গত দুদিন হলো বেশ স্বস্তিতে দিন যাচ্ছে সবার। যাবে নাই বা কেন? বৃষ্টি মামা যে অবশেষে দেখা দিয়েছে এ ধরায়। আর বৃষ্টির পরশে কম বেশী সবাই নিজেকে সিক্ত করেছে ঠান্ডার আবেশে। গত দুদিন যাবৎ বেশ ভালো ঘুম হচ্ছে। চারদিকে কেমন যেন বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। গরম যেন শরমে পেয়ে পালিয়েছে এ ধরা থেকে। তাই মানুষ গুলো একটু শান্তিতে চলা ফেরাও করতে পারছে।।

বন্ধুরা চলে আসলাম আজ আবার আপনাদের মাঝে নতুন করে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। সেই ছেলেবেলায় মায়ের হাতে কত যে খেয়েছি মসুর ডাল আর পুঁইশাকের একটি সুস্বাদু রেসিপি। মা চলে যাওয়ার পর এখন আর সেই রেসিপিটি করে খাওয়া হয় না। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ বেশ মনে হচ্ছে রেসিপিটি একবার নিজ হাতে করে দেখি কেমন লাগে। যেই ভাবনা সেই কাজ। করে নিলাম আমার নিজ হাতে সেই রেসিপি। খেতে বেশ স্বাদও হয়েছিল। তাই ভাবলাম রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

প্রথমে রেসিপিটির জন্য প্রয়োজনীয় মসলা উপকরনে তৈরি করে নিতে হবে।তারপর পেঁয়াজ কুচি করে নিতে হবে এবং তেল প্রস্তুত করে নিতে হবে।

এবার ডাল গুলো কে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

এবার পুঁইশাক গুলো কে ভালো করে ধুয়ে কেটে নিতে হবে।

এবার চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে পরিমান মত তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিতে হবে।

এবার ভেজে নেওয়া পেঁয়াজের মধ্যে লবন, হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, আদা রসুন বাটা এবং সামান্য পানি দিয়ে কসিয়ে নিতে হবে।

কিছুক্ষন মসলা কসানোর পর দেখা যাবে যে মসলার উপর তেল ভেসে উঠেছে।

এবার কসানো সেই মসলার মধ্যে ধুয়ে রাখা ডাল গুলো দিয়ে দিতে হবে।

এবার ডালগুলো ভালো করে নেড়ে দিয়ে মসলার সাথে মিশিয়ে দিতে হবে এবং ডাল সেদ্ধ হওয়ার জন্য একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

ডালগুলো সেদ্ধ হয়ে আসলে তার উপর কয়েকটি কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।

কিছুক্ষন পর ডালের মধ্যে ধুয়ে রাখা পুঁইশাক গুলো দিয়ে দিতে হবে।

এবার পুঁইশাক গুলো কে ডালের সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

কিছুক্ষন পর দেখা যাবে যে পুঁইশাক গুলো একটু সেদ্ধ হয়ে এসেছে। তারপর আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

কিছুক্ষন পর দেখা যাবে যে পুঁইশাকের পানি শুকিয়ে গেছে এবং পুইঁশাক গুলো সেদ্ধ হয়ে গেছে। তার মানে আমার পুইঁশাক আর ডালের সুস্বাদু রেসিপি হয়েগেছে।

এবার একটি ডিসে নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

অবশ্য এমন একটি রেসিপির সাথে ঝাল বা বোম্বাই মরিচ হলে বেশ ভালোই হতো। যেহেতু নেই তাই আমি গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করেছিলাম।

মায়ের হাতের সুস্বাদু এই রেসিপিটি কতটা মজাদার সেটা আমি মুখে বললে হবে না। আপনাদের একবার বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে। তাহলে বুঝতে পারবেন স্বাদ কতটা মজাদার ছিল।

মাঝে মাঝে মায়ের হাতের তৈরি করা কিছু রেসিপি বাড়িতে নিজের হাতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আমার মনে হয় ঠকবেন না। যদি রান্না হয় সুস্বাদু তাহলে খেয়ে সত্যি সত্যি অনেক তৃপ্তি পাবেন।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।