লাইফ স্টাইল- রেল লাইনে ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47 বাংলাদেশ থেকে। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই অনেক ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়া আমিও অনেক ভালো আছি।আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে রেল লাইনে ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
রেল লাইনে ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত
কয়েকদিন থেকে ঘরে বন্দী থাকতে আর ভালো লাগছিল না।বাসায় একা একা থাকতে খুবই খারাপ লাগছিল। তাই ভাবলাম একটু কোথাও থেকে ঘুরে আসা যাক।এর মধ্যেও মনিরা আপু ফোন দিল তার বাসায় যাওয়ার জন্য। হঠাৎ করে কোন প্রোগ্রাম ছাড়াই বেরিয়ে পড়লাম মেয়ে ও ছোট বোনকে নিয়ে মুনিয়া আপুর বাসার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে আমরা অনেক আনন্দ করেছিলাম।যেদিন মনিরা আপুর বাসায় যাওয়ার পর বিকেল বেলায় আমরা মনিরা আপুর বাসার পাশেই একটি রেল লাইন ছিল। মনিরা আপুর রুমের জানালা থেকে রেল লাইন টি দেখা যেত।
Device-XANON-X20
Device-XANON-X20
Device-XANON-X20
Device-XANON-X20
যখন ট্রেন যেত তখন আমার মেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিল।সে বায়না করে সেখানে গিয়ে সে হাঁটবে। কারণ অনেকেই বিকাল বেলায় সেখানে হাটতে বের হয়।আমার মেয়ে সেই দৃশ্য দেখে রেল লাইনে হাটার বায়না পরে।তার আবদার রাখতে আমরা তিন বোন ও আমার ছোট্ট মেয়ে মিলে গিয়েছিলাম রেল লাইনে হাঁটতে। সেখানে গিয়ে আমরা বেশ মজা করেছিলাম। রেললাইন দিয়ে হাঁটতে আমার একটু ভয় লাগে কারণ মনে হয় এই যেন ট্রেন চলে আসছে।
আশেপাশে খুব বেশি একটা দোকান ছিল না হঠাৎ একটি ঝাল মুড়ির দোকান যাচ্ছিল।তাই ঝাল মুড়ি খাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুহূর্ত টি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। ঝালমুড়ি ঝাল মুড়ি আমার খুবই পছন্দ এমন দিন গিয়েছে আমি দশ বার ঝাল মুড়ি খেয়েছি।অনেক দিন পর ঝাল মুড়ি খেতে পেরে বেশ ভালো লেগেছিল।এতটা মজা ছিল যা বলার ভাষা নেই। এরপর আমার মেয়ে ও তার খালামণি মিলে হাঁটাহাঁটি করছিল। বিভিন্ন ভাবে তারা দুষ্টামিতে মেতে উঠেছিল আমি তখন কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম।
মনিরা আপু দাঁড়িয়ে আমার মেয়ের কান্ড দেখে হাসছিল। কারণ সে যখনই ছবি তুলতে যাচ্ছিলাম দৌড়ে পালাচ্ছিল। অনেক কষ্টে তার ছবি তুলেছিলাম।কেন জানিনা সে ছবি তুলতে গেলেই এমন করে। যখন সে বুঝতে পারে তার ছবি তুলেছি সে বেশি অভিমান করে আমাদের ছেড়ে দূরে চলে যায়। অবশেষে তার কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম। বেশ কিছুটা সময় আমরা রেললাইনের পাশে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম বিকেল বেলায় হাঁটতে বেশ ভালো লাগে আর এমন জায়গা হলে তো আরো ভীষণ ভালো লাগে চারিদিকে বেশ হাওয়া ছিল। আবহাওয়াটাও বেশ ঠান্ডা ছিল। আগে যখন মনিরা আপুর বাসায় যেতাম তখন এই রেল লাইনে অনেকবার হেঁটে ছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো মনে করে হাটছিলাম।আবারো সকলে মিলে অনেক দিন পর এই রেল লাইনে হাঁটতে পেরে খুব আনন্দিত।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে রেল লাইনে ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে খুবই আনন্দিত। রেল লাইনে ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এই মুহূর্তটি সকলের সাথে ভাগাভাগি করতে পেরে আমি খুবই খুশি।আমার খুব ভালো লাগছে এমন একটা মুহূর্ত সকলের মাঝে শেয়ার করতে পেরে।আমার শেয়ার করা পোস্টটি আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
পিচ্চিটাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে যেমন কিউট তেমন দুষ্টু। তাহলে ছবি তুলতে দিবে কি করে। আর রেললাইন দিয়ে তো হেটে বেড়াতে বেশ মজাই লাগে। আগে তো প্রায়ই রেললাইন দিয়ে হেটে হেটে চলে যেতাম অফিসে। আপনারা যে বেশ মজা করেছেন সেটা দেখেই বুঝলাম। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো যেন আমিও আপনাদের সাথে রেল লাইনের পাশে হাঁটছি। আপনার মেয়ের খুশি এবং দুষ্টুমির কথা পড়ে মনটা ভরে গেল। ঝাল মুড়ির কথা শুনে জিভে জল এসে গেল। আপনার লেখনীতে সেই সব মুহূর্তগুলি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ধন্যবাদ এই সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রেল লাইনে ঘোরাঘুরি সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো এমন একটা মুহূর্ত দেখে। তবে বেশ আফসোস করি আমাদের এলাকায় কোন রেললাইন নেই। যাই হোক আনন্দঘন একটা মুহূর্ত দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার।
বাহ দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু মনিরা আপুর বাসায় ঘুরতে গেলেন। সেখান থেকে রেল লাইনে ঘুরতে গেলেন অনেক ভালো লাগলো। যেহেতু আপনার মেয়ে বায়না করলো তাই ঘুরতে নিয়ে গেলেন। আমার কাছেও ভালো লাগতেছে আপনাদের ঘুরাঘুরি দেখে। অনেক ধন্যবাদ আপনি আমাদের সাথে ব্লগটি শেয়ার করলেন।