি পূর্বে ধুয়ে রেখেছিলাম সেগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে একটা আলাদা পাত্রে রেখে দিয়েছি।
এখন কড়াইতে প্রয়োজনীয় তেল দিয়ে সেখানে স্বাদমতো লবণ কুচি কুচি করে কাটা পেঁয়াজ ফালি করা কাঁচা মরিচ মিক্সার করা মসলা একসঙ্গে নিয়েছি।
এখন সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিব। এবং সাথে কেটে নেয়া আলু গুলো দিয়ে দিব।
সব উপকরণ মেখে নেওয়ার পর সেখানে মাছ এবং টমেটো কুচি করে দিয়ে সুন্দর করে মেখে নিব।
এখন মাছসহ সব উপকরণ মেখে নেওয়ার পর সেখানে একটু ঝোলের জন্য পানি দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নেওয়া ধনিয়া পাতা দেব। ছোট মাছের রেসিপি করার সময় একসঙ্গে সব উপকরণ দিয়ে মেখে নিয়ে রান্না করে দিতে হবে তা না হলে পরবর্তীতে বেশি নাড়াচাড়া করলে ছোটমাছ সব ভেঙ্গে যাবে
এভাবে সব প্রস্তুত করে নেয়ার পর রান্নার জন্য চুলায় বসিয়ে দেবো। এভাবে আনুমানিক ১০-১৫ মিনিট সময় নিয়ে রান্না করার পর আমার টমেটো আলু দিয়ে পাঁচ মিশালি মাছের রেসিপি পরিবেশনের জন্য তৈরি হয়ে যাবে।
পোস্টের ধরন | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A 10 |
ফটোগ্রাফার | মাইদুল ইসলাম |
আমার টমেটো আলু দিয়ে পাঁচ মিশালী মাছের রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আশা করছি আমার পুরো ব্লগটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। আর আমার রেসিপি টা কেমন হয়েছে মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
টমেটো আলু ও ধুনের পাতা দিয়ে পাঁচ মিশালি মাছের রেসিপি খুবই সুন্দর হয়েছে। এই ধরনের রেসিপি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি ।আপনার রেসিপি দেখে আবার খাওয়ার ইচ্ছাটা বেড়ে গেল। একসময় এভাবে তৈরী করে খাওয়ার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ছোট মাছগুলো খেতে আসলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
টোমেটো আলু দিয়ে অনেক সুস্বাদুকর মাছের রেসিপি রান্না করেছেন ভাইয়া।ছোট মাছের তরকারি আমার খুব প্রিয়। কারণ এগুলো যেমন খেতে মজা ঠিক প্রোটিন এ-ও ভোরপুর।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদুকর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
টমেটো দিয়ে টক টক রেসিপি আমার খুব পছন্দের। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে পাঁচমিশালি ছোট মাছ আমার নিজের কাছেও অনেক মজা লাগে। বিশেষ করে আলু বেগুন দিয়ে তো পুরো জমে যায়। আলু চিকন করে বেগুন চিকন করে কেটে রান্না করলে মাথা নষ্ট করা মজা হয়। তবে শুধু সঠিক ভাবে রান্না করতে হবে।
ঠিক বলেছেন বেগুন দিয়েও অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ছোট মাছ খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ছোট পাঁচমিশালী মাছগুলো যদি এভাবে আলু টমেটো ধনেপাতা দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে আসলেই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনার রান্নাটাও বেশ লোভনীয় লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি ভাই অনেক সুস্বাদু খেতে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন।পাঁচমিশালি রেসিপি আমার অনেক পছন্দের একটা রেসিপি। প্রত্যেকটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
টমেটো আলু ধনেপাতা দিয়ে পাঁচ মিশালী মাছের অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আপনার রেসিপিটি অনেক লোভনীয় হয়েছে। আশাকরি খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি টমেটো আলু ধনেপাতা দিয়ে পাঁচ মিশালী মাছের রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য দেখে অনেক উজ্জীবিত হলাম। ধন্যবাদ।
পাঁচমিশালী মাছ আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি এই পাঁচ মিশালি মাছ এতো সুস্বাদু করে রান্না করছে করেছেন যে দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। টমেটো এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে সেটি খেতে খুব মজাদার হয়। আপনার মাছের কালারটাও খুব চমৎকার হয়েছে।
পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি প্রতিদিন পোস্ট করেন রাত দুপুরে। তাই সকাল হতে হতে আপনার পোস্টগুলো অনেকের পোস্ট এর পেছনে পড়ে যায়। এজন্যই বোধহয় আপনার অনেকগুলো পোস্ট আমি মিস করেছি। যাইহোক নদীর ছোট মাছের রেসিপি কিন্তু ভালই লাগলো। এটা আমারও অনেক প্রিয় খাবার।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর পরামর্শ দেয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
গ্রামে থাকা অবস্থায় এরকম মাছ অনেক খেয়েছি। এইরকম পাঁচমিশালী মাছ অনেক ভালো লাগে খেতে। বিশেষ করে যদি এর ভর্তা করা যায় সুস্বাদু লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে ধনেপাতা টমেটো দিয়ে যে এইরকম পাঁচমিশালি মাছের একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে আপনার রেসিপিটি। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এরকম সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা।