জেনারেল রাইটিং-পিঁপড়া খাওয়ার গল্প|
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আমিও ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি পিঁপড়া খাওয়ার গল্প নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
পিঁপড়া খাওয়ার গল্প:
Source
ছোটবেলায় আমাদের সকলের সাথে কিছু না কিছু মজার ঘটনা ঘটে থাকে। এরকম ছোটখাটো অনেক মজার ঘটনায় আমাদের জীবনে ঘটেছে। ছোটবেলার মজার ঘটনা আজও মনের মধ্যে স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে। ছোটবেলা যখন মজার ঘটনা গুলো মাঝে মাঝে মনে পড়ে তখন খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে নানী দাদি থেকে পেয়ে থাকি।তাদের সাথে আমরা নানাভাবে মজা করে থাকি।
যখন আমরা কোন বিষয় নিয়ে নানি দাদীদের কাছে জেদ করতাম তখন তারা আমাদের অন্যভাবে বুঝিয়ে সে বিষয়টাকে উল্টো আরো মজার একটি গল্প তৈরি করত। আর সেটি আমাদের কল্পনায় বেঁধে দিত। আমরা সেই কল্পনাটিকে সত্যি মনে করে চুপচাপ করে থাকতাম। কিন্তু আসলে তারা আমাদের কল্পনার মধ্য দিয়ে নিয়ে যেত। তা আমরা বুঝতাম না।আনন্দের সাথে আমারও সেই কল্পনার জগতে হারিয়ে যেতাম। তাদের সেই গল্পগুলো আমাদের কাছে যেন মধুর বাণী হয়ে থাকতো। ঠিক তেমনি একটি পিঁপড়া খাওয়ার গল্প আমার সাথে ঘটেছিল
আগেকার সময় মানুষ চিনি কিংবা মিষ্টি কোন জিনিস এমনিতেই পলিথিন এ সংরক্ষণ করে রাখত।তেমন কোন কিছুই বুঝত না কিভাবে চিনি কিংবা মিষ্টি কোন জিনিস ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখবে। এর জন্য দেখা যেত চিনির মধ্যে পিঁপড়ে উঠে থাকতো। যখনই আমরা চিনি দিয়ে শরবত খেতাম।তখন শরবতের মধ্যে পিঁপড়া পেতাম।আর বলতাম এতে পোকা আছে খাবো না
আমরা সেই খাবার কে পাল্টিয়ে দিতে বলতাম বা খাবার ছেড়ে চলে যেতাম। তখনই নানী দাদীরা বুদ্ধি করে একটি গল্প তৈরি করে। তারা তখন আমাদের বলে পিঁপড়া খেলে সাঁতার শেখা যায়।আমরা তখন আরো খুশি হয়ে সেই খাবার খেয়ে নিতাম।কারণ তারা জানত আমরা এই গল্প বিশ্বাস করে নিব।আর যদি এই গল্প না বলতো হয়তো হয়তো আমরা আজও চিনিতে পিঁপড়ে উঠলে ফেলে দিতাম।নানি দাদীরা আমাদের পিঁপড়া খেয়ে সাঁতার শেখার গল্প বলত।জানিনা আদৌ এই গল্প কতটা সত্য ছিল।তবে মাঝে মাঝে এই কথা মনে হলে খুবই হাসি পায়। নিজের অজান্তে ঠোঁটের কোণে হাসি চলে আসে।এই ছিল আমার আজকের পোস্ট।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
আমি তো এখনো বিশ্বাস করি পিঁপড়া খেলে সাঁতার শেখা যায়। তবে এটা কতটুকু সত্য সেটা কেউ জানে না। সবাই ছোটবেলায় এই কথা বিশ্বাস করতো। আপনার পোস্ট পড়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
হ্যাঁ আপু আমরাও কেউ এখনও এই কথার সত্যতা যাচাই করতে পারি নি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় দেখছি এই ঘটনাটা সবার সাথেই ঘটেছে আমার নানা বাড়িতে গেলেও ঠিক একই ভাবে এরকম ভুলভাল বুঝিয়ে সেই মিষ্টি জাতীয় জিনিসগুলোকে খাওয়ানো হতো। তবে আমরাও বেশি আগ্রহ প্রকাশ করতাম। তাদের কথা বিশ্বাস করে মনে করতাম সত্যি সত্যি পিঁপড়া খেলে ভালো সাঁতার কাটতে পারব হা হা হা।
হ্যাঁ ভাইয়া ছোট বেলায় সবার নানি দাদী এইভাবে মিথ্যে বলে আমাদের পিঁপড়া সহ খাবার খাওয়াতো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হাহাহাহা সত্যি আপু এরকম আমাকেও অনেক বলেছে আমার দিদু।ঠিক বলেছেন আপনি সাজিয়ে যা বলতেন নানী,দাদীরা আমরা তাই সত্যি ভেবে নিতাম আর কল্পনায় হারিয়ে যেতাম।গল্পটি পড়ে আমার শৈশবের কথা মনে করিয়েছেন আপু।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনার দিদু ও আপনাকে এইভাবে খাওয়াতো জেনে খুবই ভালো লাগলো।সকলেই আমার মত কল্পনায় হারিয়ে যেত জেনে আরো বেশি ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলার দারুন একটি স্মৃতি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। এরকম ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছে। শরবতের সাথে পিঁপড়া ফ্রী ছিল। পোকাযুক্ত আম খাইয়ে বলতো এগুলো খেলে সাঁতার শিখতে পারবি তাড়াতাড়ি। তখন মনের আনন্দে খেতাম। আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি স্মরণ হয়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি আজকে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ছোট বেলায় এমন গল্প নানি দাদীর মুখে বেশি শোনা যেত। তাবে আমরা জানতাম যে পিপরে খেতে সাঁতার শেখা যায়। যাই হোক আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পিঁপড়া খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমারো হয়েছিল ছোটবেলায়, তবে তা শরবত কিংবা পানীয়ের সাথেই নয়। বরং ডিসকভারি চ্যানেলের বিখ্যাত সারভাইভাল এক্সপার্ট বেয়ার গ্রিলস এর থেকে দেখে।
পিঁপড়ার স্বাদ খেতে কিছুটা টক জাতীয় এটি তেমন বিস্বাদ নয়। এছাড়া কাঁকড়ার পা ভাজাও খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল ছোটবেলায়, হা হা। যদিও অনেকে কাঁকড়া খেতে চায় না, বিশেষ করে বাংলাদেশে।
তবে এসব অনেকদিন আগের ঘটনা, সেই দিনও নেই আর সময়ও বটে।
আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
আপনি খুব চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনি ছোটবেলার দারুন একটি স্মৃতি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ছোটবেলায় এমন গল্প দাদী নানীদের কাছ থেকে শোনা যেত। আমি তো এখনো বিশ্বাস করি তুই তো ছেলের সাঁতার কেটে যায়। ছোটকালে এমন কত পিঁপড়া খেয়েছি সাঁতার কাটার জন্য। আপনার গল্পটি পড়ে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে পড়ে গেল। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।