বুনো ফুল, ফল ও উদ্ভিদ পরিচিতি ।। পর্ব-০১
প্রাণ প্রিয় বন্ধুগণ, আশাকরি মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি ।
অযত্ন অবহেলায় যে ফুল জন্মে বনে । তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ আমি । আসলে প্রকৃতির পরম যত্নে যার সৃষ্টি এবং বেড়ে ওঠা তার সৌন্দর্য কম হয় কি করে । সেদিন দুপুরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আমার চাষ কৃত পুকুর পাড়ে গেছিলাম । উদ্দেশ্য ছিল পুকুর দেখাশোনা । কিন্তু যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে বিভিন্ন রকম ছোট ছোট ফুল দেখে ভীষণ ভালো লাগছিলো । এখন আমি ঘর থেকে বাইরে বের হলেই ফোন সাথে নিই যেন পছন্দনীয় দৃশ্য গুলো ক্যামেরা বন্দি করতে পারি । সেদিন ও আমার সাথে ফোন ছিল তাই সব গুলো ফুলের ফটোগ্রাফি করে নিলাম । আমি একটা প্লান করেছি আমার চারিপাশে এমন যত বনফুল আছে সেগুলো আমি একে একে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । আমি যে গুলোর নাম পরিচয় জানি সেগুলো আপনাদেরকে বলবো আর যেগুলোর নাম আমার জানা নেই সেইগুলো আপনাদের কাছ থেকেও জানা হয়ে যাবে আশা করি । তো আজকে আমি বুনো ফুল এর প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি । আশা করি আপনারা আপনারা আমার সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ে মতামত প্রদান করবেন ।
সবার প্রথমে আমি যাকে স্থান দিয়েছি । এটা হয়তো সবার চেনা জানা একটি ফুল । আসলে প্রকৃতিতে জন্ম নেওয়া কোন উদ্ভিদ ফেলনা নয় । এটাও তেমনি একটা উপকারি উদ্ভিদের ফুল । নাম "তেলাকুচা" । এর নরম কান্ড/ডগা শাক হিসেবে খাওয়া হয় । ফল সবজি এবং ফুল পাতা ঔষধি গুণের কারণে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয় । ফুল গুলা দেখতে অনেকটা লাউ ফুলের মত এবং প্রায় একই আকৃতির । এর ফল শুরুতে সবুজ থাকলেও পেকে টুকটুকে লাল রঙ ধারণ করে । পাখিদের প্রিয় ফলের মাঝে একটি এই তেলাকুচার পেকে যাওয়া ফল গুলো । সাধারণত বর্ষা ঋতুতে প্রচুর ফুল ফুটতে দেখা যায় ।
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃRedmi 6a | ক্যামেরাঃ 8mp |
ফুলকুঁড়ি নামটা সবার পরিচিত হলেও আমার মনে হয় না এই ফুলটি সবাই চেনে । এতই ছোট ফুল যে ভ্রুক্ষেপ করবে কেউ যেন ভাবাই যায় না । এই ফুলটি গোলাকার এবং কেশর যুক্ত মোট ব্যাস ৫-৬ মি.মি । এটি মানুষ্য খাদ্য হিসেবে অযোগ্য তবে এই ফুল গাছের পাতা কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায় । আমাদের অঞ্চলে একে উচুন্টি নামেও ডাকা হয় ।
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃRedmi 6a | ক্যামেরাঃ 8mp |
আমাদের অঞ্চলে এই উদ্ভিদ খুব কম দেখা যায় । এই গাছের পাতা চাষকৃত আমড়ার গাছের পাতার চেয়ে কিছুটা বড় হয়। তবে এর ফল গুলো হয় অনেক ছোট প্রায় এক তৃতীয়াংশের মত । অনেক বেশী টক এবং আশের পরিমাণ বেশী । তবে খাওয়ার উপযোগী ।
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃRedmi 6a | ক্যামেরাঃ 8mp |
আমি এর আগেও এই ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি । তবে এর নাম পরিচয় কিছুই হয়নি বলা । এই ফুলের নাম পুটুস ফুল । অনেকে এর নাম পুটুস কাঁটা ও বলে থাকে । এর কান্ড ধারালো কাঁটা যুক্ত । এবাং পাতা ও মসৃণ নয় । থোকায় থোকায় অনেক গুলো ছোট ফুল এক সাথে ফোটে । এর ফুল বিভিন্ন রঙের হয় তবে আমাদের এখানে সাদা ও গোলাপি এই দুই রঙের মিশ্রণ বেশী দেখা যায় । সাধারণত এই উদ্ভিদের অংশ বিশেষ চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয় ।
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃRedmi 6a | ক্যামেরাঃ 8mp |
এই ফুলটির উপরি ভাগের প্রস্থ ৪-৫ মি.মি । পুকুর পাড়ে অথবা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে জন্মে । তবে এর নাম পরিচয় অজানা ।
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃRedmi 6a | ক্যামেরাঃ 8mp |
প্রিয় বন্ধুরা আমার আজকের বুনো ফুল, ফল ও উদ্ভিদ পরিচিতি এর প্রথম পর্ব এখানেই শেষ করছি । আশা করি আপনাদের লেখাটি পড়ে ভাল লেগেছে । আর নাম না জানা ফুলটির বিষয়ে কিছু জানা থাকলে অবশ্যি আমাকে লিখবেন । ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করে আজ বিদায় নিচ্ছি ।
ধন্যবাদান্তে | @maruffhh |
---|
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। উচুন্টি ফুলটি আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ফটোগ্রাফির পাশাপাশি আপনি খুব সুন্দর ভাবে তথ্য সংযুক্ত করেছেন যা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার এই রকম তথ্য বহুল পোস্ট আরো দেখতে চাই। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া। চেষ্টা করছি ভিন্নভাবে অবহেলিত এই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য তুলে ধরতে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে সাথে খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। আমার কাছে সব মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু বনফুল নিয়ে নতুন একটা উদ্যোগ নিলাম দেখি এর মাঝে নিজেও কিছুটা জ্ঞান অর্জন করতে পারবো। আর সেগুলো ছড়িয়ে দিতেও পারবো।
বনফুল দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি অনেক পরিচিতি কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। ফুল গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো বেশি ভালোই করেছেন। আমাদের মাঝে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বনফুল দেখতে আমারও বেশ ভাল লাগে। তাই চেয়েছি একটু একটু করে সব ফুলগুলো সম্পর্কে আরো বিশদভাবে জানতে।
মামা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তেলাকুচা ফুলকে সর্বপ্রথমে স্থান দিয়েছেন। আসলে আপনি আজকে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির সাথে অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্য ও যুক্তিসম্পন্ন কথা আলোচনা করেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মামা।
তেলাকুচা ফুল মোটামুটি সবার পরিচিত তাই তাকে দিয়ে আমার এই পর্বটির যাত্রা শুরু করলাম।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল এবং আপনি খুব দক্ষতার সাথে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফি পোস্টটি। ধাপগুলো বেশ মাধুর্য সম্পন্ন ছিল ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামত এর জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করছি ফটোগ্রাফির হাতটা আরেকটু পাকা করে নিতে।
ভাইয়া আপনি বনফুল এবং ফলের খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফুল এবং ফলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পুটুস ফুল কি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই ফুলটির নাম আমরা আগে জানা ছিল না।
আমাদের অঞ্চলে খুব পরিচিত একটি ফুল এই পুটুস। সাধারণত রাস্তার পাশে প্রচুর পরিমাণে এই ফুল গাছ জন্মে। আর যখন পুরো গাছে ফুল ফুটে থাকে দেখতেও লাগে বেশ।
বন ফুল ও ফলের দারুন ভাবে ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন ভাইয়া। ফুল গুলো দেখতে চমৎকার লাগছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আরো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করুন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ফুল গুলো আসলেই অনেক চমৎকার। কতই না অযত্ন অবহেলা। তারপরেও কতটা সৌন্দর্য ধরে রাখে আমাদের জন্য.
আপনার শেয়ার করা বুনো ফুলের আরো পোস্ট গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম
আসলে এই ধরনের ফুলগুলো আমাদের বাড়ির আশেপাশেই জন্মে থাকে কিন্তু আমরা এর সৌন্দর্য বুঝতে পারি না। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে বনফুলের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
কথা সত্য। এগুলো আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা সব সময় এড়িয়ে চলি। এদের সৌন্দর্য কখনো উপলব্ধিই করিনা।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। এবং আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক ধরনের বন্য ফুলের সাথে পরিচিত হলাম। আমার কাছে নতুন নতুন জিনিসের সাথে পরিচিত হতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ফটোগ্রাফির সাথে এমন একটি শিক্ষনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু। আপনার মতামত জেনে মনে হচ্ছে আমার এই পোস্ট টি সফল হয়েছে। আমিও চাইছিলাম সবাই এগুলোর সাথে পরিচিত হউক।