রেসিপি :- কাঁঠালের বিচি ভর্তা।
কাঁঠালের বিচি ভর্তা রেসিপি। |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। এই সপ্তাহে আমি খুব চমৎকার একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের এটি আমার প্রথম রেসিপি পোস্ট। এখন তো কাঁঠালের সময় চলছে। সবাই কমবেশি কাঁঠাল পছন্দ করে। কেউবা কাঁচা কাঁঠালের এঁচোড় আর কেউবা পাক কাঁঠাল অথবা কাঁঠালের বিচি। আমার কিন্তু কাঁঠালের এঁচোড় খেতে দারুন লাগে। তবে পাকা কাঁঠাল আমার খুব একটা পছন্দের খাবার নয়। আর এটা আমি খাইও না এর গন্ধটাই আমার ভালো লাগেনা। তবে হ্যাঁ, পাকা কাঁঠাল না খেলেও পাকা কাঁঠালের বিচি খেতে কিন্তু মিস করি না৷ কাঁঠালের বিচি ভর্তা, বিচির ডাউল এমনকি বিচি চচ্চড়ি খেতেও ভালো লাগে। আর তাই এ ভালোলাগা থেকেই আর দেরি না করে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি কাঁঠালের বিচি ভর্তা রেসিপি নিয়ে। আশা করি এটি আপনাদের ভালো লাগবে।
ক্রমিক নম্বর | পরিমাণ |
---|---|
১। | কাঁঠালের বিচি। |
২। | পেয়াজ। |
৩। | শুকনো মরিচ। |
৪। | সরিষার তেল। |
প্রথমে সুন্দর করে কাঁঠালের বিচি থেকে খোঁসা গুলো ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এরপর এগুলো খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে প্রেসার কুকারে দিয়ে গ্যাসের চুলায় বসিয়ে দিয়েছি সিদ্ধ করার জন্য। প্রেসার কুকারে দিয়েছি এজন্য যাতে বিচিগুলো খুব সুন্দর ভাবে সিদ্ধ হয়।
এরপর সিদ্ধ করা বিচি গুলো থেকে উপরের কালো খোঁসাগুলো ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এরপর এগুলো ভালোভাবে ম্যাশ করে নিয়েছি। এটা শীল নোড়া দিয়েও করা যায়। তবে আমি হাত দিয়েই করেছি।
এবার আমি দুটো পেঁয়াজ কুঁচি করে কেঁটে নিয়েছি। একটি লেবুর একপাশ কেঁটে নিয়েছি এবং চারটে শুকনো মরিচ মরিচ ভেজে নিয়ে সুন্দর করে ম্যাশ করে নিয়েছি।
এবার ম্যাশ করে রাখা বিচি ও পেঁয়াজ একসঙ্গে করে মেখে নিয়েছি। ব্যাস এভাবেই তৈরি করে নিলাম কাঁঠালের বিচি ভর্তা।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফি | কাঁঠালের বিচি ভর্তার রেসিপি। |
👩🦰আমার নিজের পরিচয়👩🦰
আমি মাহমুদা রত্না। আমি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামের মেয়ে। আর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগীরগোফা গ্রামের বউ। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন করছি কুষ্টিয়া গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে,ক্রাফট এর কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। বর্তমানে আমি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাইন এবং এসইও পদে কাজ করছি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার মত অনেকেই কাঁঠাল খেতে পছন্দ না করলেও কাঁঠালের বিচি খেতে অনেক পছন্দ করে। তবে কাঁঠালের বীচে ভর্তা কিন্তু আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে কাঁঠালের বিচি ভর্তা রেসিপি তৈরি করে উপস্থাপন করেছেন আপু। মনে হচ্ছে খেতে দারুন ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি কাঁঠালের বিচি গুলো পেশার কুকারের মাধ্যমে সিদ্ধ করে ভালই করেছেন। এতে দ্রুত সিদ্ধ হয়ে গেছে আবার সঠিকভাবে সিদ্ধ হয়েছে। শুকনা মরিচ দিয়ে এভাবে কাঁঠালের বিচি ভর্তা করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার রেসিপিটা ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপু ধন্যবাদ।
আসলেই শুকনো মরিচের ভর্তা দারুণ লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর ভাবে কাঁঠালদের বিচি ভর্তা করেছেন আপু। আমিও এমন কাঁঠালের বিচি ভর্তা খেতে খুবই পছন্দ করি। তাই আমাদের গাছের কাঁঠাল পাড়া হলেই এরপরে বিসিগুলো যে কোন ভাবে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করে থাকি। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই বিচির রেসিপিটা।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাঁঠালের বিচি খেতে আমার মনে হয় সবাই পছন্দ করেন।তবে এভাবে ভর্তা অনেক আগে খেয়েছিলাম কিন্তু এখন আর খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। ইস আগে বললে আপনাদের বাসায় চলে যেতাম। যাইহোক গরম ভাত দিয়ে খেতে নিশ্চয় অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। কাঁঠালের বিচি ভর্তা রেসিপিটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপাদেয় মনে হচ্ছে। আপনি যেভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটির প্রণালী বর্ণনা করেছেন তা খুবই বোঝার উপযোগী এবং অনুসরণ করা সহজ। আপনার প্রতিভা এবং রান্নার দক্ষতা প্রশংসনীয়। আমি নিজেও কাঁঠাল বেশ পছন্দ করি।আশা করি ভবিষ্যতে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি আপনার কাছ থেকে পাবো। শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য
কাঠালেফ বিচি খুবই পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ একটি খাবার কাঠাল যেমন ভিটামিন যুক তেমনি এর বিচি এমন।কাঠার বিচি ভরতা খাইনি কখনো বেস সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনার কমেন্টে অনেক বানান ভুল আছে। আশা করি ঠিক করে নিবেন। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
কাঠালের বিচি ভর্তা আমার অনেক প্রিয়। আপনি অনেক চমৎকার ভাবে ভর্তাটি করেছেন, দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিলো।
আপনার মতো আমারো খুবই প্রিয় খাবার এটি। আর এটি আসলেই অনেক মজা হয়েছিল ভাইয়া। আমার হাসবেন্ড কাঁঠালের বিচি খায় তার কাছেও এটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ভর্তা আমার একটি প্রিয় খাবার। অন্যান্য ভর্তার মত এই কাঁঠালের বিচি ভর্তা অনেক বেশি সুস্বাদু খেতে। যেহেতু এর আগে আমি এই ধরনের ভর্তা খেয়েছি আর এর জন্য আমি এই ধরনের ভর্তার স্বাদ জানি। আসলে আজকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই কাঁঠালের বিচির ভর্তার রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কাঁঠালের বিচি ভর্তা এক সময় অনেক প্রিয় ছিলো। অনেক দিন খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। খুব শিগগিরি বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। কাঁঠালের বিচি অনেক পুষ্টিকর খাবার। আপনার তৈরি রেসিপি পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পরিবেশন করার জন্য।
ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি কাঁঠালের বিচি দিয়ে অনেক সুন্দর ভর্তা রেসিপি করেছেন। তবে পাকা কাঁঠালের বিচি গুলো মিস করা যায় না। তবে এ ধরনের ভর্তা রেসিপি মধ্যে শুকনো মরিচ ধনিয়া পাতা দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। সত্যি আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল খাওয়ার জন্য। খুব সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।