ট্রাভেল পোস্ট- "কাশফুলের জন্য পূর্বাঞ্চলে কিছুটা সময়- ৪র্থ পর্ব " II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।
মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে কিন্তু মন্দ হয় না । কারন কোথাও ঘুরতে গেলে মনের সাথে সাথে দেহেও ফিরে আমে প্রাণ চঞ্চলতা আর সতেজতা। তাই তো মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে চেষ্টা করি। আর এই কারনেই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি একটু ঘুরে বেড়াতে। আর এই কারনেই কিছুদিন আগে চলে গিয়েছিলাম পূবাঞ্চলে উদ্দেশ্য ছিল যে কাশফুলের বাগান দেখবো। কারন তখন চারদিকে কাশফুলের সমারোহ। সবাই শুধু ছুটছে কাশফুলের সুবাস নিতে। তাই একটু বিকেল করেই চলে গিয়েছিলাম কাশফুলের বাগান দেখতে পূর্বাঞ্চলে।যার প্রথম পর্ব ইতিমধ্যে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আজ সেই কাশফুলের বাগানে ভ্রমন করার চতুর্থ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা যারা আমার এই ভ্রমন পোস্টের প্রথম, দ্বিতীয় পর্ব এবং তৃতীয় পর্ব পড়েননি তাদের জন্য ভ্রমন পোস্টের উক্ত পর্বের লিংংক নিচে দেওয়া হলো। আপনারা চাইলে একবার পড়ে আসতে পারেন।
প্রথম পর্বের লিংক
দ্বিতীয় পর্বের লিংক
তৃতীয় পর্বের লিংক
কাশফুলের জন্য পূর্বাঞ্চলে কিছুটা সময়- ৪র্থ পর্ব
লেকের পানিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আমরা লেকের দিকেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঐ যে চাইলে কিন্তু আর সব কিছু নিজের মনের মত হয় না। তাই আমাদের ও প্ল্যান পরিবর্তন হয়ে গেল। যাওয়ার পথেই রাস্তায় দেখলাম যে বেশ বড় বড় দোকান। যেখানে মাছের ফ্রাই করা হয়। আমার বাবা আবার এত শত সখ নাই খাওয়ার। কিন্তু আপনাদের ভাইয়া বায়না ধরলো সে মাছের ফ্রাই খাবেই। তাই বাধ্য হয়েই সেখানেযেতে হলো। ওমা আমরা যখন সেখানে গেলাম দেখি যে সেখানে কি শুধু মাছের ফ্রাই? আরে না সেখানে আবার চিকেন ফ্রাই ও পাওয়া যায়। আমরা আগে বাহিরে দেখে নিলাম কি কি মাছের ফ্রাই হয়। তারপর ভিতরে ঢুকে পড়লাম।
অবশ্য আমরা বাহির হতেই অর্ডার করে ভিতরে গিয়েছিলাম। আমরা সেদিন খেয়েছিলাম রূপচাঁদা মাছের ফ্রাই আর চিকেন ফ্রাই। বাপরে বাপ যে দাম চায় সেখানে খাবার দাবারের। কিন্তু ঐ যে সখের তোলা আশি টাকা। তাই একটু দাম নিলেও আমরা আমাদের পছন্দের খাবার খেতে ভিতরে চলে গেলাম। একটু সময় পড়ে আমাদের খাবার চলে আসলো আমাদের কাছে। আরে ভাইরে ভাই খাবরের যে স্মেল। তাতেই কিন্তু পেট ভরে গেল। আর খাবার খাবো কিসে। আমি আবার সেদিন শুধু মাছের ফ্রাই খেয়েছিলাম। আমার কাছে রূপচাঁদা মাছের ফ্রাই আবার বেশ ভালো লেগেছিল। তাই একটু আস্তে আস্তে খেয়ে নিয়েছিলাম। কারন ঐ যে খাবারের আগে আর মাইরের পরে থাকতে হবে।
তো যাই হোক আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা চলে গেলাম লেক দেখার জন্য। মানে একটু নৌকায় ঘুরাঘুরি করবো। বাপরে বাপ লেকের পারে যেয়ে তো আমাদের মাথা খারাপ। আর মানুষে মানুষে সয়লাব। নৌকায় উঠার জন্য পারাপারি মারামারি। কে কার আগে উঠবে। আবার নৌকার ভাড়াও বেশী। একটি নৌকায় দশ থেকে পনের জন উঠে কিন্তু ভাড়া নেওয়া হয় জনপ্রতি ২০০টাকা। তাও আবার একঘন্টা ঘুরাবে। মানে নীলা মার্কেট থেকে ত্রিমোনী হাটে যেয়ে নামিয়ে দিবে। বলেন এটা কি সহ্য হয়? কিন্তু মানুষ তো আর বসে নেই সবাই গটগট করে উঠে যাচ্ছে নৌকার উপর। আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অবস্থা দেখলাম। তারপর আমরা একটু সুযোগ বুঝে একটি নৌকায় উঠে বসলাম।
প্রায় দশ মিনিট পরে নৌকা ছাড়বে। এর মধ্যে আমরা একটু নৌকায় খাওয়ার জন্য পানীয় নিয়ে নিলাম। বেশ ভালোই কিন্তু লাগছিল নৌকায় বসে চারদিকের দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে। এত এত মানুষ নিয়ে নৌকা ভ্রমনের মজাটাই কিন্তু আলাদা। তবে আজ কিন্তু নৌকায় বসে কি দৃশ্য দেখলাম আর কি করলাম সে বিষয় নিয়ে কিছুই বলবো না। এ বিষয়ে জানতে হলে আমার পরবর্তী পর্বের দিকে নজর দিতে হবে।
জানিনা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্টটি। এই ভ্রমন পোস্টের আরও পর্ব জানতে চাইলে আপনাদের কে অবশ্যই আমার আগামী পোস্টের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সে পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকেন।আল্লাহ হাফেজ।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y18 |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
লোকেশন | নীলা মার্কেট, পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
পূর্বাচলের ওই জায়গা গুলো সব সুন্দর একটি জায়গা। আমরা সবাই মিলে প্রায় ওখানে ঘুরতে যাই। ওখানে যেমন প্রকৃতিটা সুন্দর ঠিক এখানে খাওয়া-দাওয়া গুলো অনেক মজা। তবে দাম একটু বেশি। সেদিন আপনাদের সাথে আমি যাইনি। আমাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কি একটা কাজের জন্য আমার যাওয়া হয়নি। আজ আপনার পোস্ট দেখে বুঝলাম সেদিন সত্যিই মিস করেছি।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শরীর এবং মনের ক্লান্তি দূর করার জন্য এবং দেহে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে ভ্রমণ করা অপরিহার্য। নৌকায় ঘোরাঘুরি করাটা মনের তৃপ্তির আরও একটি মাধ্যম। তবে নৌকা ভ্রমণে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নিচ্ছিল আমার মনে হয় এটা একটু অন্যায় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও তো মানুষ থেমে থাকছে না। যাই হোক নৌকায় চড়ে ভ্রমণ করার সময় কি কি অনুভব করলেন পরবর্তী পোস্টে আশা করি পড়তে পারবো, অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার পূর্বাচল ভ্রমণের বেশ কয়েকটা পর্ব দেখেছিলাম। আজকে আরেকটা পর্ব দেখে ভালো লাগলো। ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি। রূপচাঁদা মাছের ফ্রাই এবং চিকেন ফ্রাই খেয়েছেন। বিকেল বেলায় এই ধরনের খাবারগুলো খেতে ভালোই লাগে। তারপর আপনার আবার নৌকা ভ্রমণও করেছেন। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Twitter