লাইফ স্টাইল- ঘরোয়া ঈদ আনন্দে কিছুটা সময় || lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
মানুষ কখনও একা থাকতে পারে না। পারে না নিজেকে একা একা কোন ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখতে। মানুষ কে কোন না কোন ভাবে সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়। হোক সেটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত। আর তাই তো সামাজিক বন্ধনের মাঝেই তাকে কাটিয়ে দিতে হয় জীবনের অধিক সময়। মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্কের চেয়ে সামাজিক সম্পর্কগুলো হয়ে উঠে অনেক মধুর। বাঁধা পড়ে যায় কঠিন সম্পর্কের বেড়াজালে।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আর ভালো থাকাটাই এখন সবচেয়ে বড় নেয়ামত। বন্ধুরা প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আজও আপনাদের মাঝে আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো। আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। আর আপনাদের ভালো লাগাই কিন্তু আমার স্বার্থকতা।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এবারের ঈদটা তেমন ভালো কাটেনি আমার। কারন দেহ আর মন দুটোই ভালো ছিল না। আর তাই তো নিরামিষের মত করেই ঈদ উদযাপন করেছি। ঈদের দিনে বেশী ব্যাস্ততা থাকার কারনে তেমন কিছু রান্না করতে পারিনি। পারিনি তেমন কিছু করতে। শুধু পছন্দের গালা খিচুড়ি আর মুরগির রোস্ট রান্না করে সারাদিন চরকির মত ঘুরে বেরিয়েছি। তারপর বিকেল পাচঁটায় আবার দৌড় দিয়েছি শ্বশুড়বাড়ীর উদ্দেশ্যে। তারপর আবার সেই রাত ১২.০০ বাসায় ফেরা। সব মিলিয়ে শরীরটাও যেন আমার সাথে রাগ করেছিল সেদিন। কেন তার উপর এত জুলুম করলাম। তাই তো এত এত ঝামেলার মধ্যে নতুন করে আর কিছু রান্না করিনি।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
কিন্তু তাই বলে তো আর মাফ নেই। দুদিন ধরেই ভাবছি দুজনের টুনাটুনির সংসারে একটু ঈদ উদযাপন করলে মন্দ তো হয় না। তাই কিছু আয়োজন করেছিলাম গতকাল। কিন্তু ঈদ কি আর একা একা উদযাপন করা যায়? তাই তো আমাদের সাথে আনন্দটুকু ভাগ করে নেওয়ার জন্য ছোট ভাই আর বোন কে দাওয়াত করলাম। আর ঈদ উদযাপন করার জন্য আরও কিছু টুকিটাকি বাজার করলাম। অবশ্য বাজার করতে গিয়ে নাকে বেশ ব্যাথাও পেয়েছি। বার বার মনে হয়েছিল যে নাকটাই বুঝি ভেঙ্গে গেছে। তাতে কি ঈদ আনন্দ কোন দিক থেকে কমতি হয়নি।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
ভেবেছিলাম সবগুলো আইটেম আমি নিজের হাতেই করবো। কিন্তু সেকি আর হলো? ছোট বোন বেশ সকাল সকাল চলে আসলো। সাথে করে নিয়ে আসলো রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় সব মসলা। আমি বললাম আমি রান্না করি, কিন্তু সে খুব জোড় করেই আমাকে রান্না ঘর থেকে বের করে দিয়ে রান্না ঘর তার দখলে নিয়ে নিলো। আমি তো বিছানায় যেয়ে ক্লান্ত দেহ নিয়ে এক ঘুম। আর ঘুম থেকে উঠেই দেখি বেচারি সব রান্না শেষ করে ফেলেছে। কত রকমের রান্না যে করেছে সেটা দেখেই বেশ মন ভালো হয়ে গেল। রাইস, রোস্ট, ফ্রাই, সালাদ, বেগুন ভাজা দুধ সেমাই। শুধু খুব জোড় করেই নবাবী সেমাইটা আমি রান্না করেছিলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
খেতে বসে দেখি প্রতিটি রেসিপিই ছিল বেশ চমৎকার। কোনটা হতে যেন কোনটার টেষ্ট আলাদা নয়। যেটাই খাই সেটাই ভালো লাগছে। যে আমি কোনদিন রোস্ট আর সেমাই খাই না। সে তো দেখছি রোস্টও খেলাম, তার সাথে আবার সেমাই তো খেলাম। আর এত খাবারের সাথে ছিল টাঙ্গাইলের মিষ্টি দই। যেটা ছোট ভাই আসার সময় নিয়ে এসেছিল। সেই দই এর সাধও ছিল অসাধারণ। সব মিলিয়ে গত কালের দিনটি ছিল আমার কাছে বেশ আনন্দের আর মনোমগ্ধকর।
শেষ কথা
শেষ কথা
যদিও নিজের বাসায় নিজেই মেহমান হয়ে গিয়েছিলাম। তবুও নিজের বাসায় মেহমান হয়ে দাওয়াত খেতে কিন্তু খারাপ লাগেনি। টাকাও খরচ হয়নি আর মিষ্টিও লাগেনি। এখন শুধু আপনাদের অভিমত। আশা করি আপনাদেরও ভালো লেগেছিল।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আসলে ঘরোয়া হলে ঈদ বেশ আনন্দে কাটিয়েছেন দেখছি। যাইহোক আপনার ছোট বোন আপনাকে বেশ হেল্প করেছে এমন একজন মানুষ আমি পেলে অনেক কাজ হতো আপু। খাবারগুলো বেশ লোভনীয় ছিল ছিল। রোস্টগুলো দেখে মনে হচ্ছে খেয়ে নেয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ঈদ চলে গেলেও ঈদের আনন্দ কিন্তু থেকে যায় মোবাইলের গ্যালারিতে। যদি সেই মুহূর্তের সুন্দর কিছু ভালো লাগার বিষয়গুলো ক্যামেরাবন্দি করা হয়। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট। মনে করে দিলেন সেই দিনের কথাগুলো। খুবই ভালো লেগেছে আপু। আমিও অনেক কিছু রান্নাবান্নায় খুবই ব্যস্ত ছিলাম দুইটা দিন।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু একা একা ঈদ আনন্দ উদযাপন করা যায় না। ঈদ আনন্দ উদযাপন করার জন্য সাথে ছোট ভাই এবং বোনকে ডেকে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। দারুন সময় কাটিয়েছেন আর সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
সত্যি আপু অসুস্থ দেহ আর মন নিয়েও সুন্দর সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু এমন একটি প্রোগ্রামে যেতে পেরে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছি। আমি নিজের হাতে রান্না করেছি তাতে কি? আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সপ্তাহের একটি দিন ছুটি পেয়ে একটু রেস্ট তো পেলেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আমকে কষ্ট করে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার শরীর ও মন খারাপ থাকার কারণে এবার ঈদ ভালোভাবে উদযাপন করা হয়নি আপনার। ঈদের আনন্দটা পরবর্তীতে উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। তবে একটা দিক ভালো হয়েছে আপনাকে কষ্ট করে রান্না করতে হয়নি। আপনার ছোট বোন সবকিছু রান্না করে রেডি করে রেখেছে। যাইহোক শান্তিতে ও তৃপ্তিতে খেতে পারলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
আমার অনুভূতি গুলো বুঝে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঈদের দিন ব্যস্ততার কারণে ও শরীর ভালো না থাকার কারণে তেমন ভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি। পরবর্তীতে বেশ সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঈদ উদযাপন করেছিলেন আপু। ঈদ উদযাপনে ছোট ভাইবোন কে দাওয়াত করেছিলেন এবং ছোট এসে বোন মজার মজার রান্না করেছিল জেনে খুবই ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা রান্না দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আপু। বেশ লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি তৈরি করা হয়েছিল। যা দেখে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঈদ আনন্দ একা উৎযাপন করলে কোনো মজা হয়না।আপনি ভাই বোনকে ডেকে নিয়ে আনন্দ ভাগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে ভাই বোন বাবা মায়ের পরে মানুষের আপন হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
X-promotion