|| বৃষ্টি সবসময় সবার জীবনে আনন্দ বয়ে আনে না। ||
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সকলেই ভালো আছেন।আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে আমিও ভালো আছি।আজকে আপনাদের সামনে শেয়ার করবো " বৃষ্টি সবার জীবনে আনন্দ বয়ে আনে না কারো কারো জীবনে অভিশাপ হিসেবেও আসে।"এই করুণ বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরবো।
বৃষ্টি সবার জন্য আনন্দের না।
এই প্রচণ্ড গরমে আমরা বৃষ্টির জন্য কতোই না অপেক্ষা করেছিলাম।গরমে যখন সকলের যাই যাই অবস্থা তখন সকলের প্রত্যাশা ছিলো একটু বৃষ্টি নামুক।আবহাওয়াটা খানিকটা শীতল হোক।প্রচণ্ড গরম শেষে বৃষ্টি নামলো ঠিকই কিন্তু তা আশীর্বাদ হয়ে আসে নি ধ্বংস হয়ে এসেছে।লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে সব। বলছি ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর কথা যেটি ২৬ শে মে রাতে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে।এটি বাংলাদেশের উপকূলের এলাকাগুলো ভেঙেচূড়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে।এই পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বাংলাদেশের ১০ জন মানুষ নিহিত হয়েছেন।এছাড়াও বাংলাদেশের প্রায় ৩৭ লাখ মানুষ এই ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত অবস্থাতে রয়েছে।যা এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যা সর্বশেষ। সময়ের সাথে সাথে যা আরো বাড়বে। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়গুলোর জন্ম হয় বঙ্গোপসাগরে। অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের তুলনায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছে।এর ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যেতো যদি না সুন্দরবন ঢাল হয়ে না দাড়াতো। প্রতিবারই সুন্দরবন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছে। ঘূর্ণিঝড়ের বেগ কমিয়ে দেয় আমাদের এই অকৃত্রিম বন্ধু। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আশংকায় আছি কবে না জানি আমাদের সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সুন্দরবন।যেভাবে গাছ কাটা হচ্ছে মনে হয় না খুব বেশিদিন সার্ভিস দিতে পারবে সুন্দরবন।আমরা নিজেরাই আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনছি।এখনি যদি সুন্দরবনের বিষয়ে সতর্ক না হওয়া যায় ভবিষ্যতে আমাদের অবস্থা খুবই নাজেহাল হবে।সরকারের পাশাপাশি আমাদের নিজেদের সতর্ক হওয়া বেশি প্রয়োজন। কেননা কেবল আইন দ্বারা অনেককিছুর সমাধান করা সম্ভব না, যদি না আমরা সতর্ক হই।
উপকূলের পাশাপাশি রাজধানীতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব:
ইট পাথরের নগরীতে উপকূলের নিকটবর্তী এলাকার মতো তেমন প্রভাব না ফেললেও ঝড়ো ধমকা হাওয়ার সাথে প্রবলবেগে বৃষ্টি হচ্ছে।যার ফলে শহরের অধিকাংশ অঞ্চল তলিয়ে গিয়েছে।পরিকল্পিত ড্রেন ব্যবস্থা না থাকার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার অভাব থাকায় শহরের এই করুণ অবস্থা। বৃষ্টিপাত হলেই শহর পানির নিচে তলিয়ে যায়। হাটু অব্দি পানি জমে থাকে।যার ফলে চলাফেরা করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সকলকে।পেশাজীবি মানুষজন তাদের কর্মস্থলে যেতে পারেন না।দিন আনে দিন খায় যারা, তারা তাদের কাজে যেতে পারেন না। যারফলে বৃষ্টি তাদের জীবনে অভিশাপ হিসেবে দেখা দেয়। তাদের খাওয়া দাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। তাই বলা যায় বৃষ্টি সবার জীবনে আনন্দ বয়ে আনে না কারো কারো জীবনে অভিশাপ হিসেবেও আসে।
আজ এই পর্যন্তই।সবাই সতর্ক থাকুক।ঘরে অবস্থান করুন।নিজ নিজ আত্মীয়স্বজনের খুঁজখবর নিন এবং তাদেরকেও সতর্ক থাকতে বলুন।সকলেই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এই দোয়া ও প্রত্যাশা রইলো।ধন্যবাদ সকলকে।
https://x.com/MahmudulK59125/status/1795112946978206101?t=G1McVD69aOY6kezKvnrQ5A&s=19
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা গরমের জন্য বৃষ্টির প্রত্যাশা করি। কিন্তু অনেক অসহায় মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। আর অনেকে জীবন দিয়েছে। এই ভয়ংকর ঝড় বৃষ্টি অনেকের জন্যই ভীষণ ক্ষতিকর। বৃষ্টি সবার জন্যই সুখ বয়ে আনে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকের এই দুর্যোগ বেশ কিছু মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। হয়তো শহরমুখী অনেক মানুষ তেমন বুঝতে পারেনি তবে শহরের অসহায় মানুষগুলো গ্রামের উপকূলের মানুষগুলো এই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। তবে আজকের এই ঝড় বৃষ্টি কারো জন্য প্রত্যাশিত নয়। সবাই চেয়েছিল ঠান্ডা আবহাওয়া ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। আশা করি খুব দ্রুত এই থেকে আমরা রেহাই পাব।
আসলে আপনি ঠিক কথা বলেছেন যে বৃষ্টি সবার জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে না। কেননা রাস্তার পাশে যারা গরীব লোক বসবাস করে তারা এই বর্ষার সময় অনেক বেশি কষ্ট পায়। কেননা তাদের কোন পাকা বাড়ি থাকে না এবং পুরো রাতটা তাদের বৃষ্টির জলে ভিজে জেগে থাকতে হয়। এছাড়া আপনি আপনার পোস্টে যে কথাগুলো বলেছেন তার সবগুলোই সঠিক। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এইরকম ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস এর প্রভাব বুঝতে পারে এবং দূর্ভোগের স্বীকার হয় উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ। কী একটা অসহায় অবস্থার মধ্যে আছে। গতকাল বেশ কিছু ভিডিওতে দেখলাম অবস্থা বেশ শোচনীয়। জলোচ্ছাসের পানি এসে অনেক গ্রামের বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের মতো শহরে থাকা মানুষের জন্য বৃষ্টি আনন্দদায়ক হলেও অনেকের জন্য এটা কষ্টের।
ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, পোষ্টের মাঝে লেখার পরিমান আরো বাড়াতে হবে।