ঈদ স্পেশাল ভূনা খিচুড়ি রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন? আমিও আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় বেশ ভালো আছি। তবে কষ্ট হচ্ছে উপকূল বাসি হাজারো মানুষগুলোর জন্য। যারা মোখা নামক ঝড়েরর করাল থাবার ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাই আসুন আমরা সকলেই তাদের জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন তাদের কে সহি সালামতে রাখে।
ঈদ তো চলে গেছে বেশ কিছুদিন হয়ে গেল। তবুও ঈদের রেস গুলো কিছু কিছু এখনও রয়ে গেছে। রয়েছে হাতে ঈদের মেহেদী আর মুখে খাবারের স্বাদ। ঈদ আসলে আমরা প্রিয় মানুষ গুলোর জন্য কত স্বাদের খাবারই না তৈরি করি। তৈরি করি স্পেশাল কিছু রেসিপি। যাতে করে প্রিয় মানুষ গুলো মনের মত সেই খাবার গুলো একটু তৃপ্তি ভরে খেতে পারে।
আর সবার মত আমিও করেছিলাম পরিবারের জন্য স্পেশাল কিছু রেসিপি। যাতে করে পরিবারের সকলে তৃপ্তি করে খেতে পারে। সেই সাথে মনকে রাঙিয়ে তুলতে পারে নতুন খাবারের সুগন্ধে। ঈদ আসলে সবাই চায় যে একটু স্পেশাল কিছু খেতে। সারা মাস রোজা রাখার পর যদিও আমরা তেমন কিছু খেতে পারি না। তবুও তো ঈদ বলে কথা । অবশ্য আমি এরই মধ্যে আপনাদের মাঝে ঈদের দু একটি রেসিপি শেয়ার করে নিয়েছিলাম। আর আজ আবার আসলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে।
আজ আমি আপনাদের সবার পছন্দের ঈদ স্পেশাল ভূনা খিচুড়ির রেসিপি্ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করবো আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সবার বেশ পছন্দ হবে। তাহলে চলুন দেখে আসা যাক আমার আজকের রেসিপি।
★মুগডাল
★পোলাওর চাল
★ঘি
★তেল
★কাচাঁ মরিচ
★আদা বাটা
★রসুন বাটা
★ হলুদ গুড়া
★মরিচ গুড়া
★জিরা গুড়া
★কেওড়া জল
★পেয়াঁজ
★দারচিনি
★এলাচ
★তেজপাতা
★লং
★গোল মরিচ
★ লবন
★পানি
ধাপ-১
পোলাও এর চালগুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সেগুলো কে আলাদা একটি পাত্রে পানি ঝড়াতে দিতে হবে।
ধাপ-২
এবার মুগডাল গুলো ভেজে নিয়ে সেগুলো কে ভালো করে ধুয়ে প্রায় ২০ মিনিটের মত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ২০ মিনিট পর ডালগুলো কে পানি ঝড়িয়ে রেখে দিতে হবে।
ধাপ-৩
এবার চুলায় একটি পাত্র দিয়ে তাতে পরিমান মত তেল আর ঘি দিয়ে একটু গরম করে নিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার গরম করা তেল এর মধ্যে পরিমান মত পেঁয়াজ দিয়ে ভালো করে বেরেস্তা করে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার বেরেস্তা ভাজা সেই তেলের মধ্যে দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা, লং দিয়ে একটু নেড়ে দিতে হবে। এবার কেটে রাখা বাকী পেঁয়াজ গুলো দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৬
এবার লাল লাল করে ভেজে নেওয়া সে পেঁয়াজের মধ্যে একে একে আদা রসুন বাটা, জিরাবাটা, হলুদ মরিচ গুড়া দিয়ে ভালো করে মসলার সাথে মিশিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। যাতে মসলার কাচা গন্ধনা চলে যায়। এভাবে প্রায় ৫-১০ মিনিট মসলাটা কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৭
কিছুক্ষন পর দেখা যাবে যে মসলা কষানো হয়ে গেছে এবং মসলার উপর তেল ভেসে উঠছে। তখন সেই মসলার উপর আগে থেকে ভেজে রাখা মুগ ডাল গুলো দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৮
এবার ডালগুলো মসলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে তাতে সামান্য লবন এবং পানি দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে ঢেকে দিতে হবে। যাতে করে ডাল গুলো সেদ্ধ হয়ে যায়। তবে ডাল গুলো যাতে পোড়া না লাগে তার জন্য বারে বারে নেড়ে দিতে হবে।
৯ম ধাপ
এবার ডালের পানিটা শুকিয়ে আসলে তাতে ধুয়ে রাখা চাল গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।
১০ম ধাপ
এবার চাল গুলো এমন করে ভেজে নিতে হবে যাতে করে ভেজে নেওয়া চাল হতে শন শন শব্দ শোনা যায়।
১১তম ধাপ
এবার সেই ভেজে নেওয়া তেলের মধ্যে আগে থেকে গরম করে রাখা পানি হতে পরিমান মত পানি দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।
১২তম ধাপ
এবার খিচুড়ির পানি যখন ফুটে উঠবে তখন তাতে কয়েকটি কাচাঁ মরিচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিয়ে প্রায় ২০ মিনিটের মত হালকা জ্বালে রান্না করতে হবে।
১৩তম ধাপ
প্রায় ২০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখার পর ঢাকা তুললে দেখা যাবে ঝর ঝরে খিচুড়ি রান্না করা হয়ে গেছে। তখন সেই রান্না করা খিচুড়ির উপর বেরেস্তা করে রাখা বেরেস্তা গুলোর কিছুটা ছিটিয়ে দিয়ে ভালো করে নাড়া চাড়া দিয়ে দিতে হবে। তারপর আবার কিছুক্ষনের জন্য ঢাকনা দিয়ে দমে রাখতে হবে।
শেষ ধাপ
কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুললে দেখা যাবে যে ঝরঝরে খিচুড়ি রান্না হয়ে গেছে। তারপর আলাদা ডিসে নামিয়ে নিয়ে তার উপর বেরেস্তা গুলো ছিটিয়ে দিতে হবে।
তো তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের ঈদ স্পেশাল ভূনা খিচুড়ি রেসিপি। রেসিপি টি করার সময় আপনাদের জন্য ইউনিক এই রেসিপিটির প্রতিটি ধাপের ছবি তুলে নিয়েছি। যাতে করে আপনারাও বাসায় তৈরি করতে পারেন ঈদ স্পেশাল ভূনা খিচুড়িটি বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন। |
---|
ডিভাইস ও মডেল | vivo-S-22 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের রেসিপি? । আপনাদের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু। |
---|
খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দের। এরকম গরম গরম ভুনা খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার খিচুড়ি রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্না করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুস্বাদু ও আমার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সম্পূর্ণ রেসিপিটি আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1657993135727992832?s=20
ভুনা খিচুড়ি আমার খুব পছন্দ। আপনার রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপিটি দেখে একটু খেতে মন চাইছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপু আপনাকেও ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার স্পেশাল ভুনা খিচুড়ি রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। খিচুড়ি খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আপনি খুবই মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এরকম মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে শুধু খেতে ইচ্ছে করে। আর আপনার রেসিপিটা দেখে বুঝতে পারছি এটি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে। পরিবেশন টাও খুবই সুন্দরভাবে করেছেন আপনি যা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
আপু কি আর করবেন মজাদার সুস্বাদু রেসিপি টা শুধু দেখেই যান। হিহিহি। অশেষ ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ঈদের অনেক দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো কিন্তু দাওয়াত পাইনি আপু। তার মাঝে যদি এত লোভনীয় খাবারের রেসিপি দেখি তাহলেতো দাওয়াত দিতে হবে। সত্যি আপু আপনি কিন্তু দারুণ রান্না করেন। কোন একদিন দাওয়াত দিয়েন। আপনার হাতের রান্না খাবো। খুব ইচ্ছে করছে খেতে।
প্রতিদিনই আপু আপনার দাওয়াত। যখন আসবেন তখনই তৈরি করে খাইয়ে দেব। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি ছোটবেলা থেকেই খিচুড়ি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। এভাবে খিচুড়ি তৈরি করে আমি অনেকবার খেয়েছিলাম। ঈদ স্পেশাল ভুনা খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি খুবই মজাদার ভাবে। আপনি খিচুড়ি রান্না করেছেন কিন্তু আমাদেরকে দাওয়াত দিলে তো পারতেন। এভাবে খিচুড়ি রান্না করলে কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয় এবং খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছিলেন তা আমি দেখে বুঝতে পারছি। আপনার রান্না খেতে কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে করছে। আপনার রান্নার প্রশংসা অবশ্যই করতে হচ্ছে। যাইহোক ভালো লাগলো রেসিপিটা।
ভাইয়া দাওয়াত তো করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সব অনলাইনে সার্ভারগুলো নষ্ট। তাই তাই আর পাঠানো হলো না এই আর কি। ওহি হি হি
আপনার রেসিপিটা দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঠিক বলছেন আপনি ঈদ চলে গেল কিন্তু ঈদের রেস এখনো থেকে গেছে। ঈদ মানে তো আনন্দ ঈদ মানে মজার মজার খাওয়া এবং খুব মজার করে আপনজনদের সাথে ঘোরাফেরা করা। অনেক মজার স্পেশাল ভুনা খিচুড়ি করেছেন আপনি ঈদের সময় দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ভুনা খিচুড়ি তৈরি করেছিলেন। মজার মজার খাবার তৈরি করলে আমাদেরকে একটু দাওয়াত দিলে তো হয়।
আপু দাওয়াত দিলাম চলে আসেন। মজার মজার রেসিপি করে আপনাকেও খাওয়াবো: