ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) :- গরিবের সংসার।

in আমার বাংলা ব্লগlast month (edited)
আমি @mahmuda002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার গল্পটির মূল কাহিনী গরিবের সংসার নিয়ে। বর্তমানে এই যুগে গরীবদের অনেক অবহেলিত করা হয়। তারা গরিব বলে অনেক ধনী পরিবার আছে যারা যাদের মানুষ ভুলে ধার্তব্যের মধ্যে ফেলে না। গরিবরা যে মানুষ, গরিবের সন্তানরা চেয়ে ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পারে এটা যেন তারা মেনে নিতে পারে না। যাই হোক চলুন তবে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ...


source


গ্রামের নাম মায়াপুরি। এই গ্রামের একবারের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে নিধি। আর এই গ্রামেরই কৃষকের ছেলে বকুল। বকুল ভ্যান চালায়। নিধি প্রায়ই বকুলের ভ্যানে করে স্কুলে যায়। দুজনাই সমবয়সী। রোজ যাতায়াত করতে করতে নিধি এবং বকুলের মাঝে একটি প্রণয় এর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবে তাদের সম্পর্কের ১ বছর হয়ে যায়। নিধির বাবা নিধির জন্য পাত্র দেখা শুরু করে। এই কথা যখন নিধি জানতে পারে তখন নিধি তার বাবার সাথে তার ও বকুলের সম্পর্কের কথা বলে। যেহেতু নিধির বাবা নিধিকে অনেক ভালোবাসতো তাই নিধির কথা ফেলতে পারলো না। ধুমধাম করে নিধি ও বকুলের বিয়ে দিল।নিধির বাবা এই বিয়েটা মেয়ে নিলেও তার ভাইয়েরা এটি মানতে পারি নাই। তাই তারা চক্রান্ত করে নিধিকে বাড়ি থেকে বের করে দিল এবং তাদের বাবাকে মেরে ফেললো। এরপর থেকেই নিধি এবং বকুলের সংসারে নেমে আসলো অভাব অনটন। বকুল অনেক কষ্ট করে একটি কারখানায় চাকরি জোগাড় করল। আর তার বাবার দেওয়া ভ্যান তো ছিলই। এভাবেই কষ্ট করে চলছিল তাদের সংসার। এভাবে দেখতে দেখতে তাদের বিয়ের দুই বছর হয়ে গেল। এরপর নিধি এবং বকুলের কোল আলো করে তাদের সংসারে নতুন অতিথি এলো। নিধি এবং বকুলের একমাত্র মেয়ে। তারা অনেক শখ করে তাদের মেয়ের নাম রাখল মিনি। ধীরে ধীরে মিনি ও বড় হতে লাগলো, বাড়তে লাগলো চাহিদা। অভাবের সংসার হলেও নিধি এবং বকুল দুজনেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চেষ্টা করতো মিনিকে ভালো রাখার। এভাবে আস্তে আস্তে মিনি স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেল।


তাদের অভাবের সংসার হলেও তারা তাদের সামর্থের বাইরে গিয়ে মিনিকে এটি ভালো স্কুলে ভর্তি করালো। যাতে মেনে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে ভালোভাবে লেখাপড়া শিখতে পারে। মিনির বাবা কারখানায় বেশি করে সময় দিতে লাগলো। সকাল বিকেল ভ্যান চালাতে লাগলো। আর এদিকে মিনির মা বাড়িতে সেলাই মেশিনের কাজ করতে লাগলো। মিনি যেই স্কুলে পড়াশোনা করত সেই স্কুলের অধিকাংশ বাচ্চায় ছিল ধনী পরিবারের। তাদের পোশাক-আশাক, খাওয়া-দাওয়া সব কিছুই ভিন্ন। তাই সেই পরিবেশে মিনি নিজেকে খুব একটা খাপ খাইয়ে নিতে পারছিল না। প্রতিনিয়ত সে তার বন্ধুদের থেকে অপমানিত হচ্ছিল। তার দুই বন্ধু রুপা এবং মাইশা দুজনের বাবাই অনেক ধনী। এরা প্রতিদিন মিনিকে তার পোশাক নিয়ে এবং তার টিফিনের খাবার নিয়ে তাকে অপমানিত করত। মিনি ও ছোট তার খারাপ লাগতো তাদের কথা। তারা ভালো ভালো খাবার টিফিনে আনতে দেখে তারও লোভ হতো তাদের খাবারের প্রতি। তারা তো গরিব তাই সে প্রতিদিন টিফিনে মুরি এবং গুড় ছাড়া কিছুই আনতে পারে না। মিনি অভিমান করে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে তার মাকে বলে, মা তুমি কাল থেকে আমাকে টিফিনে চাওমিন দিবে আমার বন্ধুরা সবাই আমাকে এই খাবার নিয়ে অপমানিত করে। মিনির মা তখন মিনিকে বলে দেখো মেনি আমরা তো গরিব আমাদের অত টাকা নেই। এ মাসে হাতের খরচ টাও একটু বেশি তোমার ইস্কুলের বেতন দিতে হবে এই মাসে। তুমি মন খারাপ করো না সামনে মাসে আমি তোমাকে ঠিকটা চাওমিন বানিয়ে দেব। মিনি তখন তার মাকে বলে তুমি প্রতিদিনই একথা বলো কিন্তু দাও তো না। মিনি তার মার সাথে আর কথা না বাড়িয়ে তার ঘরে চলে যায় ঘুমোতে।


সকালে সে তার বাবার ভ্যানে করে স্কুলে যাচ্ছিল। স্কুল থেকে বেশ খানিকটা দূরে এসে তার বাবাকে বলে তুমি আমাকে এখানে নামিয়ে দাও আমি হেঁটে চলে যেতে পারবো স্কুলে। তার বাবা তখন তাকে বলে কেন রে মা? আমি তোকে ইস্কুল গেটে নামিয়ে দিয়ে আসি। তখন মিনি বলে না বাবা তুমি ওখানে গেলে আমার বন্ধুরা তোমাকে দেখে হাসাহাসি করবে। তুমি আমাকে এখানেই নামিয়ে দাও আমি স্কুলে চলে যেতে পারবো। তার বাবা তার মেয়ের কথা মতো ওখানেই তাকে নামিয়ে দেয়। এরপর মিনি স্কুলে গিয়ে ক্লাসের মাঝে যখন টিফিন দেয় সে স্কুলের বারান্দায় বসে টিফিন খাচ্ছিল। কিরে মিনি আজ কেউ সেই মুরি আর গুড়। বুঝিনা এই স্কুলের ম্যাম যে তোকে কেন ভর্তি নিয়েছিল। তোরা এভাবে বলছিস কেন আমার বাবা গরিব তাই তোদের মতো ভাল খাবার আমাকে দিতে পারেনা। আমাদের বলতেই পারিস আমাদের খাবার থেকে অল্প একটু তোকে ভাগ দিতাম। না তোদের খাবার আবার লাগবে না। শোন মিনি অত বড় বড় কথা বলিস না আমরা জানি আমাদের খাবারের দিকে তুই কিভাবে তাকিয়ে থাকিস। এই বলে তারা সেখান থেকে চলে যায় এবং মিনি পরে বসে বসে কাঁদতে থাকে। এদিকে মিনির বাবা বাড়িতে এসে রোয়াকে বসে। মিনির মা বলে কি গো এত দেরি করলে যে আজ ফিরতে। আজ একটা মাল ডেলিভারি করার ছিল সেটা করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। ও আচ্ছা তুমি হাতমুখ ধুয়ে এসো আমি তোমার জন্য জল খাবার নিয়ে আসছি। জানো মিনির মা আজ মিনি আমাকে স্কুল গেট পর্যন্ত যেতে দেয়নি বলেছে আমাকে দেখলে নাকি তার বন্ধুরা হাসাহাসি করবে। এমন কথা মিনি আমাকেও বলেছিল কাল রাতে। তার বন্ধুরা নাকি তার পোশাক খাবার এগুলো নিয়ে হাসাহাসি করে। আসলে ওতো ছোট ওর মনে আঘাত লেগেছে কথাগুলো। তুমি ওর কথায় কিছু মনে করো না। নাগো আমি ওর কথাই কিছু মনে করিনি। ওরি বা দোষ কি। একটা মাত্র মেয়ে আমাদের তবুও তাকে ভালোভাবে রাখতে পারি না।


বিকেলে মিনির মা মিনির জন্য নারকেল কোড়া দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে নিয়ে আসে তার কাছে। এসে দেখে মিনি তার ঘরে বসে কাঁদছে। সে মিনির কাছে গিয়ে বলে কিরে মা কি হয়েছে তোর কাঁদছিস কেন। এই দেখ তোর প্রিয় খাবার তোর জন্য নারকেল কোড়া দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে নিয়ে এসেছি। তুমি নিয়ে যাও আমি খাব না আমার কিছু ভালো লাগছে না। কেন রে কি হয়েছে বল আমাকে। কিছু হয়নি তুমি যাও এখান থেকে। বুঝতে পেরেছি শোন মিনি তুই তো জানিস আমরা গরীব। আমাদের অত টাকা পয়সা নেই। তবুও তোকে ভালো রাখার জন্য আমি তোর বাবা কত কষ্ট করি সারাদিন। তোর বাবা সারাদিন কত পরিশ্রম করে বলতো। আমিও রাত জেগে পোশাক সেলাই করি। এসব তো তোকে ভালো রাখার জন্যই। আমি বুঝতে পেরেছি মা আমি আর এ নিয়ে মন খারাপ করব না। আচ্ছা মা গরীব হওয়া কি অন্যায়। না মা অন্যায় হবে কেন! আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু আমরা সৎ কর্মঠ। আচ্ছা বাদ দে এসব কাল তোর জন্মদিন মনে আছে। হ্যাঁ মা কালকে আমি তুমি বাবা সবাই মিলে ঘুরতে যাব। আচ্ছা ঠিক আছে সে হবে খন নে তো এবার এটা খেয়ে নে। কাল তোকে স্কুল যাওয়ার সময় পায়েস বানিয়ে দেবো তোর সব বন্ধুদের দিবি। তোর জন্য একটা নতুন জামা বানিয়ে রেখেছি সেটা পড়েই কাল স্কুলে যাবি। আচ্ছা মা ঠিক আছে তুমি অনেক ভালো।

পরের দিন সকালে মিনির ইস্কুল যাওয়ার সময় মিনির মা তার জন্য পায়েস বানিয়ে দেয়। সে তার নতুন ফ্রকটি পরেই স্কুলে যাই। স্কুলে তার ম্যাম তার ড্রেসটি দেখে অনেক পছন্দ করে এবং তাকে জিজ্ঞেস করে তার এটি কে বানিয়ে দিয়েছে। নি তখন বলে এটি আমার মা বানিয়ে দিয়েছে মা অনেক রাত জেগে পোশাকশিলায় কাজ করে। মিনি ম্যাম তাকে বলে বাহ খুব সুন্দর তোমাকে পোশাকটি। তোমার মা দারুণ পোশাক বানাই। এরপর মিনি তার ক্লাসে যাই এবং ক্লাস শেষে তার পায়েস নিয়ে তার বন্ধুদের কাছে গিয়ে বলে এই নে আজ আমার জন্মদিন আমার মা তোদের সবার জন্য পায়েস বানিয়ে দিয়েছে। তার বন্ধুরা তখন থেকে টিটকারি দিয়ে বলে তোর মতো গরিব ঘরের মেয়ের হাতের পায়েস আমরা খায় না। আর আমরা জন্মদিনে পায়েশ খায় না কেক খাই চকলেট খাই। এই নিয়ে তার সাথে তারা অনেক হাসাহাসি ঠাট্টা ইয়ার্কি করতে থাকে। মিমির কথাগুলো খুব খারাপ লাগে তাই সে কাঁদতে কাঁদতে ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে যাই। স্কুল ছুটির পর সে মন খারাপ করে তার বাবার ভ্যানে করে বাড়ির পথে আসছিল। তার বাবা তাকে জিজ্ঞেস করছিল কিরে মিনি মন খারাপ যে জন্মদিনে কেউ মন খারাপ করে নাকি। মিনি তখন তার বাবাকে তার বন্ধুদের বলা কথাগুলো বলে। মিনির বাবা বলে মন খারাপ করিস না মা একদিন আমাদের সব হবে। কিছুদূর আসতেই একটি গাছের নিচে দেখে তার বন্ধু রূপা গাছের নিচে বসে কাঁদছে। সে তার বাবাকে বলে বাবা তুমি ভ্যানটা এখান একটু থামাও তো। কেন রে কি হয়েছে? আবার ভ্যান থামাতে বলছিস যে। না ওই যে মেয়েটা কাঁদছে ও আমার বন্ধু গিয়ে দেখি তো কি হয়েছে। আচ্ছা চল দেখি। এই তুই এখানে বসে এভাবে কাঁদছিস কেন। আজ বাবা গাড়ি নিয়ে শহরে গিয়েছে তাই আমি হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম। দেখ না পা টা মচকে গেছে আর হাঁটতে পারছি না। তুমি কেঁদোনা। মা মিনি ওকে ধর তো ভালো করে গাড়িতে বসা। বাড়িতে গিয়ে ভালোভাবে চুন হলুদ গরম করে দিলেই ব্যথা চলে যাবে।


মিনি আর মিনির বাবা রুপাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। মিনির মা রুপাকে দেখে বলে তোর বন্ধু নাকি। হ্যাঁ মা দেখো না ওর পায়ে মোচর লেগেছে। হাঁটতে পারছে না ভীষণ ব্যথা হয়েছে। আচ্ছা তোরা দুজন মিলে ওকে সাবধানে বিছানায় নিয়ে যা আমি চুন হলুদটা গরম করে নিয়ে আসছি। এরপর মিনির মা রুপার পায়ে খুব ভালোভাবে চুন হলুদ লাগিয়ে দেয়। রুপাও অনেকটা আরাম পাই। এরপর মিনির মা রুপার জন্য কচু শাক রান্না নিয়ে আসে। মিনি তার মাকে বলে মা রুপা তো অনেক বড়লোক ও এগুলো খাবে না। রুপা তখন বলে আমাকে ক্ষমা করে দে মিনি। আমি খাব এগুলো। এরপর মিনিকে স্কুলে কেউ আর রাগায় না। সবাই মিলেমিশে থাকে। আবার স্কুলের প্রিন্সিপাল মিনির মাকে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলের পোশাক বানানোর জন্য বলেছে। এরপর থেকে মিনিদের সংসারে অভাব অনটন অনেকে কম। এখন তারাও দু'বেলা ভালো খাবার খেতে পারে।


ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।


সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস redmi12
লোকেশন মেহেরপুর


👩‍🦰আমার নিজের পরিচয়👩‍🦰


আমি মাহমুদা রত্না। আমি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামের মেয়ে। আর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগীরগোফা গ্রামের বউ। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন করছি কুষ্টিয়া গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে,ক্রাফট এর কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। বর্তমানে আমি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাইন এবং এসইও পদে কাজ করছি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last month 

আপু আপনার গল্পটা পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। প্রথমত শুরু হয়েছিল নিধি গল্প দিয়ে, তবে গল্পটা শেষ হয়েছে মিনির গল্প দিয়ে। নিধির বাবার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে আমাদের দেশে এখনো এই গরিব এবং বড়লোকের ভেদাভেদ রয়েছে। আর এই জন্য অনেক ছেলেমেয়েদের ভীষণ কষ্ট করতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রুপা নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এটা দেখে ভালো লাগলো। আপু কিছু কিছু জায়গায় একটু ভুল হয়েছে সেগুলো একটু ঠিক করে নিবেন। এমনিতে পুরো গল্পটা পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।

 last month 

একদম চমৎকার লিখেছেন আপু। মানতে হবে আপনি আসলেই একজন রাইটার। মানুষের অবস্থান যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে এটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। আর পরিবর্তন তো বলে করে আসে না। তবে এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো বোনের গরিব ঘরের সন্তানের সাথে বিয়ে হয়েছে বলে বাবাকে নিধির ভাইয়েরা মেরে ফেলেছে। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আপনার লেখাটি আপু। তবে লেখার মধ্যে বেশ অনেক জায়গায় ছোট ছোট বানানের ভুল রয়েছে ঠিক করে নিলে আরো সুন্দর্য বাড়বে। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।

 last month 

ভালোবাসা কখনো ধনী গরীব দেখে হয় না। ভালোবাসা হয় দুটি মনের মিলনে। নিধির বাবা তাদের ভালোবাসাকে মেনে নিয়ে বিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার ভাইয়েরা কায়দা করে নিধিকে বাসা থেকে বের করে দেয়। তবুও তারা দুজন মিলে অনেক কষ্ট করে সংসার করছিল। এরপর তাদের কোল আলো করে মিমি আসে।তাকে তারা কোনভাবেই কষ্ট থাকতে দেয়নি।সব অভাব পূর্ণ করেছিল। এমনকি ভালো স্কুলে ভর্তি করেছিল। দারুন একটি গল্প লিখেছেন আপু আপনার গল্পটি আমার কাছে ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পের প্রতিটা লাইন সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 56608.36
ETH 2976.28
USDT 1.00
SBD 2.15