জেনারেল রাইটিং-বৃষ্টির দিনের ভয়ংকর স্মৃতি|
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আমিও ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি বৃষ্টির দিনের ভয়ংকর স্মৃতি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
বৃষ্টির দিনের ভয়ংকর স্মৃতি:
![woman-1807533_640.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPVbDUDKHutTVtibQG4yUHq4iQtBZxFTQstrQqKd7wC9m/woman-1807533_640.jpg)
Source
বৃষ্টির দিনে ঘুরে বেড়াতে কেনা পছন্দ করে। বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিতে ভিজে পুরো গ্রাম সহ ঘুরতে বেশ ভালই লাগে। ঠিক এমনই ভাবে আমিও আমার দাদু বাড়িতে গিয়েছিলাম।সেই সময় খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সময় আমি বৃষ্টির মধ্যে নদীতে গোসল করতে যাই।আমার একটি বড় আপুর সহ। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। আর সব থেকে বেশি মজা লাগে বৃষ্টিতে আম কুড়াতে।
বৃষ্টির সময় যখন খুবই বাতাস হয়। আর গাছ থেকে যখন আম পড়ে দৌড়ে যে সে আম কুড়াতে বেশ ভালই লাগে। যেন অন্যরকম এক প্রতিযোগিতায় নামা হয়। এই প্রতিযোগিতা বেশ মজার হয়। তেমনি এক প্রতিযোগিতায় আমি নেমেছিলাম। বৃষ্টিতে যখন একটু পর পর আম পরছিল তখন দৌড়ে নিয়ে আসছিলাম। আমার দাদি অনেকবার নিষেধ করছিল আমাকে বাহিরে না যেতে। এভাবে বৃষ্টিতে না ভিজতে। কারন আমার একটুতেই জ্বর ঠান্ডা লেগে যায়। আর আমার যখনই জ্বর ঠান্ডা লাগে সহজেই সেটি ছাড়তে চায় না অনেক কষ্ট হয় আমার। এজন্য আমার দাদি আমাকে নিষেধ করেছিল বাহিরে যেন আমি না যাই। কিন্তু এরকম বৃষ্টি দেখে কারো কি মন ঠিক থাকে। নিজেকে ঘরে ধরে রাখা যায় না।
এরকম বৃষ্টি দেখে আমি নিজেকে আর ঘরে ধরে রাখতে পারছিলাম না। এই জন্য ছুটে গিয়ে গিয়েছিলাম এদিক সেদিক। ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম পুরো গ্রাম। কখনো নদীতে কখনো পুকুরে কখনো বা কোন গাছের নিচে কখনো বা খোলা আকাশের ঘাসের উপরে শুয়ে ছিলাম।এমন সময় বৃষ্টি যখন একটু কমে গিয়েছিল তখন বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিলাম। সেই সময় আমার সামনে অনেক বড় একটি কাঁঠাল পড়ে যায় গাছ থেকে। সেই কাঁঠাল আমি যখনই নিতে যাই তখনই দৌড়ে এসে একটি কুকুর আমার সামনে দাঁড়ায়।আর কাঁঠাল টি তে মুখ দিয়ে ভেঙ্গে আমি চুপ করে দেখছিলাম।আর আমার যখন তাকায় আমি তখন জোরে একটা দৌড় দেই।
ভয়ে এমন দৌড় দেই আমার পিছনে কুকুরটা দৌড়াতে লাগে। এমনিতে আমরা সকলেই জানি কুকুর দেখলে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু আমি তার উল্টাটা করি কুকুর দেখলে আরো দৌড়ে পালাই। এই জন্য আমি অনেকবার কুকুরের দৌড়ানিও খেয়েছিলাম। সেদিনও ঠিক তা হলো আমি কুকুরের দৌড়ানি খেয়ে যখন দৌড়েছিলাম এমন সময় শ্যাওলার মধ্যে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম। রাস্তার পাশে একটি টিনের বেড়া ছিল।সেই বেড়ায় মধ্যে আমার হাত ঢুকে অনেকটা কেটে গিয়েছিল। খুবই রক্ত বের হচ্ছিল। আমার চিৎকার শুনে আমার দাদী ছুটে আছে। এরপর তারা আমাকে ধরে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। এবং ভালোভাবে সেটি পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেয়। আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। ভয়ে আমার জ্বর চলে এসেছিল। আর সেই জ্বর ছাড়তে কমপক্ষে এক মাস সময় লেগেছিল। কারণ আমার একবার জ্বর আসলে সেটি সহজে ছাড়তো না। এর মধ্যে একটি মজার ঘটনা ঘটে গিয়েছিল যখন আমি এবং কুকুর দুইজনেই দৌড়ে ব্যস্ত ছিলাম তখন আমার এক প্রতিবেশী এসে সেই কাঁঠাল বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি সেখানে আর কিছু বলিনি।সে জানতোও না যে কুকুরটি কাঁঠালে মুখ দিয়েছিল। আমি আমিও পরে এই নিয়ে কিছু বলি নি।সবশেষে একটাই কথা বলতে চাই যখন কোন কুকুর আপনার সামনে আসবে তখন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন। তাহলে আর কুকুর দৌড়াবেন না আপনি যত দৌড়াবেন কুকুর আরও আপনাকে তত তারা করবে।এই ছিল আমার আজকের পোস্ট।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বৃষ্টিতে আনন্দ করে ভীজতে গিয়ে বেশ বিপদে পড়েছিলেন আপু।কাঁঠাল টি খেতে কুকুর এসেছে আর আপনি যদি নেন কাঁঠাল তাই আপার দিকে তাকিয়ে এদিকে আপনি ভয়ে ভোঁদৌড় দিয়ে টিনের মাঝে পড়ে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছেন।আসলে ভয় পেয়ে জ্বর আসলে সহজে সারতে চায় না।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু ভয় পেয়ে জ্বর আসলে সেটা সহজে ছাড়তে চায় না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।