লাইফ স্টাইল :- হঠাৎ মায়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করার অনুভূতি।।
আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা এবং বিশ্বাস করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।
আমার বাংলা ব্লগের প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা, প্রতিদিনের মতো আবারে নতুন আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সবার মাঝে। আজকের এই পোস্টটি সাজিয়েছিলাম একটি লাইভ স্টাইল দিয়ে। গতকাল ইফতারের পরে হঠাৎ আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা হয়। এবং আমার সেই ফ্রেন্ড ঢাকা মিরপুর ১ এ কাজে এসেছে। আমিও যেহেতু মিরপুর ১৩ তে থাকি তাই আমার ফ্রেন্ডের কল পেয়ে আমি আর দেরি না করে চলে গেলাম মিরপুর ১ এ আমার ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে। সেখানে আমার ফ্রেন্ডের সাথে বেশ কথা হলো খাওয়া হলো। এবং রাত নয়টায় আমার ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যখন মিরপুর ১ এ গোল চত্বরে এসেছিলাম। তখন হঠাৎ চন্দ্রবিন্দু নামে একটি শোরুম দেখতে পাই। এবং সেই চন্দ্রবিন্দু শোরুম বাহির থেকে গ্লাসের ভিতর দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলাম প্রচুর লোকের সমাগম। তো আমিও কৌতূহল বসত শোরুমের ভিতরে ঢুকলাম।
চন্দ্রবিন্দু শোরুম এর ভিতরে ঢুকে দেখলাম খুবই সাজানো গোছানো। এবং ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ছোট বড় ছেলে-মেয়ে সবারই কাপড় এখান থেকে কিনতে পাওয়া যায়। যদিও আমার কোন কিছু কেনার ইচ্ছা ছিল না শুধু দেখার ইচ্ছা ছিল। কোন ধরনের কাপড়ের কিরকম প্রাইজ। সবার মত আমিও ঘুরতে থাকলাম এবং কাপড় গুলো দেখতে থাকলাম। এবং ভাবতে থাকলাম মিরপুর ১ এ এত বড় একটি শোরুম আছে আগে কখনো দেখতে পায়নি কেন। ঈদের কাপড় গুলো দেখতে দেখতে শোরুমের এক পাশে গিয়ে আমার চোখ আটকে গেল কিছু শাড়ি কাপড়ের দিকে।
সুন্দর সুন্দর কাপড় গুলো দেখে হঠাৎ আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। যদিও আমার মায়ের জন্য কাপড় কেনার কথা ছিল সিরাজগঞ্জ থেকে। কিন্তু ভাবলাম আমি ছুটিতে যাওয়ার সময় যদি হাতে করে মায়ের জন্য কাপড় নিয়ে যাই তাহলে হয়তো আমার মা আরও বেশি খুশি হবে। আর ছুটিতে যাওয়ার সময় বাড়িতে কোন কিছু নিয়ে গেলে কিরকম যে ভালো লাগে তা একমাত্র চাকরিজীবী এবং বিদেশীরাই বোঝেন। তাই আমি সাথে সাথে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আমার মায়ের জন্য এখান থেকেই কাপড় কেনার সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু আমার বাবা এখন নেই সেহেতু কাপড় কেনার ক্ষেত্রেও কিছুটা নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি বেশ কয়টি কাপড়ের ফটোগ্রাফি উঠিয়ে আমার মাকে পছন্দ করার জন্য পাঠিয়ে দেই। আমার মা মেয়ে এবং আমার ওয়াইফ রিপ্লাইয়ে দুটি কাপড়ের মাঝ থেকে যেকোনো একটি নিতে বলেন।
যেহেতু আমার মা আকাশি রংয়ের কাপড় পছন্দ করেন। আর উপরের দুটি কাপড়ই যেহেতু উল্লেখ করেছিলেন তাই আমি আর কোন চিন্তা ভাবনা না করে দুটি কাপড় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমার বাবা যেহেতু আর পৃথিবীতে নেই সেহেতু আমার মায়ের কোন ইচ্ছায় আমি আর অপূর্ণ রাখতে চাই না। তাই আমার সাধ্যমত আমি আমার মায়ের ইচ্ছা গুলো পূরণ করার চেষ্টা করছি। আর তারই ধারাবাহিকতায় দুটি কাপড়ই আমি প্যাকেট করতে বলি এবং কাউন্টারে পাঠিয়ে দিতে বলি। ।
অবশেষে সেলসম্যান কাপড় দুটি প্যাকেট করে ক্যাশ কাউন্টারে পাঠিয়ে দিল। এবং আমাকে দুটি কাপড়ের জন্য ৫৯০০ টাকা পে করতে বলল। আমিও সাথে সাথে আমার ওয়ালেট থেকে কার্ড বের করে সমস্ত টাকা পরিশোধ করে কাপড় দুটি নিয়ে চলে আসলাম। বাসায় এসে কাপড় দুটির ভিডিও করে আমি আবার আমার মার কাছে পাঠিয়ে দিলাম দেখার জন্য । তখন আমার মা আমাকে বলল চেয়েছিলাম একটা দিলে দুইটা। যাইহোক বাবার বড় ছেলে হিসাবে বাবার অবর্তমানে আমার মায়ের জন্য কিছু কিনতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছিল। সেই সাথে এটাও খারাপ লাগছিল যে আমি আমার বাবার জন্য কিছু কিনতে পারলাম না। তো বন্ধুরা আজকে তাহলে এ পর্য্যন্ত্যই পরবর্তীতে আবার যে কোন একটি নতুন পোস্ট নিয়ে দেখা হবে আপনাদের সবার সাথে।সে পর্য্যন্ত পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।
https://x.com/mahfuzur888/status/1902042768891113877?t=F3NcRw44z3RR8ftMZLSmJw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হঠাৎ করেই আপনার মায়ের জন্য কেনাকাটা করলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার মায়ের জন্য কিনা দুইটা কাপড়ই অনেক বেশি সুন্দর। আমার কাছেও কাপড় গুলো অনেক ভালো লেগেছে। ছবি পাঠানোর পর উনারা পছন্দ করে দিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। কাপড় কেনার সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি ভালো করেছেন আপনার মায়ের জন্য কিনা কাটা করে। আসলে আপনার বাবা নেই এ কথা আমি জানি। আর মায়ের জন্য আপনার ভালবাসা অনেক। আপনি চন্দ্রবিন্দু মার্কেট থেকে মায়ের জন্য দুটো শাড়ি কিনেছেন। আসলে ৫৯০০ টাকা বেশি কিছু না। মায়ের বা পরিবারের লোকের খুশিটাই বড়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
মায়ের জন্য পছন্দমত কেনাকাটা করা, এটা সত্যিই অন্য রকম একটা অনুভূতি। আকাশি রংটা আমারও খুব পছন্দ। এবার ঈদের জন্য আমিও আকাশি রংয়ের ড্রেস নিয়েছি। আপনার মায়ের শাড়ি দুটো খুবই সুন্দর হয়েছে। উনিও খুব পছন্দ করবেন এগুলো। কেনাকাটার সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।