পেইন্টিং;- পদ্ম পুকুরে রঙিন মাছের পেইন্টিং।

আর্ট করতে অনেক সময় লাগে। বিশেষ করে ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিং গুলো করতে অনেকটা সময় লাগে৷ এসকল পেইন্টিং গুলো সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে করতে পারলে এর সৌন্দর্য ফুটে ওঠে৷ আমার যেহেতু ছোট বাচ্চা আছে সেহেতু এধরনের কাজ গুলো আমার জন্য খুবই কষ্টকর। আমি আজকে যে পেইন্টিং টি করেছি এটা করতে আমার ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। আর যেহেতু বাবু অনেক ছোট তাই পেইন্টিং এর মাঝে দুই বার উঠাও লেগেছে। তবে পেইন্টিং করা আমার নেশা। এই নেশাটা আমার শুরু হয়েছে ক্লাস সেভেন থেকে৷ প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে কখনো পেইন্টিং শেখা হয় নাই। কারণ আমার পরিবার খুব একটা সার্পোট করতো না। যেটুকু শিখেছি নিজের চেষ্টায় আর আম্মুর করা প্রশংসায়। এই পেইন্টিং এর নেশায় টাকা গুছিয়ে রং কেনার জন্য গাড়িতে না গিয়ে হেঁটেও কোচিং, প্রাইভেট করেছি।

আজ আমি যেই পেইন্টিং টি করেছি এটি অনেক বছর পর আজ করলাম। আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি। তখন আমাদের জেলায় আর্ট কম্পিটিশন হয়েছিল। মা বাবার অমতে গিয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে সেখানে ফর্ম ফিলাপ করেছিলাম। তবে এই ব্যাপারে আমার বাংলা শিক্ষক আমাকে অনেক সাহায্য করছিলেন। এরপর সেই প্রতিযোগিতায় আমি এমন একটি পেইন্টিং করে ২য় স্থান অধিকার করেছিলাম৷ আমার এই বিজয়ীতে ওই দিন আমার শিক্ষক অনেক খুশি হয়েছিলেন। এমনকি তিনি আমাকে সেখান থেকে আব্বুর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন তোমার মেয়ে অনেক গুণী ওর গুণগুলোকে ফুটিয়ে তুলতে ওকে সাহায্য করো৷ এরপর থেকে আব্বু আমার আর্টের বিষয়ে আমাকে আর বারণ করতো না। ওইদিন আমি বিজয়ী হয়ে অনেক খুশি ছিলাম। যাইহোক অনেক বছর পর এমন পেইন্টিং করে বেশ ভালো লাগছে।

প্রথমে আমি ক্যানভাসে মাস্কিং টেপ লাগিয়ে নিয়েছি।

এরপর ক্যানভাসের ওপর নীল, আকাশি ও সাদার মিশ্রণের পেইন্টিং করে নিয়েছি।

এবার মাছ ও পদ্মপাতার স্কেচ আাঁকিয়ে নিয়েছি।

এবার মাছগুলো সাদা কালার করে নিয়েছি।

এবার পদ্মপাতার কালার করে নিয়েছি।

এবার মাছগুলো একেক রকম ভাবে সুন্দর করে কালার করে নিয়েছি।

এবার মাছগুলো আরো সুন্দর করার জন্য মাছের আঁঈশ ও সুর এঁকে নিয়েছি।

এবার সাদা ও নীল এর মিশ্রণে পানির ঢেউ এঁকে নিয়েছি।

এবার এখানে পদ্মফুল ও পানিতে মাছের চলার ফলে যে ঢেউ হয় সেটি এঁকে নিয়ে আমার পেইন্টিং টি সম্পূর্ণ করেছি।

এখানে মাঙ্কিং টেপ তুলেছি। এবং এটিই আমার পেইন্টিং এর ফাইনাল লুক।

আমি মাহমুদা রত্না। আমি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামের মেয়ে। আর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগীরগোফা গ্রামের বউ। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন করছি কুষ্টিয়া গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে,ক্রাফট এর কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। বর্তমানে আমি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাইন এবং এসইও পদে কাজ করছি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।